ঢাকা, এপ্রিল ২৮, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১৩:৩২:৪৩

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র পুনর্বাসন না করে বস্তিবাসীদের উচ্ছেদ করা হবে না: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি হিসেবে ফের নিয়োগ পেলেন বিপ্লব বড়ুয়া সংসদ অধিবেশন উপলক্ষে সংসদ ভবন ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ আপিলে দ্বিতীয় দিনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৫১ জন নির্বাচনে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি সেনাবাহিনী চায় ইসি : পিএসও আদালত আবমাননায় বিচারক সোহেল রানার সাজার বিরুদ্ধে আপিলের রায় ২৩ জানুয়ারি রাজধানীর ২১টি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৪ জন গ্রেফতার : ডিএমপি নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হবে কিনা, জানালেন ইসি

অবাঙালিদের উচ্ছেদ কার্যক্রমের ওপর স্থিতাবস্থার মেয়াদ বৃদ্ধি

| ২৭ শ্রাবণ ১৪২৩ | Thursday, August 11, 2016

ঢাকা: দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত ক্যাম্পের বাইরে বসবাসরত উর্দুভাষী অবাঙালিদের উচ্ছেদ বিষয়ে হাইকোর্টের রায়ের ওপর দেয়া স্থিতাবস্থার মেয়াদ আরো দুই সপ্তাহ বৃদ্ধি করেছে আপিল বিভাগ।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেয়। এর আগেও দুই দফায় এই স্থিতাবস্থার মেয়াদ বৃদ্ধি করেছে আপিল বিভাগ।
গত ২৯ মার্চ এক রায়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত ক্যাম্পের বাইরে বসবাসরত উর্দুভাষী অবাঙালিদের উচ্ছেদের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। তবে ক্যাম্পে বসবাসরতদের মধ্যে যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে তাদেরকে পর্যায়ক্রমে পুনর্বাসন করতে সংশ্লিষ্টদের বলা হয়। হাইকোর্টের রায়ের বিষয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়। আবেদনে বলা হয়, হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি এখনো প্রকাশ পায়নি। রায় পেলে ‘লিভ টু আপিল’ দায়ের করা হবে।
ক্যাম্পে বসবাসরত উর্দুভাষী অবাঙালিরা উচ্ছেদের আশংকা থেকে ২০০২ সালে হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করেন উর্দু স্পিকিং পিপলস ইউথ রিহাবিলিটেশন মুভমেন্ট (ইউএসপিওয়াইআরএম) এর সভাপতি মো. সাদাকাত খান ও শহিদ আলী বাবলু।আবেদনে বলা হয়, দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্যাম্পে অমানবিক জীবনযাপন করে আসছেন প্রায় ৪ লাখ উর্দুভাষী। ২০০২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা সিটি কর্পোরেশন মিরপুরের পল্লবীতে প্রায় ৩৯টি ছোট-বড় ক্যাম্প বিনা নোটিশে উচ্ছেদের কার্যক্রম গ্রহণ করে। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়। তখন হাইকোর্ট ক্যাম্পে বসবাসরতদের পুনর্বাসন বা মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উচ্ছেদ কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। পরবর্তীকালে ক্যাম্পে বসবাসরতদের উচ্ছেদ নিয়ে আরো ৮টি মামলা হয়। এসব রিট মামলায় জারি করা রুলের ওপর একত্রে হাইকোর্টে শুনানি হয়।
শুনানিশেষে গত ২৯ মার্চ আদালত ৯টি রিটের ওপর জারিকৃত রুল কয়েকটি পর্যবেক্ষণ দিয়ে খারিজ করে দেয়। রায়ের বিরুদ্ধে আপিলে আবেদন করলে উচ্ছেদ বিষয়ে স্থিতাবস্থা জারি করে আদালত। আজ বিষয়টি স্থিতাবস্থা দুই সপ্তাহ বৃদ্ধি করে মামলাটি মূলতবি রাখার আদেশ দেয় আপিল বিভাগ।