ঢাকা, মে ২, ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০১:২৩:৫৬

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

একীভূত হতে চাওয়া ব্যাংকের সম্পদের দাম যেভাবে নির্ধারণ করা হবে টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপির মাথাব্যথার কারণ নেই : ওবায়দুল কাদের বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবারের ঈদ যাত্রাও স্বস্তিদায়ক হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

গোপালগঞ্জ বিভাগ হলে নাম হবে ‘মধুমতি বিভাগ’: পরিকল্পনামন্ত্রী

| ৮ ফাল্গুন ১৪২৩ | Monday, February 20, 2017

ভবিষ্যতে গোপালগঞ্জকে বিভাগ ঘোষণা করা হলে সেই বিভাগের নাম ‘মধুমতি বিভাগ’ হবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। পাশের জেলাগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব নিরসনে এটা প্রধামন্ত্রীর মনোভাব বলেও জানিয়েছেন তিনি।

রোববার রাজধানীর আগারগাঁয়ে পিকেএসএফ অডিটোরিয়ামে এক সেমিনারে পরিকল্পনামন্ত্রী এ কথা জানান।

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের উদ্দেশ্যে ‘পিপলস ভয়েস: স্ট্রেংদেনিং এসডিজি ইমপ্লিমেন্টেশন ইন বাংলাদেশ’ নামে একটি প্লাটফর্ম গঠন করেছে পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)। এর উদ্বোধন উপলক্ষ্যে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যতে যদি গোপালগঞ্জকে বিভাগ ঘোষণার উদ্যোগ নেওয়া হয়, সেটির নাম গোপালগঞ্জ করা হবে না। বিভাগের নাম হবে ‘মধুমতি’। এটাও প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা। তিনিই এই নাম দিয়েছেন। ভবিষ্যতে যত বিভাগ ঘোষণা দেওয়া হবে, তা ওই জেলার নামে হবে না। হবে অন্য কোনো নামে। আর এটা করা হচ্ছে পাশের জেলাগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব নিরসনে। এটা প্রধামন্ত্রীর মনোভাব।

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব সম্পর্কে তিনি বলেন, যেসব দেশের কারণে জলবায়ু দূষণ হচ্ছে তাদের উদ্যোগেই এর সমাধান করতে হবে। কারণ নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশের পক্ষ্যে এই কঠিন কাজ সমাধান সম্বব নয়।

টেকসই উন্নয়ন অর্জন বা এসডিজি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এসডিজি অর্জনের ১৭টি গোলের মধ্যে ১৩ নং গোল অর্থাৎ জলবায়ু দূষণ মোকাবেলা ছাড়া বাকি সবগুলো গোল ২০৩০ সালের মধ্যেই অর্জন করার সম্ভব হবে। কারণ এই লক্ষ্যে অর্জনে সব ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

নিজের ব্যক্তিগত জীবনের উদাহরন টেনে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমি ছিলাম গরীবদের মধ্যেও গরীব। অর্থাৎ গরীবদের লিডার। বেতন দিতে না পারায় স্কুলে তিনবার আমার নাম কেটে দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেশিরাই আমার ফরম ফিলাপের টাকা দিয়েছে। কিন্তু সেই আমি আজ মন্ত্রী। অতএব ইচ্ছা করলে সব কিছুই করা সম্ভব। তাই আমরাও এসডিজি অর্জন করতে পারবো। আমি মনে করি এলডিজি অর্জনের চেয়ে এসডিজি অর্জন করা সহজ হবে।

সেমিনারে পিকেএসএফের সভাপতি ড. খলীকুজ্জামান বলেন, এসডিজি অর্জন করতে হলে দলিত জনগোষ্ঠি, হাওরবাসী, চরবাসীসহ নিম্ন আয়ের মানুষদের মৌলিক চাহিদা পূরণ নিশ্চিত করতে হবে। আর এসব বাস্তবায়ন করতে পারলে এসডিজি বাস্তবায়ন করা সম্ভব। সরকারের এই এসডিজি বাস্তবায়নে পিকেএসএফ এই প্লাটফর্ম গঠন করেছে।

সেমিনারে উপস্থিত খাদ্য মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. আব্দুল ওয়াদুদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি বিষয়ক) মো. আবুল কালাম আজাদ, পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রমুখ।