ঢাকা: দলের সদস্য পদ থেকে বহিষ্কারের এখতিয়ার আওয়ামী লীগের কারো নেই। সদস্য পদ বাতিলের সিদ্ধান্ত আওয়ামী লীগের ভুল ছিল বলে দাবি করেছেন লতিফ সিদ্দিকী। নির্বাচন কমিশনের পাঠানো চিঠির জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
রোববার দুপুরে তার একান্ত ব্যক্তিগত সচিব মো রুবেল নির্বাচন কমিশনে (ইসি) দুই পৃষ্ঠার একটি লিখিত বক্তব্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর জমা দেন। সেখানেই এসব কথা লিখেছেন লতিফ সিদ্দিকী।
গত ১৩ জুলাই দল ও মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কৃত লতিফ সিদ্দিকীর সংসদ সদস্য পদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি দেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। এর পরপরই (গত ১৬ জুলাই) ব্যাখ্যা চেয়ে লতিফ সিদ্দিকীর কাছে চিঠি পাঠানো হয়।
লিখিত জবাবে তিনি উল্লেখ করেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক স্পিকারের কাছে পত্র দেয়ার পর স্পিকার সংবিধানের ৬৬(৪) অনুচ্ছেদের এবং জাতীয় সংসদের কার্যবিবরণী বিধি ১৭৮ অনুসারে আমার সংসদ সদস্য পদ নিয়ে সৃষ্ট বিতর্ক নিষ্পত্তির জন্য আপনার (সিইসি) নিকট পত্র প্রেরণ করেন।
এ বিষয়ে অবগতির জন্য জানাচ্ছি, ২৯ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে বসে টাঙ্গাইল অধিবাসীদের সঙ্গে আলাপকালে আমার বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার কষ্টকল্পিত, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন যে অভিযোগ এনেছে তা আলোচনার স্বার্থে যদি ধরেও নেয়া হয় তবে এ কারণে আওয়ামী লীগের সদস্য পদ থেকে বহিষ্কারের কোনো এখতিয়ার দলের নেই।
আমি সেখানে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধি ও জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য দিয়েছি। আওয়ামী লীগের নেতা হিসেবে সেখানে বক্তব্য দিয়েছি এটা ভাবার কোনো সুযোগ নেই। সুতরাং আওয়ামী লীগের সদস্য পদ থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ ভুল ব্যাখ্যার ওপর নেয়া হয়েছে। এ সিদ্ধান্তের আলোকে পরবর্তীতে যে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে তাও ভুল ব্যাখ্যার ওপর নেয়া হবে।
জবাবে তিনি আরো বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগসমূহের কোনো একটি সংবিধানের ৬৬(২) অনুচ্ছেদে বর্ণিত সংসদ সদস্য পদ বজায় রাখার ক্ষেত্রে অযোগ্যতার আওতায় পড়ে না কিংবা সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদে বর্ণিত দুটি কারণসমূহের একটিও আমার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। আমি দল থেকে পদত্যাগও করিনি কিংবা সংসদ অধিবেশন চলাকালীন সময়ে দলের কোনো সিদ্ধান্তের বিপক্ষে ভোটও দেইনি।
এ আলোচনার আলোকে বিষয়টি সর্ম্পূণ স্পষ্ট যে স্পিকার কতৃর্ক প্রেরিত ও উল্লেখিত সংবিধানের ৬৬(৪) দফায় সঙ্গে আমার বিষয়টি সঙ্গতিপূর্ণ নয়। ফলে নির্বাচন কমিশন সুনির্দিষ্টভাবে ৬৬(৪) দফার বিষয়ে যা বলা হয়েছে এবং ৬৬(২) ও ৭০ ধারার কোনো ব্যতায় না ঘটায় কোনো করণীয় আছে বলে আমি মনে করি না।
সে হিসেবে ইসি কাছে বিনীত নিবেদন, বিষয়টি গভীর ও ভবিষ্যতের কথা বিবেচনায় রাখতে অনুরোধ করছি। তাই নির্বাচন কমিশন শুনানি বির্তকে না জড়িয়ে বিষয়টি সংসদের স্পিকার বরাবর ফেরৎ পাঠানোর অনুরোধ করছি।