আদালত অবমাননার অভিযোগে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলী আহমেদকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর তাকে আদালতে হাজির হয়ে অভিযোগের বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে বলা হয়েছে।এ ছাড়া একই অভিযোগে চসিক মেয়র মনজুর আলমসহ চার জনের বিরুদ্ধে রুলও জারি করা হয়েছে।
অন্যরা হলেন- চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলী আহমেদ, বহদ্দারহাট পৌর মার্কেটের সভাপতি আনোয়ার হোসেন ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ফোরস্টার সিন্ডিকেটের স্বত্বাধিকারী ইউসুফ আলী।
বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ বৃহস্পতিবার আদালত অবমাননার অভিযোগে করা এক আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রুলসহ এ আদেশ দেন।
রুলে আদালত অবমাননার অভিযোগে কেন চসিক মেয়রসহ চার জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে তাদেরকে এ রুলের জবাব দিতে হবে। গত ১৪ আগস্ট এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে রুলসহ বহদ্দারহাট পৌর মার্কেটের নির্মাণকাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। চট্টগ্রামের স্বজন সুপার মার্কেটের মালিক হরিপদ বৈষ্ণব ও দোকান মালিক সমিতির পক্ষে চার ব্যক্তি ওই রিট আবেদনটি করেছিলেন।
এরপরও চসিক পৌর মার্কেটের নির্মাণকাজ অব্যাহত রাখলে গত ২৭ আগস্ট সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদনটি হাইকোর্টে দাখিল করা হয়। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার আদালত রুলসহ আদেশ দেন।
আদালত অবমাননার আবেদনকারীদের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট রায়হানুল মোস্তফা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
আদেশের বিষয়ে রায়হানুল মোস্তফা সাংবাদিকদের বলেন, ‘চট্টগ্রামের বহদ্দারহাটে নালা বা ড্রেন বন্ধ করে মার্কেট নির্মাণ করায় আশেপাশের বাজার এবং জনগণের চলাচলের পথে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। তাই ওই নির্মাণকাজ বন্ধের জন্য হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করা হয়েছিল। আদালত নির্মাণ কাজে নিষেধাজ্ঞা দিলেও চসিক তা উপেক্ষা করেছে। এজন্য সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদনটি দায়ের করা হয়।’