ঢাকা, মে ৭, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০৯:২১:১৯

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

একীভূত হতে চাওয়া ব্যাংকের সম্পদের দাম যেভাবে নির্ধারণ করা হবে টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপির মাথাব্যথার কারণ নেই : ওবায়দুল কাদের বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবারের ঈদ যাত্রাও স্বস্তিদায়ক হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

গ্রন্থমেলার শেষ শুক্রবারে পাঠকের ঢল, মৌলিক বইয়ের বিক্রি বেশি

| ১২ ফাল্গুন ১৪২৩ | Friday, February 24, 2017

ঢাকা : অমর একুশে গ্রন্থমেলার শেষ শুক্রবারে আজ মেলা চত্বরে গ্রন্থানুরাগীদের ঢল নেমেছে। একদিকে টিএসসি ও অন্যদিকে দোয়েল চত্বর থেকে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে পাঠক-দর্শণাথীরা মেলায় প্রবেশ করেছে।
মেলার পরিসর আগের চেয়ে দ্বিগুণ হওয়া স্বত্ত্বেও সন্ধ্যার পর লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে মেলা প্রাঙ্গণ। এতে পুরো মেলাই ধুলোয় একাকার হয়ে পড়ে। শিশু থেকে বৃদ্ধ সব বয়সী মানুষ এক স্টল থেকে আরেক স্টল ঘুরে বই দেখছেন ও পছন্দ হলে কিনতেও দেখা গেছে।
এ্যাডর্নের প্রকাশক সৈয়দ জাকির হোসাইন জানান, আজ সকাল ১১টায় মেলার ঝাঁপ খোলার পর থেকে সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে লোকজন। শুক্রবার দুপুরে জুমার সময় লোজন তেমন থাকে না, কিন্তু আজ প্রচুর লোক ছিল। আর বিকেল থেকে মানুষ ¯্রােতের মত আসতে থাকে। সন্ধায় পুরো মেলা প্রাঙ্গণই লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়ে। বিক্রির প্রসঙ্গ এনে তিনি বলেন, মেলা এখন শেষের দিকে। আজ বাদে আর ৪ দিন আছে। এখন প্রতিদিনই বিক্রি ভাল হচ্ছে।
শুধু আজই নয়, আগামীকালও বিক্রি ভাল হবে উল্লেখ করে তিনি জানান, এখন শুধু গ্রন্থানুরাগীরাই আসছেন মেলায়। তারা খুঁজে খুজে মৌলিক বইগুলোই বেশি কিনছেন।
গ্রন্থমেলার এ শেষ সময়ে কবি-সাহিত্যিকদের উপস্থিতিও বেড়ে গেছে। আজ মেলা চত্বরে কবি আসাদ চৌধুরী, কবি নূরুল হুদা, কথাসাহিত্যিক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, ইমদাদুল হক মিলন, আনিসুল হককে দেখা গেছে। তাদের সবাই নিজ নিজ বইয়ে পাঠকদের অটোগ্রাফ দিতে ব্যস্ত ছিলেন।
আজ একুশে গ্রন্থমেলার ২৪তম দিনে নতুন বই এসেছে ১৪৬টি এবং ৫৩টি নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। মেলায় আজ শিশুপ্রহরও ছিল।
অমর একুশে উদ্যাপন উপলক্ষে সকাল ১০টায় গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে শিশু-কিশোর সংগীত প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান। অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী পাপিয়া সারোয়ার। বিচারকম-লীর সদস্য ছিলেন শিল্পী কল্যাণী ঘোষ, সালাহউদ্দীন আহমেদ, কিরণচন্দ্র রায়। প্রতিযোগিতায় ক-শাখায় প্রথম হয়েছেন মাহির আবিদ অক্ষ, দ্বিতীয় হয়েছেন সিনাতা আহ্মেদ (রিসা) এবং তৃতীয় হয়েছেন দিবা রানী দেব অর্পা। খ-শাখায় প্রথম হয়েছেন অনামিকা সরকার সোমা, দ্বিতীয় হয়েছেন মাশুক কায়সার ইভান এবং তৃতীয় হয়েছেন তানিশা জাহান নরিকা।
বিকেলে গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ব্যারিস্টার আবদুল রসুল : জীবন ও কর্ম শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক গোলাম কিবরিয়া ভূঁইয়া। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মামুন সিদ্দিকী। আলোচনায় করেন তাবেদার রসুল বকুল এবং সুভাষ সিংহ রায়।
অধ্যাপক গোলাম কিবরিয়া ভূঁইয়া বলেন, ব্যারিস্টার আবদুল রসুল একজন অসাম্প্রদায়িক-জাতীয়তাবাদী নেতা হিসেবে নিজের অনন্য ব্যক্তিত্ব গড়ে তুলেছিলেন। বঙ্গভঙ্গবিরোধী জনমত সংগঠনে তাঁর ভূমিকা বাংলার ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছিল অধ্যাপক লিয়াকত আলীর পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্র’, শাহ্ সাদিয়া আফরিন মল্লিকের পরিচালনায় ‘হামিবা সাংস্কৃতিক একাডেমী’ এবং ‘ক্রান্তি শিল্পীগোষ্ঠী’র সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।
আগামীকালও মেলায় শিশুপ্রহর থাকবে এবং মেলার দ্বার খুলবে সকাল ১১টায়। সকাল সাড়ে ১০টায় গ্রন্থমেলার মূল মঞ্চে অমর একুশে উদ্যাপন উপলক্ষে শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন, সংগীত এবং সাধারণ ও উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিশু-কিশোরদের মাঝে পুরস্কার প্রদান করা হবে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান।