ঢাকা, মে ৪, ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১৩:২৭:৫৯

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

একীভূত হতে চাওয়া ব্যাংকের সম্পদের দাম যেভাবে নির্ধারণ করা হবে টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপির মাথাব্যথার কারণ নেই : ওবায়দুল কাদের বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবারের ঈদ যাত্রাও স্বস্তিদায়ক হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

কমান্ডো অভিযান শেষ, ভবন এখনো ঝুঁকিপূর্ণ

| ১৪ চৈত্র ১৪২৩ | Tuesday, March 28, 2017

 

সিলেটের শিববাড়ির আতিয়া মহলে শেষ হয়েছে সেনাবাহিনীর অভিযান। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’-এর সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে আতিয়া মহল হস্তান্তর করা হয়েছে পুলিশের কাছে।

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সিলেটের জালালাবাদ সেনানিবাসে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান অভিযানের মুখপাত্র সেনা গোয়েন্দা পরিদপ্তরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফখরুল আহসান।

অভিযান শেষ হলেও ভবনটিতে আরো বিস্ফোরক থাকার সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফখরুল আহসান। এ কারণে ভবনটি এবং এর আশপাশের এলাকা এখনো ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানিয়েছেন তিনি। অভিযানে ১০টির মতো বোমা ধ্বংস করা হয়েছে। যেহেতু এখন ভবনটির দায়িত্ব পুলিশের, এ কারণে এখন থেকে ভবনটিতে বোমা থাকলে তা উদ্ধার করা এবং নিষ্ক্রিয় করার দায়িত্ব পুলিশের বলে জানিয়েছেন তিনি।

অভিযানের ব্যাপারে ফখরুল আহসান বলেন, ‘অপারেশনের প্রথম পর্বটি ছিল সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ।’ তিনি জানান, গত ২৫ মার্চ দুপুর ১টার মধ্যে ভবন থেকে ৩০ জন পুরুষ, ২৭ জন নারী ও ২১ জন শিশুসহ মোট ৭৮ জনকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়। তিনি বলেন, ‘নিচতলার উদ্ধার অভিযান ছিল সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। কমান্ডো সদস্যরা অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অভিনব পন্থা অবলম্বন করে সব বাসিন্দাকে নিরাপদে সরিয়ে আনে।’

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফখরুল আহসান আরো বলেন, ‘এরপর অভিযান দল তাদের দ্বিতীয় পর্বের তথা জঙ্গিদের নির্মূলের কার্যক্রম শুরু করে। এ পর্বে সেনাবহিনীর কমান্ডোদের পাশাপাশি স্নাইপার দল এপিসিসহ বিশেষায়িত অনেক সদস্য নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করেন। তিন দিন একটানা বিভিন্ন কৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে ২৭ মার্চ বিকেলের মধ্যে চারজন জঙ্গিকে নির্মূল করা হয়। মূলত গতকালই অভিযান শেষ হয়। তবে আরো বিশদ তল্লাশি ও নিশ্চিত হওয়ার জন্য আজকের দিনটি ব্যবহার করা হয়। গতকাল দুটি মৃতদেহ বের করে পুলিশ প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বাকি যে দুটি মৃতদেহ ছিল সেগুলো সুইসাইডাল ভেস্টসহ থাকায় অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিল। নিরাপত্তা বিবেচনায় এবং পুলিশ প্রশাসনের পরামর্শে ঘটনাস্থলেই এগুলোর বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। বিস্ফোরণের আগে প্রয়োজনীয় ছবি ও ভিডিও সংগ্রহ করা হয়। সব কার্যক্রম শেষে আজ বিকেলে ভবনটি ক্রাইমসিন হিসেবে পুলিশ প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হয়।’

অভিযান পরিচালনায় পুলিশ, র‍্যাব, সোয়াট, ফায়ার সার্ভিস, বিভিন্ন সেবা প্রদানকারী সংস্থাসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফখরুল আহসান।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন র‍্যাব ৯-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ, আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রাশেদুল হাসান ও সিলেট মহানগর পুলিশের কমিশনার গোলাম কিবরিয়া।