ঢাকা, মে ২, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১৬:২৯:৩১

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

একীভূত হতে চাওয়া ব্যাংকের সম্পদের দাম যেভাবে নির্ধারণ করা হবে টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপির মাথাব্যথার কারণ নেই : ওবায়দুল কাদের বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবারের ঈদ যাত্রাও স্বস্তিদায়ক হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

কাঁটাতার উপেক্ষা করে বেনাপোলে ২ বাংলার মহামিলন মেলা

| ১০ ফাল্গুন ১৪২৩ | Wednesday, February 22, 2017

কাঁটাতার উপেক্ষা করে বেনাপোলে  ২ বাংলার মিলনমেলা

 

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ভাষার টানে দুই বাংলার হাজারো ভাষাপ্রেমী মানুষ মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় বেনাপোল চেকপোস্ট নোমান্সল্যান্ড এলাকায়। ভৌগোলিক সীমারেখা ভুলে কেবলমাত্র ভাষার টানে মঙ্গলবার সকালে সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া উপেক্ষা করেই দলে দলে মানুষ যোগ দেন একুশের মিলনমেলায়।

 

‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস অমর হোক বিশ্বজুড়ে বাংলা ভাষা চালু হোক’ এই শ্লোগান নিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধায় মাথানত করতে বাংলাদেশের বাঙালিদের সঙ্গে মিলিত হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিরাও। সীমান্তের নোম্যান্স ল্যান্ডে অস্থায়ী শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান দুই বাংলার মানুষ, রাজনৈতিক ,সামাজিক, ব্যবসায়িক ও সাংস্কৃতিক দল এবং সরকারি কর্মকর্তরাও। দু’দেশের বেনাপোল ও পেট্রাপোল বনগাঁও পৌরসভা যৌথভাবে এই মিলনমেলার আয়োজন করেন।

 

নোমান্স ল্যান্ডে নির্মিত অস্থায়ী শহীদ বেদিতে ১০ টায় প্রথম ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, তথ্য ও প্রযুক্তি দফতরের মন্ত্রী শ্রীমতি ব্রাত্য বসু , সংসদ সদস্য শ্রীমতি মমতা ঠাকুর, বিধায়ক শ্রী বিশ্বজিত দাস, বিধায়ক শ্রী সুরজিত কুমার বিশ্বাস, বনগাও পৌরসভার চেয়ারম্যান শ্রী-শংকর আঢ্য ও কবি সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় ও বাংলাদেশের আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য পীযুষ কান্তি ভট্টাচার্য্য, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিন চাকলাদার, বিজিবির অধিনায়ক কর্নেল জাহংগীর হোসেন ও পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান। স্বাধীন বাংলা বেতার শিল্পী খরুশিদ আলম ও রথীন্দ্রনাথ রায়। উভয় দেশের বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক সংগঠনগুলো শতস্ফূর্তভাবে অংশ নেয় এ অনুষ্ঠানে। মিলন মেলার অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বেনাপোল পৌর সভার  মেয়র আশরাফুল আলম লিটন।

 

দু-বাংলার মানুষ একই মঞ্চে গাইলেন ভাষা শহীদদের স্মরণে বাংলার জয়গান। নেতারা শ্রদ্ধা জানাতে হাতে হাত রেখে ঊর্ধ্বে তুলে ধরলেন বাংলা ভাষাকে। মহান শহীদ দিবস উপলক্ষে বেনাপোল চেকপোস্ট নোম্যান্স ল্যান্ডে এভাবেই কাটালেন দুই বাংলার ‘বাংলা ভাষাভাষী’ মানুষ। একই আকাশ-একই বাতাস, দুই বাংলার মানুষের ভাষা এক। ‘‘আমরা বাংলা ভাষায় কথা বলি বলে বাংলাদেশের মানুষের জন্য আমাদের প্রাণ কাঁদে। তাই তো বারবার ছুটে আসি দুই দেশের বাঙালি বাংলাভাষী মানুষের পাশে।”