শরণার্থী শিবিরে রোহিঙ্গা শিশুরা চরম অপুষ্টির শিকার বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। নভেম্বর মাসে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে চালানো এক জরিপের থেকে প্রাপ্ত ফলাফলে বলা হয় রোহিঙ্গা শিশুরা তীব্র অপুষ্টি,স্যানিটারিসহ নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়ায় শিশুরা বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে।
১৬ নভেম্বর থেকে নতুন করে আসতে থাকা সীমান্তে রোহিঙ্গা শিশুদের মধ্যে ৩৪০জন শিশুকে খুব মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করেছে ইউনিসেফ। এই ৩৪০জন শিশুকে সীমান্তেই পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর ৩৩ জন শিশু মারাত্মকভাবে অপুষ্টির শিকার হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউনিসেফ। আবার ‘মেডিসিন স্যান ফ্রন্ট্রির্য়াস ক্লিনিক’ ১০৩ জনের মধ্যে ১৪ জন শিশুকে চরম অপুষ্টিজনিত রোগে ভুগছে বলে চিহ্নিত করেছে।
তবে ইউনিসেফ বলছে সংখ্যার দিক দিয়ে এটি কম হলেও এটি রোহিঙ্গা শিবিরের প্রকৃত চিত্র নয়। এমন অনেক শিশু আছে যারা সীমান্ত পার হওয়ার সময় প্রায় অপুষ্টিতে ভুগে মৃত্যুর কাছাকাছি চলে গেছে।
২৫ আগস্ট থেকে আসা রোহিঙ্গা শরনার্থী শিবিরের ৫৯’৬০৪ শিশু উপর পরীক্ষা করে দেখা গেছে ১,৯৭০ শিশু চরম অপুষ্টিতে ভুগছে। আবার তাদের মধ্যে ৬,৯৭১ জন শিশু মধ্যপরিমিত অপুষ্টির শিকারে ভুগছে বলে জানিয়েছে ইউনিসেফ।
২০১৭ মে এর পর থেকে শরণার্থী শিবিরে এই অপুষ্টির হার জরুরি অবস্থাকে ছাড়িয়ে গেছে বলে জনিয়েছে সংস্থাটি। সারাবিশ্বে ২১.২% চরম অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের মধ্যে এই শিবিরে রয়েছে ৩.৬%।
তবে সংস্থাটি বলছে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মুংডুতে ১৯% ও বুথিডং এলাকায় ১৫.১% শিশু অপুষ্টি জনিত রোগে ভুগছে। সমগ্র রাখাইন রাজ্যে ৪০০০ হাজার শিশু চরম অপুষ্টিতে ভুগছে। তবে এটা আমাদের অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। কিন্তু সেখানে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় আমাদের পক্ষে কাজ করা সম্ভব নয় বলে জানায় সংস্থাটি।
রোহিঙ্গ এবং স্থানীয় শিশুদের মধ্যে হামের প্রার্দুভাব দেখা দিয়েছে। ৬লাখ ৫০ হাজার কলেরা ভ্যাকসিন দেয়া সত্তেও ডায়রিয়া,আমাশা দিন দিন বেড়েই চলছে শিবিরগুলোতে।
ইউনিসেফের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ১৫ টি পুষ্টি চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন করা হবে এর মধ্যে কুতুপালং ৬ টি কেন্দ্র এখনিই স্থাপন করা হবে। এই ৬ টি কেন্দ্র থেকে চরম অপুষ্টিতে ভোগা ২ হাজার শিশুকে চিকিৎসো দেয়ারে ব্যবস্থা করা হবে। তাদের জন্য খাবার, ভ্যাকসিনসহ অন্যান্য সব কিছু দেয়া হবে।