ঢাকা, এপ্রিল ২৯, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১২:২৭:০৪

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

একীভূত হতে চাওয়া ব্যাংকের সম্পদের দাম যেভাবে নির্ধারণ করা হবে টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপির মাথাব্যথার কারণ নেই : ওবায়দুল কাদের বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবারের ঈদ যাত্রাও স্বস্তিদায়ক হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

এশিয়ার প্রভাবশালী নারী মেয়রদের তালিকায় আইভী

| ১৮ শ্রাবণ ১৪২৩ | Tuesday, August 2, 2016

নারায়ণগঞ্জ : ‘দ্যা এশিয়ান’ নামে একটি সাময়িকীতে দক্ষিণ এশিয়ার প্রভাবশালী নারী মেয়রদের তালিকায় সাত নম্বরে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভীর নাম দেখা গেছে। ওই তালিকাতে এশিয়ার ২০ জন নারী মেয়রের নাম ও সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেয়া হয়েছে।

১ আগস্ট দুপুরে কোরিয়া থেকে প্রকাশিত প্রভাবশালী সাময়িকী ‘দ্যা এশিয়ান’ তাদের সাময়িকীতে ওই তালিকাটি প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, ভার্জিনা রাগী হলেন রোমের প্রথম নারী নির্বাচিত মেয়র। তিনি ৬৭ দশমিক ২ ভাগ ভোট পেয়ে জয়ী হন এবং রোমের সিটি হল থেকে ‘বৈধতা এবং স্বচ্ছতা’ আনতে কাজ করার অঙ্গীকার করেন। গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বের মেয়রদের ৫ ভাগ নারী এবং বিশ্বব্যাপী মাত্র ২০ ভাগ নারী স্থানীয় কাউন্সিলর হিসেবে রয়েছেন।

ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী ১৯৬৬ সালের ৬ জুন নারায়ণগঞ্জের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। মা মমতাজ বেগম ও বাবা সাবেক পৌর চেয়ারম্যান আলী আহাম্মদ চুনকা। চুনকা পরিবারের পাঁচ সন্তানের মধ্যে ডা. আইভী হলেন প্রথম সন্তান।

২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর ১ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব গ্রহণ করেন মেয়র আইভী। ডা. সেলিনা হায়াত আইভী দেশের সিটি করেপোরেশনের নির্বাচিন প্রথম নারী মেয়র।

২০১১ সালের ৩০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আইভী বিপুল ভোটে জয়ী হন। ওই নির্বাচনে দলের সমর্থন না পেলেও একচুল পিছু হটেনি আইভী। আওয়ামী লীগ নাসিক নির্বাচনে শামীম ওসমানকে সমর্থন দেয়ার পরও আইভী নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দেন। তার পক্ষে নির্বাচন পরিচালনা করতে গঠন করা হয় ‘সম্মিলিত নাগরিক পরিষদ’। নির্বাচনে দোয়াত-কলম প্রতীকে আইভী পেয়েছিলেন ১ লাখ ৮০ হাজার ৪৮ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বীরা পান আতিকুল ইসলাম জীবন (তালা) ১ হাজার ৮৫৫ ভোট, তৈমুর আলম খন্দকার (আনারস) ৭ হাজার ৬১৬, আতিকুর রহমান নাননু মুন্সী (গরুর গাড়ি) ৬ হাজার ৬ হাজার ৬১২, শরীফ মোহাম্মদ (হাঁস) ১ হাজার ৪৮৩, শামীম ওসমান (দেওয়াল ঘড়ি) ৭৮ হাজার ৭০৫ ৪৮ ভোট।

তার শিক্ষাগত যোগ্যতা এমবিবিএস। আইভীর বাবা আলী আহাম্মদ চুনকা শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন, স্বাধীনতার পর দুই-দুবার (১৯৭৪ সালের ৪ মার্চ হতে ১৯৭৭ সালের ৯ মার্চ এবং ১৯৭৭ সালের ১০ সেপ্টেম্বর হতে ১৯৮৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর) নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।

১৯৭৪ সালে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৮৪ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি মারা যান নারায়ণগঞ্জ পৌরপিতার উপাধিপ্রাপ্ত আলী আহাম্মদ চুনকা। ১৯৮৬ সালে আইভী বৃত্তি নিয়ে পড়তে যান তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের ওদেসা নগরের পিরাগভ মেডিকেল ইনস্টিটিউটে। আলী আহাম্মদ চুনকার পাঁচ সন্তানের মধ্যে সবার বড় হলেন ডা. সেলিনা হায়াত আইভী।

২০০৩ সালের ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচনের মাত্র ১৭ দিন আগে নিউজিল্যান্ড থেকে তাকে উড়িয়ে দেশে আনা হয়। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দিয়ে তার পক্ষে নারায়ণগঞ্জে জোর প্রচারণা চালান দলের কেন্দ্রীয় অনেক নেতা।