কঠোর নিরাপত্তায় এবারের এইচএসসি ও সমমানের প্রথম পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলো। বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী সকাল সাড়ে নয়টার মধ্যে কেন্দ্রে প্রবেশ করে পরীক্ষার্থীরা। প্রথমবারের মত সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা দেয়া নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানায় তারা।
শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে সবকিছুই করা হয়েছে। প্রশ্নফাঁস না হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করে আগামী পরীক্ষাগুলোও নির্বিঘ্ন করতে সবধরনের পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকরা।
প্রশ্ন ফাঁসের আলোচনা-সমালোচনা আর ফাঁস রোধে নেয়া পদক্ষেপের মধ্যে শুরু হলো এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। পরীক্ষা শুরুর সময় সকাল দশটা। প্রথম দিন. মনের মধ্যে অজানা ভয়, রাস্তার যানজট সবকিছু মিলিয়ে তাই এক থেকে দেড়-ঘণ্টা আগে থেকেই পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে ভিড় করতে থাকে শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে আসেন অভিভাবকরাও।
অভিভাবকরা জানান, আমরা প্রশ্নফাঁসের বিষয়ে সব সময়েই আতঙ্কে থাকি, কখন প্রশ্নফাঁস হয়ে যায়। প্রশ্নফাঁস যদি পুরোপুরিভাবে বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে খুব ভাল হতো।
অন্য আরেকজন জানান, আমরা চাই পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস না হোক। আমি চাই আমার সন্তান ভাল মানুষ হোক।
নির্দেশনা অনুযায়ী হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়া সাড়ে ৯টার মধ্যেই সব পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করে। প্রবেশের সময় শিক্ষকরা একে একে সবাইকে তল্লাশি করার পর ভেতরে প্রবেশ করতে দেন।
প্রশ্ন ফাঁস রোধে এবারে সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ অনুযায়ী সকাল নয়টা পঁয়ত্রিশ মিনিটে প্রশ্নপত্রের সিলগালা খোলার পর ঠিক ১০ টায় শুরু হয় পরীক্ষা। পরীক্ষা শুরুর পরপর রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরিদর্শন করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে সম্ভব সবই করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মানুষের পক্ষে যা করা সম্ভব, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আশা করি আপনারা সকলের আমাদের সহযোগিতা করবেন। এছাড়াও যারা প্রশ্নফাঁস করে,তারাও বুঝতে পারবে যে প্রশ্নফাঁস করা সঠিক কাজ নয়।
টানা ৩ ঘন্টা বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষা দিয়ে কেন্দ্রের বাইরে আসে পরীক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা জানান, প্রশ্ন একটু কঠিন ছিল, তবে পরীক্ষা ভাল হয়েছে।
প্রথম দিনের পরীক্ষার মত বাকী পরীক্ষাগুলোও নির্বিঘ্নে হবে এমন প্রত্যাশা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কণ্ঠে। এজন্য সরকারকে আরো কঠোর হবার দাবি জানান তারা।