ঢাকা, এপ্রিল ২৬, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১৪:১৮:৩৬

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

একীভূত হতে চাওয়া ব্যাংকের সম্পদের দাম যেভাবে নির্ধারণ করা হবে টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপির মাথাব্যথার কারণ নেই : ওবায়দুল কাদের বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবারের ঈদ যাত্রাও স্বস্তিদায়ক হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

অবৈধভাবে মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ারা বিপাকে

| ১৩ ভাদ্র ১৪২২ | Friday, August 28, 2015

m sutuu

নিউজ ডেস্ক :: ভর্তির জন্য ন্যূনতম নম্বর ১২০ এর কম পেলেও ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তি হয়েছেন প্রায় সাড়ে সাতশ শিক্ষার্থী। কলেজগুলো জালিয়াতির মাধ্যমে এদের ভর্তি করে। পরে বিষয়গুলো প্রকাশ হওয়ায় এখন এরা প্রথম বর্ষ চূড়ান্ত পরীক্ষা দিতে পারছে না। এই শিক্ষার্থীরা আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় প্রথম প্রফেশনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দাবি করেছে।

‘২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রেশন প্রদানসহ ১ম পেশাগত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের দাবিতে’ লেখা ব্যানার নিয়ে বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে রেজওয়ান মৃধা নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, “২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি প্রক্রিয়ায় কম নম্বর চেয়ে বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো শিক্ষার্থী ভর্তি করানোয় প্রায় সাড়ে সাতশ শিক্ষার্থীকে রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেওয়া হচ্ছে না। ফলে সে সকল শিক্ষার্থীরা যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও ১ম পেশাগত পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি।

“শিক্ষাজীবনের মাঝপথে এসে যদি আমাদের রেজিস্ট্রেশন না করা হয় তাহলে আমাদের ছাত্রত্ব বাতিল হয়ে যাবে। অথচ আমাদের আর অন্য কোথাও ভর্তির সুযোগও নেই।”

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, মেডিকেলে ভর্তির জন্য ভর্তি পরীক্ষায় ন্যূনতম ১২০ নম্বর থাকার নিয়ম করে দেওয়া হলেও গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে ‘অল্প আসনে বিশেষ সুবিধায় ১১০ নম্বরপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সুযোগ’ উল্লেখ করে ভর্তির বিজ্ঞাপন দেয় বিভিন্ন বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলো।

এই সুযোগে ভর্তি হওয়া ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী মো. শামীম আহমেদ বলেন, “ভর্তি করিয়ে অনিয়ম করলে সেটা কলেজ কর্তৃপক্ষ করেছে। কিন্তু রেজিস্ট্রেশন নম্বর না দিয়ে শিক্ষার্থীদের কেন সেই অনিয়মের শাস্তি দেওয়া হচ্ছে?”

রেজিস্ট্রেশন নম্বর না পাওয়ায় গত মে মাসে অনুষ্ঠিত প্রথম পেশাগত পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি বলে জানান তিনি।

শামীম আহমেদ বলেন, “হাই কোর্টের একটি রিট আদেশের প্রেক্ষিতে এই সব শিক্ষার্থীদের ভর্তি করানো হলেও পরে সরকারপক্ষের আপিলের কারণে সেই শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়। এই বিষয়ে হাই কোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায়ে এই শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়া পুনরুজ্জীবিত হয়।

“কিন্তু চলতি বছর সুপ্রিম কোর্টে সরকারপক্ষ আপিল করলে এসব শিক্ষার্থীদের ভাগ্য আবারও ঝুলে যায়।”

এ পরিস্থিতিতে রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন করে আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় প্রথম পেশাগত পরীক্ষায় এসব শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিতে প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।