ঢাকা, মে ৫, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১৭:৫১:২৩

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় আসার নিশ্চয়তা না পেয়ে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে : প্রধানমন্ত্রী মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মানুষের সাংস্কৃতিক সম্পৃক্ততার আহ্বান তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর সংসদে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে স্বতন্ত্র সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী প্রকল্প বাস্তবায়নে অসাধারণ সাফল্য দেখিয়েছে পিপিপি বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আগমন স্বচ্ছ নির্বাচনে সহায়ক : তথ্যমন্ত্রী

ইতিহাস কেউ মুছে ফেলতে পারে না : প্রধানমন্ত্রী

| ২৩ ফাল্গুন ১৪২৪ | Wednesday, March 7, 2018

 

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : ফোকাস বাংলা

‘জাতির পিতার নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। বিকৃত ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছিল। ইতিহাস কেউ মুছে ফেলতে পারে না। নিশ্চিহ্ন করতে পারে না। আজ তা প্রমাণিত হয়েছে।’

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে আয়োজিত জনসভায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ওই জনসভার আয়োজন করে আওয়ামী লীগ। দুপুর সোয়া ২টার দিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সূচনা বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হয় জনসভা।

জনসভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী ভাষণ শুরু করেন। ৫টা ২৩ মিনিটে তাঁর বক্তব্য শেষ হয়।

১৯৭১ সালের এই দিনে এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই (তৎকালীণ রেসকোর্স ময়দান) বাঙালির মুক্তির সংগ্রামের ডাক দেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘৭ মার্চ জাতির পিতা গেরিলা যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।’ তিনি বলেন, ‘একটিমাত্র ভাষণ, যা লিখিত ছিল না। ছিল জাতির পিতার মনের কথা। যে ভাষণের মধ্য দিয়ে নিপীড়নের ইতিহাস যেমন উঠে এসেছে। মুক্তিযুদ্ধের জন্য কী কী করণীয় তা বলে দিয়েছেন। বাংলাদেশের জনগণ অক্ষরে অক্ষরে তা মেনে চলত।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘৭ মার্চের ভাষণ আজ বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। ভাষণটি আড়াই হাজার বছরের মধ্যে সবচেয়ে অন্যতম ভাষণ হিসেবে একটি বইয়ে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। যার লেখক জ্যাকব এফ ফিল্ড।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘হাতে পেয়েছিলেন মাত্র সাড়ে তিন বছর। এ্ সময় একটা প্রদেশকে রাষ্ট্রে উন্নীত করা, বিশ্বের অন্যান্য দেশের স্বীকৃতি লাভ করা, বাংলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা, শরণার্থীদের পুনর্বাসন, আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা করা, রাস্তাঘাট মেরামত করেছিলেন তিনি। তিনি সবুজ বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৭৫ এর পর ২১ বছর বাংলার মানুষ ব্ঞ্চনার শিকার হয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘খুন হলে সবাই বিচার চায়। আমার পরিবারের সবাইকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু বিচার চাওয়ার অধিকার ছিল না।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ বিশ্বসভ্যায় আবার মর্যাদা নিয়ে চলবে। সে লক্ষ্যেই কাজ করেছি।’ তিনি আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগ থাকলে দেশের উন্নতি হয়। অন্যরা থাকলে হয় না কেন? কারণ তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসই করেনি।’