দেশে এখন অভাবের জন্য নয়, লোভের কারণে দুর্নীতি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।
মঙ্গলবার দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ের অডিটোরিয়ামে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির বিতার্কিকদের নিয়ে ‘দুর্নীতি প্রতিরোধে তরুণ প্রজন্মের করণীয়’ শীর্ষক এক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরো বলেন, দেশের অর্থনীতি এখন অনেক অন্তর্ভুক্তিমূলক। তাই অভাবের কারণে খুব বেশি দুর্নীতি হয় না, বরং দুর্নীতি যা হচ্ছে তা অতি লোভের কারণেই হচ্ছে। তাই কমিশন চায় সমাজের প্রতিটি স্তর হতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আজকের ছাত্ররা গ্রেড কিংবা জিপিএ ৫ এর দিকে ছুটছে। অনেক ক্ষেত্রেই তারা নিজ সক্ষমতা অর্জনের চেষ্টা করছে না। তাই দেশে অনেক সময় চাকরির জন্য যোগ্য প্রার্থী পাওয়া যায় না। একজন সক্ষম তরুণের জন্য শুধু দেশে নয় বিদেশেও চাকরির দুয়ার খোলা রয়েছে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের গ্রেড কিংবা জিপিএ ৫ এর পিছনে না ছুটে জ্ঞান আরোহণের মাধ্যমে সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।
তরুণরাই ভবিষ্যতে এদেশ চালাবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, পরিবর্তন তাদেরকেই শুরু করতে হবে। বাইরে থেকে কেউ পরিবর্তন করে দিবে না। কমিশন কাউকে গ্রেফতার করতে চায় না। কিন্তু আইনি প্রক্রিয়ার কারণে গ্রেফতার করতে হয়। পাশাপাশি গ্রেফতারের কারণেই সমাজে দুর্নীতি বিরোধী সচেতনতা বৃদ্ধি পায়।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধিগণ, দুর্নীতি প্রতিরোধে যে সকল সুপারিশ প্রণয়ন করবে কমিশন তা বাস্তবায়নে বিবেচনা করতে পারে। তবে এই সুপারিশমালা অবশ্যই সুনির্দিষ্ট, পরিমাপযোগ্য, বাস্তবায়নযোগ্য, প্রাসঙ্গিক ও সময়াবদ্ধ হতে হবে। এছাড়া দুর্নীতিকে প্রতিরোধ করে আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য দেশ গড়তে চাই।
উক্ত কর্মশালায় আরো বক্তব্য রাখেন দুদক কমিশনার ড. নাসিরউদ্দীন আহমেদ, এএফএম আমিনুল ইসলাম, দুদক সচিব আবু মো. মোস্তফা কামাল, ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ প্রমুখ।