নিউজডেস্ক :: ৮ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস। এ উপলক্ষে সারা দেশে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নানা কর্মসূচি পালনের উদ্যোগ নিয়েছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘সাক্ষরতা আর দক্ষতা, টেকসই সমাজের মূলকথা’। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। খবর বাসস।
রাষ্ট্রপতি বাণীতে বলেন, আর্থসামাজিক উন্নয়নে শিক্ষা অপরিহার্য। শিক্ষার হার উন্নয়নের মাপকাঠিও বটে। যে জাতি যত বেশি শিক্ষিত, সে জাতি তত বেশি উন্নত।
বর্তমান সরকার শিক্ষার প্রসার ও নিরক্ষরতামুক্ত বাংলাদেশ গড়তে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ এবং সে লক্ষ্য সামনে রেখেই শিক্ষানীতি ২০১০ প্রণয়ন করেছে। এবারের আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের প্রতিপাদ্য বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যয়ের অভিব্যক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণীতে বলেন, দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন এবং গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে সুশিক্ষিত ও দক্ষ মানবসম্পদ অপরিহার্য। একবিংশ শতকের এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকার দেশের নিরক্ষর জনগোষ্ঠীকে সাক্ষর ও জীবন দক্ষতাভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রদানের পাশাপাশি আধুনিক ও কর্মমুখী শিক্ষায় শিক্ষিত ও দক্ষ করে গড়ে তুলতে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
আজ ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। দিবসটি উপলক্ষে সকাল ৮টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন পর্যন্ত বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে। শোভাযাত্রায় শিক্ষক ও কর্মকর্তারা ছিলেন।
উল্লেখ্য, ১৯৬৫ সালের নভেম্বরের ১৭ তারিখ ইউনেস্কো ৮ সেপ্টেম্বরকে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ঘোষণা করে। ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও সমাজের মধ্যে শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা ও তাৎপর্য তুলে ধরার লক্ষ্যে এ দিবসটি নির্ধারণ করা হয়।
১৯৬৬ সালে বিশ্বে প্রথম আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালন করা হয়। প্রতি বছর দিবসটি উদযাপনের মধ্যে দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিভিন্ন দেশের সাক্ষরতা এবং বয়স্ক শিক্ষার অবস্থা তুলে ধরা হয়।
দেশে ১৯৭২ সালে প্রথম সাক্ষরতা দিবস উদযাপিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সরকার সাক্ষরতা বিস্তারে ব্যাপক উদ্যোগ নেয়ার পাশাপাশি যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করে আসছে।