ঢাকা, এপ্রিল ২৬, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ২১:২৫:২৫

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

একীভূত হতে চাওয়া ব্যাংকের সম্পদের দাম যেভাবে নির্ধারণ করা হবে টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপির মাথাব্যথার কারণ নেই : ওবায়দুল কাদের বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবারের ঈদ যাত্রাও স্বস্তিদায়ক হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

কফি আনান কমিশনের পূর্ণ বাস্তবায়ন চায় সুইজারল্যান্ড

| ২৫ মাঘ ১৪২৪ | Wednesday, February 7, 2018

কক্সবাজার: সফররত সুইস প্রেসিডেন্ট আঁলা বেরসে কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও সম্মানজনক প্রত্যাবাসনের মাধ্যমে এই সংকট সমাধানে কফি আনান কমিশন রিপোর্টের পূর্ণ বাস্তবায়নের আহবান জানিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে কক্সবাজারের উখিয়ায় কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই আহ্বান জানান।
আঁলা বেরসে জানান কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশের সঙ্গে সুইজারল্যান্ড কাজ করবে। বেরসে মিয়ানমার থেকে আগত শরণার্থীদের স্বাগত জানানো এবং আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের আপ্রাণ প্রচেষ্টার ভূয়সী প্রশংসা করেন। স্বেচ্ছায়, নিরাপদে এবং সম্মানের সাথে শরণার্থীদের তাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে দেয়ার ওপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি ক্যাম্পে বসবাসরত নারী ও শিশুদের পরিস্থিতি এবং তরুণ প্রজন্মের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তাদের বাড়তি নিরাপত্তার উপর জোর দেন।
তিনি বলেন, বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ যে মহানুভবতার পরিচয় দিয়েছে, তা নজিরবিহীন। এ জন্য বাংলাদেশ আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসা ও সম্মান পেয়েছে।
তিনি বলেন, এতো বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গার ভরণ-পোষণ বাংলাদেশের একার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই রোহিঙ্গা সংকটে ত্রাণ সহায়তাসহ নানা তৎপরতার মাধ্যমে সুইজারল্যান্ড সরকার আন্তরিকভাবে বাংলাদেশের পাশে রয়েছে।
আঁলা বেরসে একটি বিশেষ বিমানযোগে ঢাকা থেকে মঙ্গলবার সকাল ১১টায় কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। সেখান থেকে তিনি কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) স্থাপিত রোহিঙ্গা ইউনিট পরিদর্শন করেন।
তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রোহিঙ্গা রোগীদের সাথে কথা বলেন এবং চিকিৎসা ব্যবস্থার খোঁজ-খবর নেন।
বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তিনি উখিয়ার কুতুপালং পৌঁছে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। সুইস রাষ্ট্র প্রধান কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-৪ ব্লকে একটি মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করেন। পরে তিনি ডি-৫ ব্লকে রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রাণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। সেখানে তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। এসময় তিনি বেশ কয়েক জন রোহিঙ্গার সঙ্গে।
সুইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ এম মাহমুদ আলী, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এবং দু’দেশের প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, আইওএম ও ইউএনএইচসিআরসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।