ঢাকা : রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ নতুন ও আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর ও নিরাপদ বিশ্ব রেখে যেতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘দেশের কিশোরীদের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য ও প্রজনন সেবা নিশ্চিত করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। বাল্যবিবাহের মতো অন্যান্য সামাজিক ব্যাধি থেকে আমাদের কিশোরীদের রক্ষা করতে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। নতুন ও আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর ও নিরাপদ বিশ্ব রেখে যেতে আমি সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।’
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে এ আহবান জানান। আগামীকাল ১১ জুলাই বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘কিশোরীদের জন্য বিনিয়োগ, আগামী প্রজন্মের সুরক্ষা।’
তিনি বলেন, জনসংখ্যার উল্লেখযোগ্য অংশ হলো কিশোর-কিশোরী। কিশোরীরা আগামী প্রজন্মের ধারক। একজন কিশোরীর সুস্থতার ওপর নির্ভর করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সুস্থতা। তাই আগামী প্রজন্মকে সুস্থ ও সুরক্ষিত করতে হলে কিশোরীদের বেড়ে ওঠাকে সুস্থ ও নিরাপদ করতে হবে। তাদের জন্য বিনিয়োগের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। আগামী বছরগুলোতে দেশের মোট প্রজনন হার ও জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারকে এরাই প্রভাবিত করবে।
বর্তমান সরকার এ প্রজন্মের শিক্ষা, জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি তাদের প্রজনন স্বাস্থ্যের পরিচর্যা নিশ্চিত করতে নানাবিধ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, সেবাদান কর্মীরা ঘরে ঘরে গিয়ে প্রতি মাসে ৩০ হাজার স্যাটেলাইট ক্লিনিকের মাধ্যমে পরিবার পরিকল্পনা সেবা এবং মা ও শিশুস্বাস্থ্য বিষয়ে সেবা ও পরামর্শ প্রদান করছে।
তিনি বলেন, ‘ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র এবং মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা খাতের প্রতিটি স্তরে কিশোরীদের সেবা প্রদানের সুব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।’
রাষ্ট্রপতি বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস ২০১৬ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।