সোমবার মিন্টো রোডের ডিবি অফিস থেকে ‘ইউরেনিয়াম’ ভর্তি চামড়ার বাক্সটি সিলগালা করে কমিশনে পাঠানো হয়
রাজধানীর বনানীর একটি বাসা থেকে উদ্ধার করা কথিত ইউরেনিয়াম পরীক্ষার জন্য আণবিক শক্তি কমিশনে পাঠানো হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া কথিত ইউরেনিয়াম
সোমবার মিন্টো রোডের ডিবি অফিস থেকে ‘ইউরেনিয়াম’ ভর্তি চামড়ার বাক্সটি সিলগালা করে কমিশনে পাঠানো হয়।
এদিকে, গ্রেফতার হওয়া ‘ইউরেনিয়াম’ চক্রের ১১ সদস্যকে গোয়েন্দা হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে। তারা যাদের কাছ থেকে ‘ইউরেনিয়াম’ভর্তি চামড়ার ব্যাগটি পেয়েছিল, সেই নেপথ্য চক্রের বেশ কয়েকজন সদস্যের নাম জানিয়েছে। ডিবি পুলিশ এখন যাচাই করে তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
গত শনিবার রাতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ বনানীর একটি বাসা থেকে চামড়ার তৈরি একটি বাক্স উদ্ধার করে। ওই ঘটনায় ময়নাল হোসেন সাগর, হুমায়ুন কবির, কাইয়ুম চৌধুরী, কায়েস আহমেদ, মো. খালেক, স্বপন মোল্লা, মো. ফিরোজ, মাহফুজুর রহমান নাসিম, আসলাম মিয়া, মঈনুদ্দীন রাজন ও তোফায়েল আহমেদ পাটোয়ারী নামের ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার করা ব্যক্তিদের দাবি, বাক্সটির ভেতর দুই পাউন্ড ওজনের ইউরেনিয়াম রয়েছে। এগুলো তারা বিক্রির জন্য ক্রেতা খুঁজছিলেন।
রোববার ১১ জনকেই আদালতের মাধ্যমে চার দিন করে রিমান্ডে নেয় ডিবি পুলিশ। সোমবার তাদের রিমান্ডের প্রথম দিন ছিল।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (দক্ষিণ) নাসির উদ্দিন খান সমকালকে বলেন, ‘গ্রেফতার আসামিরা দাবি করেছেন, চামড়ার বাক্সে ইউরেনিয়াম রয়েছে। তবে বাক্সের ভেতর আসলেই কী- ডিবি পুলিশ তা নিশ্চিত নয়। এ জন্য আদালতের মাধ্যমে পুরো বাক্সটি সিলগালা করে আণবিক শক্তি কমিশনে পাঠানো হয়েছে। সেখানে বিশেষজ্ঞরা ল্যাবে পরীক্ষা শেষে বলতে পারবেন, বাক্সের ভেতরে থাকা বস্তুগুলো আসলেই ইউরেনিয়াম কি-না।’
পরীক্ষার ফল কবে নাগাদ পাওয়া যাবে, তা এখনও নিশ্চিত হওয়ায় যায়নি বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।