ঢাকা, মে ৮, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ২০:৩৫:৫১

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

একীভূত হতে চাওয়া ব্যাংকের সম্পদের দাম যেভাবে নির্ধারণ করা হবে টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপির মাথাব্যথার কারণ নেই : ওবায়দুল কাদের বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবারের ঈদ যাত্রাও স্বস্তিদায়ক হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

আ. লীগ অনাস্থা জানানোয় ইসির যুগ্ম সচিবকে খুলনায়!

| ২৬ বৈশাখ ১৪২৫ | Wednesday, May 9, 2018

 

আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে আজ বুধবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।

‘খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ইউনুস আলীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এসেছে, আমরা তার সত্যতা পাইনি। তবে পক্ষে-বিপক্ষে কথা ওঠার কারণে তিনি যেন সুন্দরভাবে কাজ করতে পারেন সেজন্য আমরা একজন যুগ্ম সচিবকে সেখানে পাঠিয়েছি।’ বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।

আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে আজ বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব এই মন্তব্য করেন।

আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদল খুলনার রিটার্নিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পক্ষপাতদুষ্টের অভিযোগ এনেছে। আপনারা তার বিরুদ্ধে এসবের সত্যতা পেয়েছেন কি না- এমন প্রশ্নে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এসেছে আমরা তার সত্যতা পাইনি। তবে তার পক্ষে-বিপক্ষে কথা ওঠার কারণে তিনি যাতে সুন্দরভাবে কাজ করতে পারেন সেজন্য আমরা একজন যুগ্ম সচিবকে সেখানে নিয়োগ দিয়েছি।

ইসি সচিব বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রথম এ ধরনের একটি নির্বাচন পরিচালনা করছেন। কিছু সমস্যা হওয়ার কথা। আপনিও যদি এই পরিস্থিতিতে থাকতেন তবে এমনই হতো।

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি জেলা পুলিশ সুপারের প্রত্যাহারের দাবি তুললেও সেখানে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কিন্তু আওয়ামী লীগ খুলনার রিটার্নিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনাস্থা দেখানো মাত্রই সেখানে আরেকজন কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এটা কতটা যৌক্তিক, এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘অভিযোগ এলে আমরা আগে সেটা খতিয়ে দেথি। খুলনার রিটার্নিং অফিসার সম্পর্কে তারা আগেও অভিযোগ দিয়েছিল, আজকে আবার দিয়েছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখে কিছু দুর্বলতা পেয়েছি, তাই সেখানে একজনকে পাঠানো হয়েছে।’

এর আগে আজ বিকেল পৌনে ৫টার দিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদার সভাকক্ষে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদলের বৈঠক শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ ও আবদুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট রিয়াজুল কবির কাওসার।

বৈঠকে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সিইসি কেএম নুরুল হুদা, নির্বাচন কমিশনার মাহাবুব তালুকদার ও শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী, নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ ও অতিরিক্ত সচিব মো. মোখলেচুর রহমান।

বৈঠক শেষে সন্ধ্যা ৬টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম সাংবাদিকদের বলেন, খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ইউনুস আলী পক্ষপাতদুষ্ট। তিনি অতীতে একটি বিশেষ দলের সঙ্গে ছিলেন এবং সংবিধান বিরোধী মনোভাব পোষণ করেন।

এইচ টি ইমাম বলেন, খুলনা নির্বাচন সম্পর্কে, পরিচালনা সম্পর্কে, রিটার্নিং অফিসার, আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা, প্রিজাইডিং অফিসার সম্পর্কে সব মিলিয়ে আমরা দেখেছি সেখানে একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই। আমরা মূলত যেটা বলেছি বর্তমান যে আরপিও ও নির্বাচনী আচরণবিধি সেটি যে সময় তৈরি করা হয়েছিল তখন থেকে এখনাকার অবস্থার একটি বিরাট পরিবর্তন হয়েছে। এখন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ওই আরপিও আর চলে না। এখানে আরপিও থাকার ফলে আমার অনেক বড় নেতা (সবাই এমপি) নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে পারছে না। অন্যদিকে অন্য সব দলের সবাই নির্বাচনে ঝাপিয়ে পড়েছে। এর ফলে নির্বাচনী প্রচারণায় যে অসমতল ব্যবস্থা এটির প্রতিকার করা দরকার। আর আগামীতে এ রকম যাতে না হয় সেটিও আমরা বলেছি।

প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা আরো বলেন, এককালে সময় খুলনা সন্ত্রাসের জনপদ হিসেবে পরিচিত ছিলো। এখন নির্বাচনী সুযোগ বুঝে সন্ত্রাসীরা দলের ছত্রছায়ায় দলে দলে ঢুকে যাচ্ছে। সুতরাং তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া যায় সেটা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

আপনারা বলছেন, খুলনায় লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই। আবার বিএনপির অভিযোগ, সেখানে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই। এরই মধ্যে বিএনপির অনেককেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আপনি কী মনে করেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে এইচ টি ইমাম বলেন, এটা একেবারেই মিথ্যা। যাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা প্রত্যেকেই চিহ্নিত আসামি। তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট মামলা আছে। এরা পলাতক ছিল। এখন নির্বাচনের সময় তারা এসেছে।

খুলনার রিটার্নিং কর্মকর্তার প্রতি আপনাদের অনাস্থা সেটা আপনারা নির্বাচন কমিশনে বলেছেন। আপনাদের কি বলেছে কমিশন- এমন প্রশ্নে এইচ টি ইমাম বলেন, নির্বাচন কমিশন আমাদের বলেছে, তারা এরই মধ্যে পদক্ষেপ নিয়ে খুলনায় একজন সিনিয়র কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছেন তাঁকে তত্ত্বাবধায়ন করার জন্য। এবং এটাই আমরা চাচ্ছিলাম। তা না হলে এই রকম একজন পক্ষপাতদুষ্ট যার অতীত একেবারেই কালিমা লিপ্ত। তিনি এখনো ওই রকমভাবেই ব্যবহার করছেন।