ঢাকা : আগামীকাল ৩ ডিসেম্বর, শনিবার ২৫তম আন্তর্জাতিক এবং ১৮তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে দিবসটি পালিত হবে।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিবসটি উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক এ দিবসটির এবারের (২০১৬) প্রতিপাদ্য নির্ধারণ হয়েছে ‘এ্যাচিভিং ১৭ গোলস ফর দ্য ফিউচার উই ওয়ান্ট’ অর্থাৎ ‘টেকসই ‘ভবিষ্যত গড়ি, ১৭ লক্ষ্য অর্জন করি।’
এ প্রতিপাদ্য যেমন এসডিজি লক্ষ্য অর্জনে, তেমনি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ন্যায়সঙ্গত বিশ্ব নির্মাণে ভূমিকা রাখবে।
উন্নয়নের মূল ধারায় প্রতিবন্ধীদের একীভূতকরণ এবং ক্ষমতায়নের লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, সমাজসেবা অধিদপ্তর, জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান দেশব্যাপী বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
এ উপলক্ষে আগামীকাল সকাল সাড়ে ১০টায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় পর্যায়ে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন।
মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় দেশের প্রতিটি জেলায় সমাজসেবা অধিদপ্তর ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহ শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করবে।
এছাড়া মিরপুর-১৪ নম্বরে আগামীকাল থেকেই ৭ দিনব্যাপী ‘প্রতিবন্ধী উন্নয়ন মেলা’র আয়োজন করা হয়েছে। মেলার উদ্বোধন করবেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হক।
মেলায় প্রতিবন্ধীদের তৈরি নানা পণ্যসামগ্রী থাকবে। শেখ হাসিনার বর্তমান সরকার প্রতিবন্ধীদের সমাজের বোঝা হিসেবে না ভেবে নানা কর্মমুখী কাজের প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের যে সাবলম্বী করে গড়ে তুলছে, তার প্রতিফলন দেখা যাবে এ মেলায়।
সমাজকল্যাণ অধিদপ্তর সম্প্রতি সারাদেশে জরিপ চালিয়ে ১৫ লাখেরও অধিক বিভিন্ন ধরণের প্রতিবন্ধী মানুষ শনাক্ত করেছে। তাদের জন্য একটি শক্তিশালী ডাটাবেজ তৈরি করছে।
তাদের প্রত্যেককে বর্তমানে সাময়িক পরিচয়পত্র দেয়ার কাজ অধিদপ্তর করছে। আগামী বছরের (২০১৭) ডিসেম্বরের মধ্যে তাদের সবাইকে স্মার্ট কার্ড দেয়া পরিকল্পনাও সরকারের রয়েছে।
প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে দেশের গণমাধ্যমগুলো বিশেষ অনুষ্ঠানমালা, টক শো আয়োজন এবং সংবাদপত্রে ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে।