সাত খুনের রায় ঘোষণায় পর দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদেরকে নিয়ে বিভিন্ন কারাগারের উদ্দেশ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণ ছেড়েছে প্রিজন ভ্যান।
আজ সোমবার সকাল ১০টার কিছু সময় পর রায় ঘোষণা শেষে আসামিদের একে একে এজলাস থেকে বের করে কঠোর নিরাপত্তায় প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। এ সময় র্যাব, পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সতর্ক অবস্থান লক্ষ্য করা যায়।
মামলার ৩৫ আসামির মধ্যে কারাগারে আটক ২৩ আসামিকে আদালতে হাজির করে সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন ও সাবেক তিন র্যাব কর্মকর্তাসহ ২৬ জনের ফাঁসি ও ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে এ রায় ঘোষণা করা হয়।
নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংকরোড থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়। তিন দিন পর ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদীতে ছয়জনের এবং পরদিন প্রায় একই স্থান থেকে আরেকজনের লাশ পাওয়া যায়।
নজরুলের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম সে সময় অভিযোগ করেন, র্যাবকে ছয় কোটি টাকা দিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা নূর হোসেন ওই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। পরে র্যাবের অভ্যন্তরীণ তদন্তেও আর্থিক লেনদেনের সত্যতা মেলে। হত্যাকাণ্ডের প্রায় এক বছর পর ২০১৫ সালের ৮ এপ্রিল নূর হোসেন এবং র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেয় পুলিশ। দু’টি মামলায় ৩৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিলেও সে সময় অধরা ছিল নূর হোসেনসহ ১৩ আসামি।