ঢাকা, এপ্রিল ২৯, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০৭:২১:৫২

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

একীভূত হতে চাওয়া ব্যাংকের সম্পদের দাম যেভাবে নির্ধারণ করা হবে টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপির মাথাব্যথার কারণ নেই : ওবায়দুল কাদের বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবারের ঈদ যাত্রাও স্বস্তিদায়ক হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

আ.লীগকে নতুন করে ঢেলে সাজানো হবে: শেখ হাসিনা

| ৭ বৈশাখ ১৪২৬ | Saturday, April 20, 2019

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদের যৌথ সভায় সভাপতিত্ব করেন। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ, ঢাকা, ১৯ এপ্রিল। ছবি: পিআইডিপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদের যৌথ সভায় সভাপতিত্ব করেন। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ, ঢাকা, ১৯ এপ্রিল। ছবি: পিআইডিআওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তৃণমূল থেকে আওয়ামী লীগকে নতুন করে ঢেলে সাজানো হবে। আমরা আট বিভাগের জন্য আটটি কমিটি করেছি, এই কমিটিগুলোর দায়িত্ব থাকবে তৃণমূলকে নতুন করে ঢেলে সাজানো।

আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদের যৌথ সভার সূচনা বক্তব্যে দলের সভাপতি শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আজকে উপদেষ্টা পরিষদ এবং কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ একসঙ্গে বসেছি। সেই সঙ্গে আমরা আর একটি কাজ করতে চাই, ইতিমধ্যে আমাদের প্রেসিডিয়াম মিটিং করেছি, ওয়ার্কিং কমিটির মিটিং করেছি। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, প্রেসিডিয়াম কার্যকরী সদস্যের নিয়ে আটটি বিভাগে কমিটি গঠন করেছি। তিনি বলেন, যে কমিটির দায়িত্ব থাকবে আমাদের সংগঠনগুলো একেবারে তৃণমূল পর্যায় থেকে নতুন করে ঢেলে সাজানো। কোথায় কমিটি আছে, না আছে সেগুলো দেখা। সাংগঠনিকভাবে আওয়ামী লীগকে আরও মজবুত করে গড়ে তোলা, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সাধারণত রাষ্ট্র পরিচালনা করতে গেলে অনেক সময় সরকার ধীরে ধীরে মানুষের কাছ থেকে হারিয়ে যায় বা তাদের জনপ্রিয়তা হ্রাস পায়। কিন্তু আল্লাহর রহমতে আমরা আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর থেকে জনগণের আস্থা, বিশ্বাস অর্জন করেছি, জনপ্রিয়তা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি আরও বলেন, জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির কারণে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণ আওয়ামী লীগকে সমর্থন করেছে। যদি এবারের নির্বাচনের দিকে তাকান, দেখবেন সব শ্রেণি-পেশার মানুষ আওয়ামী লীগকে সমর্থন করেছে। যেটা অতীতে কখনো দেখা যায়নি।আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, এবার সব শ্রেণি-পেশার মানুষ আওয়ামী লীগকে সমর্থন জানিয়েছে। এমনকি ব্যবসায়ী সম্প্রদায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে আওয়ামী লীগকে সমর্থন করেছে। কৃষক, শ্রমিক, শিক্ষক, ছাত্র; সবচেয়ে বড় কথা যারা প্রথমবারের ভোটার, নবীন ভোটার, সবাই আওয়ামী লীগ সরকারকে আবার চেয়েছে। তাদের সেবা করার জন্য মানুষ ভোট দিয়েছে।

বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন জোটের ভরাডুবির কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, মিলিটারি ডিক্টেটর ক্ষমতা দখল করে ক্ষমতায় গিয়ে বিএনপি গঠন করেছে, খুব স্বাভাবিকভাবে এরা হচ্ছে পরজীবীর মতো। নির্বাচনকে তারা মনে করেছে ব্যবসা। টিকিট বেচে তারা কিছু পয়সা কামাই করে নিয়েছে। কিন্তু নির্বাচনের প্রতি তাদের খুব একটা নজর ছিল না।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদের যৌথ সভায় সভাপতিত্ব করেন। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ, ঢাকা, ১৯ এপ্রিল। ছবি: পিআইডিপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদের যৌথ সভায় সভাপতিত্ব করেন। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ, ঢাকা, ১৯ এপ্রিল। ছবি: পিআইডিনির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয়ের বিষয়ে শেখ হাসিনা আরও বলেন, জাতীয়, আন্তর্জাতিকভাবে যখন সার্ভে করা হয়েছিল, সেই সার্ভেতে তখন থেকে স্পষ্ট যে আওয়ামী লীগকে জনগণ চায়। জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দেবে এবং আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসবে। বিএনপি বাণিজ্য করার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। যার জন্য তাদের এই হাল। বিএনপি-জামায়াত আমলের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, যা–ই হোক, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ—এগুলোই ছিল তাদের কাজ। আজকে দেশের মানুষ অন্তত শান্তি পাচ্ছে।

এবারের নববর্ষ সবাই উৎসাহ-উদ্দীপনায় উদ্‌যাপন করেছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এবার ব্যাপকভাবে নববর্ষ উদ্‌যাপিত হয়েছে। সব শ্রেণি-পেশানির্বিশেষে সবাই এই উৎসবটা করেছে। আমরা কিন্তু নববর্ষ ভাতাও দিচ্ছি। এ সময় বাংলাদেশকে ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।

জাতির জনকের অবদানের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত স্বাধীন দেশটা জাতির জনকের নেতৃত্বে উন্নয়নের পথে যখন যাত্রা শুরু করে, তখনই ১৫ আগস্টের নির্মম ঘটনা ঘটে। নির্মমভাবে জাতির জনককে সপরিবার হত্যা করা হয়।

১৫ আগস্ট–পরবর্তী দুই দফায় ২১ বছরের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, এরপর জাতির জীবনে নেমে আসে অমানিশার অন্ধকার। এ সময় মানুষের কোনো অগ্রগতি হয়নি। কেবল আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে, তখনই এ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হতে শুরু করে। ১৯৯৬ সালে প্রথম ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। এরপর ২০০৮ সালে নির্বাচনে আবারও বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করে এবং এখন পর্যন্ত রাষ্ট্র পরিচালনা করছে। বাংলাদেশ আজকে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত হওয়ার পথে। আমরা প্রায় ৪০ ভাগ থেকে ২১ ভাগে দারিদ্র্যের হার নামিয়ে এনেছি।

দেশের অগ্রগতির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করা, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নের ছোঁয়া আজকে গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। আজকে গ্রামের মানুষ দারিদ্র্যমুক্ত হচ্ছে। মানুষের আর্থিক সচ্ছলতা বাড়ছে। এটাই জাতির জনকের স্বপ্ন ছিল, যেটা জাতির জনক চেয়েছিলেন যে বাংলাদেশ হবে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ।

আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফের সঞ্চালনায় সভায় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদের প্রায় সব সদস্য উপস্থিত ছিলেন।