ঢাকা, এপ্রিল ২৭, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০৮:২০:৫২

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় আসার নিশ্চয়তা না পেয়ে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে : প্রধানমন্ত্রী মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মানুষের সাংস্কৃতিক সম্পৃক্ততার আহ্বান তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর সংসদে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে স্বতন্ত্র সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী প্রকল্প বাস্তবায়নে অসাধারণ সাফল্য দেখিয়েছে পিপিপি বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আগমন স্বচ্ছ নির্বাচনে সহায়ক : তথ্যমন্ত্রী

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে আধুনিক করা হবে…প্রধানমন্ত্রী

| ২৬ ভাদ্র ১৪২২ | Thursday, September 10, 2015

pm

নিউজডেস্ক :: আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর আধুনিকায়নকে গুরুত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের লক্ষ্য একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় একটি যুগোপযোগী আধুনিক পুলিশ বাহিনী গড়ে তোলা।

এজন্য আমরা বিভিন্ন বাস্তবমুখী ও জনবান্ধব কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। বাংলাদেশ পুলিশের সাংগঠনিক কাঠামোতে ৭৩৩টি ক্যাডার পদসহ ৩২ হাজার ৩১টি পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। তারপরও দেশের জনসংখ্যার অনুপাতে পুলিশের জনবল যথেষ্ট নয়।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাকাডেমিতে ৩৩তম বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপারদের শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে তিনি এ সকল কথা বলেন।

প্রশিক্ষণ সম্পন্নকারী নবীন ক্যাডারদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ আপনাদের পেশাগত জীবনের একটি গৌরবোজ্জ্বল দিন। কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হতে চলেছে আপনাদের কঠোর মৌলিক প্রশিক্ষণ।

এ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পেশাগত জ্ঞান ও শৃঙ্খলার প্রতি যে আনুগত্যবোধ আপনারা অর্জন করেছেন, তা জনগণের শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় কাজে লাগাবেন, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় আওয়ামী সরকারের সাফল্য তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যখনই সরকার গঠন করেছি, দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছি। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উন্নয়নে কাজ করেছি।

তিনি বলেন, সে বিবেচনায় আমরা বাংলাদেশ পুলিশে আরো ৫০ হাজার নতুন পদ সৃষ্টির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ইতোমধ্যে ১০ হাজার পুলিশ সদস্যের নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি জনবলের নিয়োগ কার্যক্রম অচিরেই সম্পন্ন হবে।

মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ ও যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে পুলিশ বাহিনীর অবদান অনস্বীকার্য। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী সর্ব প্রথম আক্রমণ চালায় রাজারবাগ পুলিশ লাইন এ।

এ সময় পুলিশের বীর সদস্যরা সামান্য ৩০৩ রাইফেল নিয়ে স্বাধীনতার প্রথম প্রহরে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।

তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের সঙ্গে লড়েছেন প্রায় ১৪ হাজার পুলিশ সদস্য। এ সময় শহীদ হয়েছেন সহস্রাধিক পুলিশ সদস্য। তিনি বলেন, এই পুলিশ অ্যাকাডেমির প্রিন্সিপালসহ ২৪ জন শহীদ শায়িত আছেন পদ্মাতীরে।

দেশমাতৃকার প্রতি এই মহান আত্মত্যাগের স্বীকৃতি স্বরূপ আমাদের সরকার ২০১১ সালে বাংলাদেশ পুলিশকে ‘স্বাধীনতা পদকে’ ভূষিত করে।

সারদার পুলিশ অ্যাকাডেমির প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘হোম অব পুলিশ’ খ্যাত এই অ্যাকাডেমিকেও আমরা ঢেলে সাজিয়েছি।

নবনিযুক্ত সহকারী পুলিশ সুপারদের মৌলিক প্রশিক্ষণের পাশাপাশি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গধংঃবৎ ড়ভ চড়ষরপব ঝপরবহপব ডিগ্রি প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়া আধুনিক শ্রেণিকক্ষ, কম্পিউটার ল্যাব, ল্যাংগুয়েজ ল্যাব, ফরেনসিক ডেমোন্সট্রেশন ল্যাব, ড্রাইভিং ও শ্যুটিং সিমিউলেটর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

এর আগে সকাল সাড়ে ১০ টায় বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী বিমান বাহিনীর একটি বিশেষ হেলিকপ্টারে করে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাকাডেমিতে পৌঁছান। সেখান থেকে তিনি বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাকাডেমির নবনির্মিত অতিথি ভবন ‘তরুণিমা’ এবং প্যারেড গ্রাউন্ডের নবনির্মিত গ্যালারি উদ্বোধন করেন।

পরে ৩৩তম বিসিএস ব্যাচের শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপারদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তাদের অভিবাদন প্রহণ করেন।প্যারেড পরিদর্শন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারী শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপারদের মধ্যে পদক বিতরণ করেন।

ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী পদ্মার তীরে নবনির্মিত অতিথি ভবন ‘ঊর্মি’ উদ্বোধন করেন।