ঢাকা, মে ৯, ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০৭:৪৪:০৭

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র পুনর্বাসন না করে বস্তিবাসীদের উচ্ছেদ করা হবে না: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি হিসেবে ফের নিয়োগ পেলেন বিপ্লব বড়ুয়া সংসদ অধিবেশন উপলক্ষে সংসদ ভবন ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ আপিলে দ্বিতীয় দিনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৫১ জন নির্বাচনে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি সেনাবাহিনী চায় ইসি : পিএসও আদালত আবমাননায় বিচারক সোহেল রানার সাজার বিরুদ্ধে আপিলের রায় ২৩ জানুয়ারি রাজধানীর ২১টি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৪ জন গ্রেফতার : ডিএমপি নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হবে কিনা, জানালেন ইসি

চাঁদাবাজি ও চুরির অভিযোগে বাড্ডা থানার ওসিসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা

| ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৪ | Monday, June 12, 2017

চাঁদাবাজি ও চুরির অভিযোগে বাড্ডা থানার ওসিসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা

 

বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিলসহ আটজনের বিরুদ্ধে নালিশি মামলা করেছেন মিসেস নুরুন্নাহার নাসিমা বেগম নামে এক নারী। রবিবার ঢাকার মহানগর হাকিম মো. মাজহারুল ইসলামের আদালতে এই মামলা দায়ের করেন তিনি।

 

ওসি এমএ জলিল, এসআই শহীদ, এএসআই দ্বীন ইসলাম, এএসআই মো. আবদুর রহিম, জাহানারা রশিদ লুপা, রোকেয়া রশিদ, আতাউর রহমান কাইসার ও মো. শুকুর আলীর বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩২৩/৩৮০/৩৮৫/১২৭/৪৪৮/৫০৬/১০৯/৩০ ধারায় মামলা দায়ের করলে আদালত উভয়পক্ষের শুনানি শেষে পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার আদেশ দেন।

 

আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলার আসামি জাহানারা রশিদ বাদীর নুরুন্নাহার নাসিমা বেগম সতিনের মেয়ে। তাদের মধ্যে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে মামলা চলছে। জাহানারার বাসায় বিদ্যুত্-সংযোগ নেই। এ কারণে তিনি ডেসকোর কর্মকর্তাদের ডেকে বাদীর বাসা থেকে বিদ্যুত্-সংযোগ দিতে বলেন। কিন্তু বাদী এতে রাজি না হলে উল্টো জাহানারা বিদ্যুত্ অফিসের দুই কর্মকর্তাসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। পরে বাড্ডা থানা-পুলিশের সহযোগিতায় জাহানারা বাদীকে ভয়ভীতি দেখান। পরবর্তী সময়ে ওসির নির্দেশে এএসআই দীন ইসলাম ও এসআই শহীদ বাদী এবং তাঁর সন্তানদের মামলায় জড়ানোর হুমকি দেন। গত ২৬ মে পুলিশের এই দুই কর্মকর্তা ওসির নির্দেশে বাদীর ভাড়াটেদের বের করে দিয়ে ফ্ল্যাটে তালা ঝুলিয়ে চাবি নিয়ে যান। পরে থানায় ওই চাবি নিতে গেলে বাদীর কাছে পুলিশ ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। সর্বশেষ গতকাল শনিবার ওসি জলিলের নির্দেশে পুলিশ কর্মকর্তা শহীদ ও দীন ইসলামসহ পুলিশের আরও পাঁচ-ছয়জন সদস্য বাদীর ছেলে রবিন দেওয়ানকে জাহানারার বাসায় বিদ্যুত্-সংযোগ দিতে বলেন। রবিন এতে না বললে, দীন ইসলাম ও শহীদ তাঁকে গালিগালাজ ও মারধর করেন। পরে হাতুড়ি দিয়ে মিটারের বাক্সের তালা ভেঙে মামলার আসামি বিদ্যুত্ মিস্ত্রি শুকুর আলীর মাধ্যমে জাহানারার বাসায় বিদ্যুত্-সংযোগ দেন। রবিনকে হুমকি দিয়ে এসআই শহীদ বলেন, ‘আকাশের যতগুলো তারা, পুলিশের ততগুলো ধারা। শালা, তোদের মার্ডার কেসে ঢুকাইয়া দেব।’

 

মামলার আরজিতে বলা হয়েছে, পুলিশের এএসআই দীন ইসলাম বাদীর বাসার তালা ভেঙে ২০ হাজার টাকা ও পাঁচ ভরি স্বর্ণালংকার চুরি করেছেন। মামলার আসামি জাহানারা বাদীর জমিজমাসংক্রান্ত কাগজপত্র চুরি করেছেন। এর আগে দীন ইসলাম বাদীর ছেলেকে বিভিন্ন মামলায় জড়ানোর হুমকি দেন। রবিনকে হুমকি দিয়ে এসআই শহীদ বলেন, ‘আকাশের যতগুলো তারা, পুলিশের ততগুলো ধারা। শালা, তোদের মার্ডার কেসে ঢুকাইয়া দেব।’ রবিনকে অপর পুলিশ কর্মকর্তা এএসআই দীন ইসলাম হুমকি দিয়ে বলেন, ‘শালা, তোকে পাঁচতলা থেকে লাথি মেরে মাইরা ফালাব।’ দীন ইসলাম আরও বলেন, ‘হারিছ মিয়া (বাদীর প্রতিবেশী) কোথায় গেল। তারে ডেকে নিয়ে… (অশালীন শব্দ) গরম ডিম ঢুকাব।’