ঢাকা, মে ৬, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০৯:২০:১১

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র পুনর্বাসন না করে বস্তিবাসীদের উচ্ছেদ করা হবে না: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি হিসেবে ফের নিয়োগ পেলেন বিপ্লব বড়ুয়া সংসদ অধিবেশন উপলক্ষে সংসদ ভবন ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ আপিলে দ্বিতীয় দিনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৫১ জন নির্বাচনে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি সেনাবাহিনী চায় ইসি : পিএসও আদালত আবমাননায় বিচারক সোহেল রানার সাজার বিরুদ্ধে আপিলের রায় ২৩ জানুয়ারি রাজধানীর ২১টি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৪ জন গ্রেফতার : ডিএমপি নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হবে কিনা, জানালেন ইসি

আগামীকাল ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস’

| ১৪ বৈশাখ ১৪২৩ | Wednesday, April 27, 2016

‘জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা’ সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির সদস্য সচিব সহকারী এটর্নি জেনারেল টাইটাস হিল্লোল রেমা জানান, ২৮ এপ্রিলকে ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস’ ঘোষণা করে অসহায় ও আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল মানুষকে সরকারী খরচে আইনি সেবা প্রদানের অঙ্গীকার বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে সরকার।
‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস’ উপলক্ষে আজ বুধবার সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির সঙ্গে আইন, আদালত, সংবিধান ও মানবাধিকার বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ল’রিপোর্টার্স ফোরামের (এলআরএফ) এক মতবিনিময় সভা হচ্ছে।
‘সুপ্রিমকোর্টে সরকারি আইনি সেবা ও গণমাধ্যমের ভুমিকা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ায়ম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির সদস্যগণ, প্যানেল আইনজীবীগণ ও এলআরএফ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল, সহায় সম্বলহীন, অসমর্থ বিচারপ্রার্থী জনগণকে সরকারি খরচে আইনি সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে ‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইন-২০০০’ প্রণয়ন করে। ২০০০ সালে তৎকালীন শাসন আমলে আইনটি প্রণয়ন করে আওয়ামী লীগ। তারপরের সরকারগুলো আইনটি কার্যকরে উল্লেখযোগ্য কোন পদক্ষেপ নেয়নি। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠনের পর আওয়ামী লীগ দরিদ্র ও অসচ্ছল জনগণের বিচারপ্রাপ্তি নিশ্চিতে আইনটি কার্যকরে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং তা অব্যাহত রয়েছে।
২০০০ সালে প্রণীত আইনটি অনুযায়ী ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা’ গঠন করা হয়। রাজধানীর ১৪৫, নিউ বেইলী রোডে এ সংস্থার প্রধান কার্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। এর ব্যাপ্তি জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত নেয়া হয়। জেলা কমিটি গঠন, প্রতিটি জেলা জজ আদালতে এর কার্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। এতে দরিদ্র-অসচ্ছল ও অসহায় জনগণ বিচারপ্রাপ্তিতে সুবিধা পাচ্ছে। নানা প্রচার, প্রচারণা, সেমিনার ও কর্মশালা আয়োজনের মধ্য দিয়ে এ সেবা বিষয়ে জনসচেতনতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার নিজস্ব ওয়েবসাইট রয়েছে (িি.িহষধংড়.মড়া.নফ)। এ ওয়েবসাইটে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান বিষয়ে তথ্য জানা যায়।
এদিকে প্রধান বিচারপতি গত বছর ৮ সেপ্টেম্বর সুপ্রিমকোর্টে লিগ্যাল এইড অফিস আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করে সর্বোচ্চ আদালতে অসহায় ও আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল মানুষদের আইনি সেবা গ্রহণের পথ সুগম করেছেন। সুপ্রিমকোর্টে সরকারি আইনি সুবিধা নিশ্চিত করার বিষয়টি ২০০০ সালে প্রণীত আইনেও উল্লেখ আছে। এছাড়াও দরিদ্র-অসহায়-অসচ্ছল জনগণের বিচারপ্রাপ্তির বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার করার বিষয়ও আইনটিতে উল্লেখ রয়েছে।