ঢাকা, এপ্রিল ৩০, ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১২:০৩:১৭

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র পুনর্বাসন না করে বস্তিবাসীদের উচ্ছেদ করা হবে না: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি হিসেবে ফের নিয়োগ পেলেন বিপ্লব বড়ুয়া সংসদ অধিবেশন উপলক্ষে সংসদ ভবন ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ আপিলে দ্বিতীয় দিনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৫১ জন নির্বাচনে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি সেনাবাহিনী চায় ইসি : পিএসও আদালত আবমাননায় বিচারক সোহেল রানার সাজার বিরুদ্ধে আপিলের রায় ২৩ জানুয়ারি রাজধানীর ২১টি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৪ জন গ্রেফতার : ডিএমপি নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হবে কিনা, জানালেন ইসি

গাইবান্ধার ছয় রাজাকারের বিরুদ্ধে ফরমাল চার্জ দাখিলের নির্দেশ

| ১৪ পৌষ ১৪২৩ | Wednesday, December 28, 2016

ঢাকা : মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধে গাইবান্ধার ছয় রাজাকারের বিরুদ্ধে আগামী ১২ মার্চ ফরমাল চার্জ (আনুষ্টানিক অভিযোগ) দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে বিচারিক প্যানেল আজ এ আদেশ দেয়। প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মোখলেসুর রহমান এবং প্রসিকিউটর সাবিনা ইয়াসমিন মুন্নী।
ছয় আসামীর মধ্যে আসামি রঞ্জু মিয়া ছাড়া অন্যরা পলাতক। পলাতকরা হলেন-আব্দুল জব্বার, মো. জাফিজার রহমান, আব্দুল ওয়াহেদ, মমতাজ আলী ব্যাপারী ও আজগর হোসেন খান। গত ২৯ মে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্তে সুনির্দিষ্ট চারটি অভিযোগে তথ্য-প্রমান ও সাক্ষ্য পাওয়া গেছে।
অভিযোগ এক. মুক্তিযুদ্ধের সময় জুন মাসের প্রথম দিকে রাজাকার আজগর হোসেন খানের নেতৃত্বে ৮/১০ জন রাজাকার এবং ১৫/২০ জন পাক হানাদার দখলকারসহ গাইবান্ধা জেলা সদরের সাহাপাড়া ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালানো হয়। তারা অম্বিকা চরণ সরকার, দ্বিজেন চন্দ্র সরকার ও আব্দুল মজিদ প্রধানকে নির্যাতন করে। আসামিরা ফুল কুমারী রানী ও তার জা সাধনারানী সরকার আটক করে নির্যাতন করে। তারা মুসলমান হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে কপালের সিঁদুর মুছে এবং হাতের শাখা ভেঙে দিয়ে ছেড়ে দেয়।
অভিযোগ দুই. গাইবান্ধা জেলার সদর থানাধীন সাহাপাড়া ইউনিয়নের নান্দিনা গ্রামে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে আবু বক্কর, তারা আকন্দ, আনছার আলী এবং নছিম উদ্দিন আকন্দসহ মোট ৯ জনকে গুলি করে হত্যা করে এবং ৪০/৫০টি বাড়ির মালামাল লুণ্ঠন করে আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়।
অভিযোগ তিন. একই ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে লাল মিয়া বেপারী, আব্দুল বাকী এবং খলিলার রহমানসহ ৫ জনকে গুলি করে হত্যা করে এ আসামিরা।
অভিযোগ চার. একই ইউনিয়নের নান্দিনা, মিরপুর, সাহারবাজার, কাশদহ, বিসিক শিল্প নগরী, ভবানীপুর এবং চকগায়েশপুর গ্রামে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে নিরস্ত্র মুক্তিযোদ্ধা ওমর ফারুক, ইসলাম উদ্দিন এবং নবীর হোসেনসহ মোট ৭ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়।