ঢাকা, মে ৪, ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ২১:৫৮:৩২

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

একীভূত হতে চাওয়া ব্যাংকের সম্পদের দাম যেভাবে নির্ধারণ করা হবে টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপির মাথাব্যথার কারণ নেই : ওবায়দুল কাদের বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবারের ঈদ যাত্রাও স্বস্তিদায়ক হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

আইটি পার্কে তিন লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে

| ৬ মাঘ ১৪২৪ | Friday, January 19, 2018

ঢাকা : সরকার আইটি সেক্টরের উন্নয়নে সকল বিভাগ ও জেলায় হাইটেক পার্ক স্থাপন করার উদ্যোগ নিয়েছে। এ সকল হাইটেক পার্কে প্রায় তিন লাখ লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
তথ্য এবং যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ের একটি সূত্র জানায়, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ আইটি সেক্টরের উন্নয়ন এবং নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষে দেশের প্রতিটি বিভাগ ও জেলায় হাই টেক পার্ক স্থাপন করার উদ্যোগ নিয়েছে।
সূত্র জানায়, গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি স্থাপনের কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলেছে। পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশীপ মডেলে (পিপিপি) ৩৫৫ একর জমিতে এই পার্ক স্থাপন করা হচ্ছে। পার্কটির নিমার্ণ কাজ শেষ হলে প্রায় এক লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
বর্তমানে পার্কে ছয়টি কোম্পানির নামে জায়গা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া এই ফার্মগুলোতে আরো ৪০ জন কাজ করছে।
যশোরে ১২.১৩ একর জমিতে শেখ হাসিনা সফ্টওয়ার প্রযুক্তি পার্ক স্থাপন করা হয়েছে। ২৪০,৭৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মীত এই পার্কটি সম্প্রতি উদ্বোধন করা হয়েছে। এটি উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দেশে আইটি সেক্টরে এক নতুন অধ্যায়ের সূচিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১০ ডিসেম্বর এই পার্কটি উদ্বোধন করেন। এই পার্কটিতে প্রায় ১০ হাজার লোকের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। বর্তমানে এই আইটি পার্কে ৩৩টি কোম্পানিতে ২৩৫ জন লোক কাজ করছে।
সূত্র আরো জানায়, রাজধানী ঢাকার কাওরানবাজারে জনতা টাওয়ার সফট্ওয়ার পার্কে ১৫টি আইটি কোম্পানিকে জায়গা দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ১০টি কোম্পানি ইতোমধ্যেই তাদের কর্মকান্ড শুরু করেছে। পার্কটিতে আড়াই হাজার লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। বর্তমানে ১০টি কোম্পানিতে ৭শ’ লোক কাজ করছে।
সিলেটে কোম্পানিগঞ্জে সিলেট ইলেক্ট্রোনিক সিটি, রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্ক এবং ঢাকায় মহাখালী আইটি ভিলেজ প্রতিষ্ঠার কাজ চলছে। এর মধ্যে কোম্পানিগঞ্জে সিলেট ইলেক্ট্রোনিক সিটিতে ৫০ হাজার লোকের, রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্কে ১৪ হাজার লোকের এবং মহাখালী আইটি ভিলেজে ৩০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে।
জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিলের নির্বাহী কমিটি গত ২৪ এপ্রিল দেশের ১২ টি জেলায় হাইটেক পার্ক স্থাপনের একটি প্রস্তাব অনুমোদন করে।
জেলা পর্যায়ে আইটি পার্ক স্থাপন শিরোনামের একটি প্রকল্পের অধীন খুলনা, বরিশাল, রংপুর, চট্রগ্রাম, কুমিল্লা, কক্সবাজার, ময়মনসিংহ, জামালপুর, নাটোর, গোপালগঞ্জ, ঢাকা এবং সিলেটে পার্কগুলো নির্মাণ করা হবে। সূত্র জানায় এই ১২টি পার্কে ৬০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে। পাশাপাশি দেশে বেসরকারি ১২টি সফট্ওয়ার প্রযুক্তি পার্কে ৪২৫০ জন লোক কাজ করছে।
সরকার রাজশাহীতে বারিন্দ সিলিকন সিটি এবং নাটোর ও মাগুরাসহ সাতটি জেলায় ও চট্রগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকুবেশন সেন্টার স্থাপন করার উদ্যোগ নিয়েছে।
সূত্র জানায়, এ সকল প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে বিপুল সংখ্যক লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।