ঢাকা, মে ৮, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০৭:৩৭:৩৩

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

একীভূত হতে চাওয়া ব্যাংকের সম্পদের দাম যেভাবে নির্ধারণ করা হবে টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপির মাথাব্যথার কারণ নেই : ওবায়দুল কাদের বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবারের ঈদ যাত্রাও স্বস্তিদায়ক হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

আইন মন্ত্রণালয়ের অসহযোগিতার কারণে বিচার বিভাগ অকেজো হয়ে যাচ্ছে : প্রধান বিচারপতি

| ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৪ | Sunday, May 21, 2017

Image result for প্রধান বিচারপতি

আইন মন্ত্রণালয়ের অসহযোগিতার কারণে বিচার বিভাগ অকেজো হয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহা।

আজ রোববার ভ্রাম্যমাণ আদালত নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের ওপর শুনানিকালে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে সাত সদস্যের পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ থেকে এ মন্তব্য করা হয়।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

আদালত শুরুর পর হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন উপস্থাপন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল। এ সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘দরখাস্তে কী দেখাতে চেয়েছেন?’

জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘মোবাইল কোর্ট চার দিন বন্ধ ছিল। এর মধ্যে দিনাজপুরে ৩৭টি বাল্যবিয়ে হয়েছে।’

তখন আদালত বলেন, ‘আপনি কি প্যারালাল কোর্ট চান?’

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘না। ইমিডিয়েটলি ইফেক্টের জন্য। কোনো অপরাধ দমনে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থার জন্য এটা।’

তখন আদালত বলেন, ‘মোবাইল কোর্ট করে শাস্তি দেবেন। আবার তার বিচার করবেন। এটা কোন বিধানে করবেন?’

জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘পুরো মামলাটির শুনানি গ্রহণ করেন।’

তখন আদালত বলেন, ‘আমরা প্রকাশ্যে আদালতে অনেক কিছু বলি। এটাতে অনেক অপব্যাখ্যা হচ্ছে। বিচার বিভাগ সরকারের বিপক্ষে নয়। বিচার বিভাগ সব সময় দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে রায় দেন। আইন মন্ত্রণালয়ের অসহযোগিতার কারণে বিচার বিভাগ অকেজো হয়ে যাচ্ছে। এটা আপনি সরকারকে জানাবেন। সমাধানের জন্য।’

জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘এভাবে বললে এটা কি সলভ (সমাধান) হবে? এগুলো বললে সংবাদপত্রে বড় বড় অক্ষরে হেডলাইন হবে। তাহলে কীভাবে সামাধান হবে?’

আদালত বলেন, ‘আপনাকে জানিয়ে দিলাম সমাধান করার জন্য।’

তখন অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘সল্যুশন তো হচ্ছে না।’

পরে আদালত হাইকোর্টের রায় ২ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করেন। রায়ের কপি পেলে এ সময়ের মধ্যে নিয়মিত লিভ টু আপিল করারও নির্দেশ দেন আদালত।

এর আগে গত ১১ মে নির্বাহী হাকিম দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা-সংক্রান্ত আইনের কয়েকটি ধারা অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

হাইকোর্টের সেই রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করে। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৪ মে নির্বাহী হাকিমের মাধ্যমে জরুরি বিচারিক বিধান-সংক্রান্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় ১৮ মে পর্যন্ত স্থগিত করেন চেম্বার আদালত।

এরপর মামলাটি আজকের কার্যতালিকায় এলে আদালত স্থগিতাদেশের মেয়াদ ২ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানোর আদেশ দেন।