ঢাকা, এপ্রিল ২৬, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১৬:১৭:২৮

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

একীভূত হতে চাওয়া ব্যাংকের সম্পদের দাম যেভাবে নির্ধারণ করা হবে টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপির মাথাব্যথার কারণ নেই : ওবায়দুল কাদের বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবারের ঈদ যাত্রাও স্বস্তিদায়ক হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

চরম অপুষ্টির শিকার রোহিঙ্গা শিশুরা: ইউনিসেফ

| ১৩ কার্তিক ১৪২৪ | Saturday, October 28, 2017

শরণার্থী শিবিরে রোহিঙ্গা শিশুরা চরম অপুষ্টির শিকার বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। নভেম্বর মাসে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে চালানো এক জরিপের থেকে প্রাপ্ত ফলাফলে বলা হয় রোহিঙ্গা শিশুরা তীব্র অপুষ্টি,স্যানিটারিসহ নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়ায় শিশুরা বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে।

১৬ নভেম্বর থেকে নতুন করে আসতে থাকা সীমান্তে রোহিঙ্গা শিশুদের মধ্যে ৩৪০জন শিশুকে খুব মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করেছে ইউনিসেফ। এই ৩৪০জন শিশুকে সীমান্তেই পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর ৩৩ জন শিশু মারাত্মকভাবে অপুষ্টির শিকার হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউনিসেফ। আবার ‘মেডিসিন স্যান ফ্রন্ট্রির্য়াস ক্লিনিক’ ১০৩ জনের মধ্যে ১৪ জন শিশুকে চরম অপুষ্টিজনিত রোগে ভুগছে বলে চিহ্নিত করেছে।

তবে ইউনিসেফ বলছে সংখ্যার দিক দিয়ে এটি কম হলেও এটি রোহিঙ্গা শিবিরের প্রকৃত চিত্র নয়। এমন অনেক শিশু আছে যারা সীমান্ত পার হওয়ার সময় প্রায় অপুষ্টিতে ভুগে মৃত্যুর কাছাকাছি চলে গেছে।

২৫ আগস্ট থেকে আসা রোহিঙ্গা শরনার্থী শিবিরের ৫৯’৬০৪ শিশু উপর পরীক্ষা করে দেখা গেছে ১,৯৭০ শিশু চরম অপুষ্টিতে ভুগছে। আবার তাদের মধ্যে ৬,৯৭১ জন শিশু মধ্যপরিমিত অপুষ্টির শিকারে ভুগছে বলে জানিয়েছে ইউনিসেফ।

২০১৭ মে এর পর থেকে শরণার্থী শিবিরে এই অপুষ্টির হার জরুরি অবস্থাকে ছাড়িয়ে গেছে বলে জনিয়েছে সংস্থাটি। সারাবিশ্বে ২১.২% চরম অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের মধ্যে এই শিবিরে রয়েছে ৩.৬%।

তবে সংস্থাটি বলছে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মুংডুতে ১৯% ও বুথিডং এলাকায় ১৫.১% শিশু অপুষ্টি জনিত রোগে ভুগছে। সমগ্র রাখাইন রাজ্যে ৪০০০ হাজার শিশু চরম অপুষ্টিতে ভুগছে। তবে এটা আমাদের অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। কিন্তু সেখানে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় আমাদের পক্ষে কাজ করা সম্ভব নয় বলে জানায় সংস্থাটি।

রোহিঙ্গা

রোহিঙ্গ এবং স্থানীয় শিশুদের মধ্যে হামের প্রার্দুভাব দেখা দিয়েছে। ৬লাখ ৫০ হাজার কলেরা ভ্যাকসিন দেয়া সত্তেও ডায়রিয়া,আমাশা দিন দিন বেড়েই চলছে শিবিরগুলোতে।

ইউনিসেফের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ১৫ টি পুষ্টি চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন করা হবে এর মধ্যে কুতুপালং ৬ টি কেন্দ্র এখনিই স্থাপন করা হবে। এই ৬ টি কেন্দ্র থেকে চরম অপুষ্টিতে ভোগা ২ হাজার শিশুকে চিকিৎসো দেয়ারে ব্যবস্থা করা হবে। তাদের জন্য খাবার, ভ্যাকসিনসহ অন্যান্য সব কিছু দেয়া হবে।