ঢাকা, মে ৮, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০৩:০৭:২৮

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র পুনর্বাসন না করে বস্তিবাসীদের উচ্ছেদ করা হবে না: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি হিসেবে ফের নিয়োগ পেলেন বিপ্লব বড়ুয়া সংসদ অধিবেশন উপলক্ষে সংসদ ভবন ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ আপিলে দ্বিতীয় দিনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৫১ জন নির্বাচনে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি সেনাবাহিনী চায় ইসি : পিএসও আদালত আবমাননায় বিচারক সোহেল রানার সাজার বিরুদ্ধে আপিলের রায় ২৩ জানুয়ারি রাজধানীর ২১টি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৪ জন গ্রেফতার : ডিএমপি নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হবে কিনা, জানালেন ইসি

কেন মেয়ে হলি, বলেই গলা কাটলো মা

| ২৬ ভাদ্র ১৪২৩ | Saturday, September 10, 2016

 

চার মাসের মেয়েকে কুপিয়ে ও গলাকেটে হত্যা করে ঘরের একটি পুরনো এসির ভেতরে ঢুকিয়ে রাখেন মা নেহা গয়াল

চার মাসের মেয়েকে কুপিয়ে ও গলাকেটে হত্যা করে ঘরেরই একটি পুরনো এসির ভেতরে ঢুকিয়ে রাখলেন এক নারী।

 

ভারতের রাজস্থানের জয়পুরে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত মায়ের নাম নেহা গয়াল।

১১ বছর আগে জয়পুরের সুভাষ নগরের বাসিন্দা রাকেশ গয়ালের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তাদের একটি আট বছরের মেয়ে রয়েছে। দ্বিতীয়বার সন্তান সম্ভবা হন নেহা।

প্রথমবার মেয়ে হওয়ায় মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। তাই দ্বিতীয়বার যাতে কন্যা সন্তান না হয় তার জন্য পুজোপাঠ থেকে শুরু করে তন্ত্র সাধনা- কত কী-ই না করেছিলেন নেহা। কিন্তু সেই কন্যা সন্তানই হয় তার।

পুলিশকে নেহা জানান, দ্বিতীয়বারও কন্যা সন্তান হওয়ায় নিজেকে ঠিক রাখতে পারেননি।

বাড়ির পরিচারিকাই ছোট মেয়ের দেখাশোনা করতেন। তার কাছেই বেশির ভাগ সময় থাকতো। কিন্তু ঘটনার দিন নিজের কাছে ছোট মেয়েকে নিয়ে শুয়েছিলেন নেহা।

পরদিন সকালে চিৎকার করে বাড়ির সকলকে জানান, মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বাড়ির সর্বত্র এবং আশপাশেও খুঁজে দেখেন পরিবারের লোকেরা।

তারপর পুলিশকে খবর দেয়া হয়। পুলিশ এসে চার মাসের ওই কন্যা সন্তানের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করেন এসির ভেতর থেকে।

প্রাথমিকভাবে পুলিশের সন্দেহ হয় বাড়ির পরিচারিকার ওপর। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় পরিবারের সকলকে। শেষ পর্যন্ত সন্দেহের তীর যায় নেহার দিকে।

জেরা করার সময় নেহা কান্নায় ভেঙে পড়েন। কেন তিনি এ কাজ করলেন পুরো ঘটনাটা পুলিশকে জানান।

নেহাই যে তার মেয়েকে খুন করেছেন এটা মেনে নিতে পারছিলেন না তার স্বামী এবং পরিবারের লোকেরা। প্রতিবেশীরাও নেহার এই ধরনের অবাক হয়েছেন।

প্রতিবেশীরা জানান, পুত্র সন্তান না হওয়ায় সব সময়েই মনমরা হয়ে থাকতেন নেহা। কিন্তু এত বড় কাণ্ড ঘটাবেন কেউই ধারণা করতে পারেননি।

তথ্যসূত্র- এনডিটিভি ও আনন্দবাজার