শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে না দেওয়ায় ‘অবরোধ’ চলবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এ ছাড়া ‘সময় সুযোগ হলে’ সমাবেশ করবেন বলে জানান তিনি।
আজ সোমবার বিকেলে গুলশানে রাজনৈতিক কার্যালয়ের ভেতরে খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন।
সকাল থেকেই কার্যালয় থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করছেন বিএনপির চেয়ারপারসন। ওই কার্যালয়ের ফটকে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। পকেট গেটেও তালা লাগায় পুলিশ। বিকেল পৌনে চারটার দিকে তিনি নিজ কক্ষ থেকে বের হয়ে গাড়িতে ওঠেন। কিন্তু বাধার মুখে ফটক পার হতে না পেরে সাড়ে চারটার দিকে তিনি গাড়ি থেকে নেমে সাংবাদিকদের সামনে বক্তব্য দেন।
খালেদা জিয়া ‘অবরোধ চলবে’ বলে ঘোষণা দিলেও বর্তমানে বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে না।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘আজকে শুধু আমি নই, গোটা দেশটাই অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে।’ কী কারণে তাঁকে বন্দী করা হয়েছে তিনি জানেন না।
খালেদা জিয়া বলেন, তারা বলছে বন্দী করেনি। কিন্তু গেটে তালা, বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, যদি তিনি অবরুদ্ধ না হন তাহলে যাঁরা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চান, তাঁদের কেন আসতে দেওয়া হচ্ছে না।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘এই সরকার জালেম সরকার। সরকার শুধু দেশকে অবরুদ্ধ করেনি, দেশকে কারাগারে পরিণত করেছে।’ তিনি বলেন, দেশে অস্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছে।
খালেদা জিয়া আরও বলেন, ‘দেশের চিত্র দেখলে মনে হয় যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে। এ জন্য সম্পূর্ণভাবে সরকার দায়ী।’ বক্তব্যের একপর্যায়ে একুশে টিভির সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেন খালেদা জিয়া (অবশ্য একুশে টিভির একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে টেলিভিশনটির সম্প্রচার বন্ধ করা হয়নি। তবে ঢাকার কিছু এলাকায় স্থানীয় কেবল অপারেটররা এই টেলিভিশনের সম্প্রচার সাময়িক বন্ধ রাখেন বলে তাঁরা শুনেছেন)। তিনি বলেন, অন্যরা কথা বললে তাঁরা কাউকে সম্প্রচার করতে দিতে চায় না। সরকার একেবারে ‘ডিকটেটর’ হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
খালেদা জিয়া বলেন, তিনি নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিরাপত্তার কথা বলেছিলেন। নিরাপত্তা দেওয়া হলে তিনি যেখানে যাবেন সেখানেই নিরাপত্তা দেওয়ার কথা। কিন্তু তাঁকে আটকে রেখে নিরাপত্তা দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, এটা কোন ধরনের নিরাপত্তা?