ঢাকা, মে ৭, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০৯:০০:০০

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

একীভূত হতে চাওয়া ব্যাংকের সম্পদের দাম যেভাবে নির্ধারণ করা হবে টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপির মাথাব্যথার কারণ নেই : ওবায়দুল কাদের বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবারের ঈদ যাত্রাও স্বস্তিদায়ক হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় ৩টি মন্দিরের ২০টি মূর্তি ভাঙচুর

| ২২ পৌষ ১৪২৩ | Thursday, January 5, 2017

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় ৩টি মন্দিরের অন্তত ২০টি মূর্তি ভাঙচুর করা হয়েছে। বুধবার রাতে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার জামাই বাজার ডুমুরিয়া সার্বজনীন দুর্গা মন্দির, হরি মন্দির ও রাধাগোবিন্দ মন্দিরের মূর্তি ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ সবুর ও সোয়েব নমে দুই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।বৃহস্পতিবার সকালে মন্দিরের পূজারি কমলা রানী বালা মন্দিরে এসে মূর্তি ভাঙচুর দেখে গ্রামবাসীকে খবর দেয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে ও বিচারের দাবিতে বিক্ষুব্ধ হিন্দু জনসাধারণ ঘটনাস্থলে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।

খবর পেয়ে গোপালগঞ্জে জেলা প্রশাসক মো. মোখলেসুর রহমান সরকারসহ পুলিশ ও প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তারা স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন ও এ ঘটনার খোঁজ খবর নেন।

মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক নিরাপদ বসু বলেন, বুধবার রাতে মন্দিরের গ্রিল ভেঙে দুর্বৃত্তরা মন্দিরে প্রবেশ করে দুর্গা মন্দির, হরি মন্দির ও রাধা গোবিন্দ মন্দিরের মূর্তি ভাঙচুর করে। এক পর্যায়ে তারা মন্দিরে অগ্নি সংযোগ করে।

ডুমরিয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান শুখময় বাইন অভিযোগ করে বলেন, জামাই বাজার সংলগ্ন এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ড সম্প্রতি একটি লক গেট নির্মাণ করে। গেট নির্মাণ করার সময় সরকারি জায়গায় শ্রমিকরা একটি ঘর তুলে নামাজ আদায় করতেন। ওই ঘরের জায়নামাজসহ অন্যান্য মালামাল কে বা কারা ফেলে দেয়। এ নিয়ে এলাকায় বিরোধ সৃষ্টি হয়। এছাড়া গেট এলাকার সরকারি জায়গায় উত্তর বাঁশবাড়িয়া গ্রামের এজাজ শেখ ও সিরাজ শেখ জোর করে দোকান ঘর তুলতে গেলে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের যুবকরা বেশ কয়েক দফা বাধা দেয়। বুধবার সন্ধ্যায় এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি মিটিয়ে দেয়। রাতে এজাজ শেখকে ওই এলাকায় ৮/১০ জনকে নিয়ে মিটিং করতে দেখা গেছে। সকালে আমরা মন্দিরের মূর্তি ভাঙচুর দেখতে পাই।

এ ব্যাপারে এজাজ শেখের শেখের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

টুঙ্গিপাড়া থানার ওসি মাহামুদুল হক বলেন, দোকান-ঘর তোলার বিরোধকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আমরা এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবদের জন্য দুজনকে আটক করেছি। থানায় মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে আভযোগ দায়ের করার পরই মামলা দায়ের করা হবে। জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অমরা দ্রুতই এ ঘটনার রহস্য উদঘাটন করতে পারবো।