ঢাকা : পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহীদুল হক বলেছেন, সারাদেশে এ বছর ৬৮২টি পূজামন্ডপ বেড়েছে।
দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় এবার পূজামন্ডপের সংখ্যা বেড়েছে বলে তিনি জানান।
দেশে আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির অব্যাহত উন্নতি এবং নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই বলেই দিন দিন পূজামন্ডপের সংখ্যা বাড়ছে উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, এবার সারা দেশে ৩০ হাজারের অধিক পূজামন্ডবে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তায় পূজা অর্চনা অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি আজ দুপুরে পুলিশ সদর দফতরে সাম্প্রতিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
এসময় অতিরিক্ত আইজিপি (এসবি) ড. জাবেদ পাটোয়ারী, র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ, ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়াসহ পুলিশের উধ্বত্মন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার কারণেই মানুষ স্বস্তি প্রকাশ করছে উল্লেখ করে শহীদুল হক বলেন, এবারও দুর্গাপূজা ও আশুরার কথা মাথায় রেখে সারাদেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিজিবি ও পুলিশের অতিরিক্ত সদস্য পূজামন্ডপ ও হোসেনি দালানে মোতায়েন থাকবে। শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা ও আশুরা উদযাপনে ওইসব স্থানে পর্যাপ্ত আনসার সদস্যও মোতায়েন করা হবে।
আইজিপি বলেন, পূজামন্ডপ এবং হোসেনি দালানে প্রবেশে প্রত্যেককে তল্লাশী করা হবে। আশুরার তাজিয়া মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের ছুরি ও চাকু নিয়ে না যাওয়ার জন্য এবং হইহুল্লোড় না করা জন্য আইজিপি সকলের প্রতি অনুরোধ জানান।
রোহিঙ্গা সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশের ভেতর ছড়িয়ে পড়া দুই শতাধিক রোহিঙ্গাকে শরণার্থী শিবিরে পাঠানো হয়েছে। কক্সবাজার, উখিয়াসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়া এসব রোহিঙ্গাকে হাইওয়ে পুলিশের সহায়তায় শরণার্থী শিবিরে পাঠানো হয় বলেও তিনি জানান।
পুলিশ প্রধান বলেন, বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে বলেই মানবিক কারণে মিয়ানমারের নাগরিকদের বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়েছে সরকার। তাদের খাবার ও বাসস্থান দেয়া হয়েছে। তাদের ডেটাবেজ করার জন্য আইডি কার্ড দেয়া হচ্ছে। এই আইডি কার্ড দিয়ে তারা বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নিতে পারবে। তারা শরণার্থী শিবিরের ভেতরেই থাকবে। যদি কোন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাইরে চলে আসে, পুনরায় তাকে ক্যাম্পে ফেরৎ পাঠনো হবে।