ঢাকা, এপ্রিল ৩০, ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১৩:৪৫:৫৫

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র পুনর্বাসন না করে বস্তিবাসীদের উচ্ছেদ করা হবে না: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি হিসেবে ফের নিয়োগ পেলেন বিপ্লব বড়ুয়া সংসদ অধিবেশন উপলক্ষে সংসদ ভবন ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ আপিলে দ্বিতীয় দিনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৫১ জন নির্বাচনে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি সেনাবাহিনী চায় ইসি : পিএসও আদালত আবমাননায় বিচারক সোহেল রানার সাজার বিরুদ্ধে আপিলের রায় ২৩ জানুয়ারি রাজধানীর ২১টি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৪ জন গ্রেফতার : ডিএমপি নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হবে কিনা, জানালেন ইসি

আমরা আর ৩০ লাখ মামলার দায়িত্ব ঘাড়ে নেব না: প্রধান বিচারপতি

| ১১ পৌষ ১৪২৩ | Sunday, December 25, 2016

‘জাতীয় বিচার বিভাগীয় সম্মেলন-২০১৬-এর উদ্বোধনকালে বক্তব্য রাখেন প্রধান বিচারপতি

দেশের পুলিশ প্রশাসন অপরাধীদের গ্রেফতার করার বিষয়ে যতটা পারদর্শী, সাক্ষী উপস্থিতির ক্ষেত্রে ততটা নয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার (এসকে সিনহা)। তিনি বলেন,  ‘আমরা আর ৩০ লাখ মামলার দায়িত্ব ঘাড়ে নিতে পারব না। আজ বিচার বিভাগীয় সম্মেলনে বিচারকদের নির্দেশনা দিচ্ছি , আপনারা প্রসেস ইস্যু করবেন, সাক্ষী না  এলে ওয়ারেন্ট ইস্যু করবেন। এরপরও সাক্ষী না এলে মামলা নিষ্পত্তি করে দেবেন। আমরা আর দায়িত্ব নেব না।’  শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘জাতীয় বিচার বিভাগীয় সম্মেলন-২০১৬’-এর উদ্বোধনকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

দুই দিনব্যাপী আয়োজিত এই বিচার বিভাগীয় সম্মেলনের উদ্বোধনও করেন প্রধান বিচারপতি।

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘জুডিশিয়ারি ম্যাজিস্ট্রেসির জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা, জনবল ও অন্যান্য ন্যূনতম সুবিধা নিশ্চিত করা গেলে নিষ্পত্তিকৃত মামলার সংখ্যা আরও বাড়ানো যেত।’ তিনি বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন আদালতের বিচারকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সাক্ষী হাজির না করার ফলে ফৌজাদারি মামলা অযথা বিলম্ব হচ্ছে। ফৌজদারি কার্যবিধির ১৭১(২) ধারা অনুযায়ী সাক্ষী হাজির করার দায়িত্ব পুলিশের। অপরাধীদের গ্রেফতারের চেয়ে সবচেয়ে কঠিন কাজ সৎ ও দক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রতিবেদন দাখিল করা ও সাক্ষীদের হাজির করে প্রকৃত অপরাধীদের সাজা নিশ্চিত করা। প্রধান বিচারপতি বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলাগুলা দ্রুত বিচারের জন্য নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন প্রণীত হয়েছে। এই আইন অনুযায়ী একটি জেলায় একাধিক ট্রাইব্যুনাল গঠন করার বিধানও রয়েছে। বর্তমানে দেশে ৬৪টি জেলায় ৫৪টি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল রয়েছে। এই আদালতগুলোতে গত ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মোট ১ লাখ ৪০ হাজার ৫৫৩ মামলা বিচারাধীন। এছাড়া ১৮টি জেলায় জেলা ও দায়রা জজ আদালত নারী ও নির্যাতন দমন আইনের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। ওই আদালতগুলো মামলার ভারে জর্জরিত। ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ আদালতগুলোতে মামলার সংখ্যা ছিল ১৪ হাজার ৫০০। মোট ১ লাখ ৫৫ হাজার ৫৫৩টি মামলা সারাদেশে বিচারাধীন। কোনও কোনও জেলায় একটি  আদালতে ৫ হাজারের বেশি মামলা বিচারাধীন আছে। একজন বিচারকের পক্ষে কোনোভাবেই সব পরিচালনা করা সম্ভব নয়। এ অবস্থায় আরও অধিক পরিমাণে ট্রাইব্যুনাল গঠন করা জরুরি। অন্যথায় এই আইনের যথার্থ্য ব্যর্থতায় পর্যবেসিত হবে।

‘জাতীয় বিচার বিভাগীয় সম্মেলন-২০১৬’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা। এতে আরও বক্তব্য রাখেন সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ ড. গোলাম মর্তুজা মজুমদার। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্রধান বিচারপতি মাহমুদুল আমীন চৌধুরী, ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রমুখ।

জাতীয় বিচার বিভাগীয় সম্মেলনে আপিল বিভাগ, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিসহ দেশের নিম্ন আদারতের বিভিন্ন পর্যায়ের বিচারক ও বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা এ সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন।