ঢাকা, এপ্রিল ২৮, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১৪:০২:৪১

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র পুনর্বাসন না করে বস্তিবাসীদের উচ্ছেদ করা হবে না: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি হিসেবে ফের নিয়োগ পেলেন বিপ্লব বড়ুয়া সংসদ অধিবেশন উপলক্ষে সংসদ ভবন ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ আপিলে দ্বিতীয় দিনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৫১ জন নির্বাচনে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি সেনাবাহিনী চায় ইসি : পিএসও আদালত আবমাননায় বিচারক সোহেল রানার সাজার বিরুদ্ধে আপিলের রায় ২৩ জানুয়ারি রাজধানীর ২১টি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৪ জন গ্রেফতার : ডিএমপি নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হবে কিনা, জানালেন ইসি

খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থন আবার পেছাল

| ২৭ মাঘ ১৪২৩ | Thursday, February 9, 2017

 

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন পিছিয়েছেন আদালত। ১৬ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।

খালেদা জিয়ার পক্ষে সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার পুরান ঢাকার বকশীবাজারে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদার এই দিন ধার্য করেন।

শারীরিক অসুস্থতার কারণে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য আজ আদালতে যাননি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দুটি মামলায় তাঁর পক্ষে সময়ের আবেদন করেন তাঁর অন্যতম আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া ও জয়নুল আবেদিন মেজবাহ।

সময়ের আবেদনে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

শুনানি শেষে বিচারক সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে ১৬ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী দিন ধার্য করেন।

খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী জয়নুল আবেদিন মেজবাহ এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি জানিয়েছেন।

খালেদা জিয়ার আরেক আইনজীবী জাকির হোসেন এনটিভি অনলাইনকে জানান, জিয়া অরফানেজ ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার নিম্ন আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে তাঁরা উচ্চ আদালতে আবেদন করেছেন, যা বর্তমানে বিচারাধীন। এ কারণে উচ্চ আদালতে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এ আদালতের কার্যক্রম মুলতবির আবেদন করেন তাঁরা।

‘একই সঙ্গে খালেদা জিয়া শারীরিক অসুস্থতার কারণে আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। তাই আমরা আদালতের কাছে সময় প্রার্থনা করেন তাঁরা। আদালত খালেদা জিয়ার আবেদন মঞ্জুর করে ১৬ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী দিন ধার্য করেন।’

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০৫ সালে কাকরাইলে সুরাইয়া খানমের কাছ থেকে ‘শহীদ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’-এর নামে ৪২ কাঠা জমি কেনা হয়। কিন্তু জমির দামের চেয়ে অতিরিক্ত এক কোটি ২৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা জমির মালিককে দেওয়া হয়েছে বলে কাগজপত্রে দেখানো হয়, যার কোনো বৈধ উৎস ট্রাস্ট দেখাতে পারেনি।

জমির মালিককে দেওয়া ওই অর্থ ছাড়াও ট্রাস্টের নামে মোট তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা অবৈধ লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।

২০১০ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের নামে তেজগাঁও থানায় দুর্নীতির অভিযোগে এ মামলা করেছিলেন দুদকের সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ।

ওই মামলার অপর আসামিরা হলেন—খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

অন্যদিকে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় আরো একটি মামলা করে দুদক।

মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন—মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।