ঢাকা, মে ৬, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১৮:১৬:৪০

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

একীভূত হতে চাওয়া ব্যাংকের সম্পদের দাম যেভাবে নির্ধারণ করা হবে টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপির মাথাব্যথার কারণ নেই : ওবায়দুল কাদের বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবারের ঈদ যাত্রাও স্বস্তিদায়ক হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

অসংখ্য ভুলে ভরা পাঠ্যবই

| ২২ পৌষ ১৪২৩ | Thursday, January 5, 2017

অসংখ্য ভুলে ভরা পাঠ্যবই এর চিত্র ফলাফল
অসংখ্য ভুলে ভরা চলতি বছরের প্রাথমিক ও নিু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবই। মলাট ঝকঝকে হলেও, ভেতরে ছাপার মান অত্যন্ত নিুমানের। এর মধ্যে প্রথম শ্রেণীর ‘আমার বাংলা বই’র বর্ণ পরিচয় অংশে ‘ওড়না’ বিতর্ক, পঞ্চম শ্রেণীর ‘আমার বাংলা বই’ এবং ‘বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়’- বইয়ে বানান ভুল, প্রথম শ্রেণীর ‘আমার বাংলায়’ ১১নং পৃষ্ঠায় ‘ছাগল আম খায়’-এর মতো ‘হাস্যকর’ তথ্য রয়েছে। এছাড়া তৃতীয় শ্রেণীর ‘আমার বাংলা বই’য়ে পদ্য ‘বিকৃত’ করাসহ রয়েছে নানা ধরনের ভুলভ্রান্তি। বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে সমালোচনার ঝড়।

 

প্রথম শ্রেণীর বাংলা বইয়ে বর্ণ পরিচয়ে ‘ও’-তে ‘ওড়না চাই’ বিষয়টি নিয়েও বিতর্ক উঠেছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই নানা মন্তব্য করেছেন। পঞ্চম শ্রেণীর বইয়ে সমুদ্র বানানকে লেখা হয়েছে সমুদ। প্রথম শ্রেণীর বাংলা বইয়ের লেখা ও ছবিতে ‘ছাগল গাছে উঠে আম খাচ্ছে’ বোঝাতে চেয়েছেন লেখক। বাংলা পাঠ্যবইটির ১১ পাতায় অ-তে অজ (ছাগল) বোঝাতে গিয়ে ছাগলের ছবি জুড়ে দেয়া হয়েছে।

তৃতীয় শ্রেণীর হিন্দু শিক্ষা বইয়ের পেছনে লেখা Do not Heart Anybody এটা আসলে হবে Do not Hurt Anybody অর্থাৎ কারও ক্ষতি করো না। বইয়ে কুসুমকুমারী দাশের বিখ্যাত কবিতা আদর্শ ছেলের মূল লাইনটি হল এ রকম- ‘আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে’ সেখানে তৃতীয় শ্রেণীর বাংলা বইয়ে উল্টো করে লেখা হয়েছে ‘আমাদের দেশে সেই ছেলে কবে হবে?/কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে?’ অর্থাৎ কুসুমকুমারী দাশের রচনায় ‘আমাদের দেশে’র পর ‘হবে’ লেখা হলেও বিকৃত লাইনটিতে এসেছে ‘সেই’। আর ‘হবে’ শব্দটিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে একেবারে শেষে। ফলে কবি যে ‘ছন্দ’ ও ‘অন্ত্যমিল’ মাথায় রেখে কবিতার লাইনটি লিখেছেন, তা দৃশ্যতই নড়বড়ে হয়ে গেছে। বিকৃতি শুধু এটুকুই নয়, কবিতার চতুর্থ লাইনে কুসুমকুমারী লিখেছেন, ‘মানুষ হইতে হবে’- এই তার পণ। বিকৃত কবিতায় ‘হইতে’ শব্দটিকে ‘সম্পাদনা’ করে ‘হতেই’ লিখেছেন পাঠ্য রচয়িতারা। নবম লাইনে মূল কবিতায় লেখা আছে, ‘সে ছেলে কে চায় বল কথায়-কথায়’। এই লাইনের ‘চায়’ শব্দটিকে বিকৃত করে অথবা উচ্চারণ অজ্ঞতায় পাঠ্য রচয়িতারা লিখেছেন ‘চাই’, অর্থাৎ ‘সে ছেলে কে চাই বল কথায়-কথায়’! এরপর ‘আমার বই’য়ে দেখাই গেল না একাদশ থেকে চতুর্দশ লাইন পর্যন্ত। মূল কবিতার পঞ্চদশ লাইনে লেখা ‘মনে প্রাণে খাট সবে শক্তি কর দান’। এই লাইনের ‘খাট’ শব্দটিকে বিকৃত করে লেখা হয়েছে ‘খাটো’। কবি জীবনানন্দ দাশের মা কুসুমকুমারী দাশের প্রসিদ্ধ এ কবিতার এমন বিকৃতিতে সমালোচনার ঝড় চলছে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। পাঠ্য রচয়িতাদের তুলোধুনো করছেন তারা ন্যূনতম দায়বদ্ধতা না দেখানোয়।

অষ্টম শ্রেণীর আনন্দপাঠ বইটির সূচিপত্রে দেয়া সাতটি গল্পের সবগুলোই বিদেশী লেখকদের গল্প, উপন্যাস অবলম্বনে লেখা বা ভাষাগত রূপান্তর করা হয়েছে। গল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে- আরব্য উপন্যাস অবলম্বনে ‘কিশোর কাজী’, মার্ক টোয়েনের ‘রাজকুমার ও ভিখারির ছেলে’, ড্যানিয়েল ডিফোর ‘রবিনসন ক্রুশো’, ফরাসি উপন্যাসিক মহাকবি আবুল কাশেম ফেরদৌসীর ‘সোহরাব রোস্তম’, উইলিয়াম শেকসপিয়ারের ‘মার্চেন্ট অব ভেনিস’, ওয়াশিংটন আরবি রচিত গল্প অবলম্বনে ‘রিপভ্যান উইংকল’ এবং লেভ তলস্তয়ের ‘সাড়ে তিন হাত জমি’। এটা নিয়ে সমালোচনা করেছেন অনেকেই। এটাকে বিদেশী সাহিত্যের হিমাগার বলেছেন কেউ কেউ।