সংখ্যালঘু নির্যাতন ও সোনালী রানী দাস(১৪)কে অপহরনের প্রতিবাদে হিন্দু ফোরামের মানববন্ধন
|
১১ চৈত্র ১৪২৯ |
Saturday, March 25, 2023

২৫মার্চ শনিবার সকাল ১০.০০টায় ঢাকাস্থ জাতীয় প্রেসকøাবের সামনে সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতন,ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়িয়ে ত্রাসসৃষ্টি ও নারায়ণগঞ্জে নাবালিকা সোনালী রানী দাস(১৪)কে অপহরনের প্রতিবাদে এবং সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন, সংখ্যালঘু কমিশন গঠনসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বন্ধ সহ ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার দাবিতে বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচ,হিউম্যান রাইটস্ এ্যালায়েন্স বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু ফোরামের উদ্যোগে এক মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।উক্ত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচের সভাপতি এড. রবীন্দ্র ঘোষের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচ ও বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু ফোরামের সেক্রটারী জেনারেল মানিক চন্দ্র সরকার,হিউম্যান রাইটইস্ এ্যালায়েন্স বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক মাহাবুবুল হক,এড. জগদীশ সরকার,আইন বিষয়ক সম্পাদক এড.,বাসুদেব গুহ, সুমন কুমার রায়,দপ্তর সম্পাদক গোপাল মন্ডল,সাংগঠনিক সম্পাদক সঞ্জিত দাস, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সুকান্ত বাছার, দিলীপ রায়,প্রচার সম্পাদক গৌতম মন্ডল সহ বিভিন্ন সংগঠন থেকে আগত নেতৃবৃন্দ।বক্তব্যকালে বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচের সভাপতি এড. রবীন্দ্র ঘোষ বলেন সারা বিশ্বে সত্যিকারের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সকলকে এক সাথে কাজ করতে হবে। যেখানেই মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে সেখানেই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অগ্রগন্য ভূমিকা রাখতে হবে,তাই বংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচ ও সমমনা সংগঠনগুলো বিশ্বাস করে, সহায়ক পরিবেশ ও সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মানবাধিকারের কর্মকান্ড সঠিক দক্ষতা আরো বৃদ্ধি হলে সমাজ পরিবর্তনের দূত হিসেবে অনেকেই কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারবে। আমি ২০০১ সাল থেকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রতিবাদে ও নির্যাতন বন্ধে এ যাবৎ কয়েক হাজার ঘটনায় ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিকটিম দেরকে আইনি সহায়তা দিয়েছি তদন্ত করেছি এবং তাদের পাশে থেকে কাজ করেছি, কিন্তু দুর্ভাগ্য হলেও সত্য আজ অব্দি নির্যাতন বৃদ্ধি পেয়েছে ঠিকই কিন্তু কমিনি একটুও তাই বর্তমান সরকারের কাছে দাবি করব নির্যাতন বন্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের এবং আমাদের দাবিগুলো পর্যালোচনা করে তা পূরণ করার।বক্তব্যকালে সংগঠনের সেক্রটারী জেনারেল মানিক চন্দ্র সরকার বলেন, “প্রতিটি স্বতন্ত্র ব্যক্তি তাদের নাগরিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সব অধিকার পাওয়ার যোগ্য। এটি তাদের বসবাসের স্থান, বর্ণ, গোষ্ঠী, ধর্ম, সামাজিক উৎপত্তি, লিঙ্গ, যৌন পরিচিতি,রাজনৈতিক অথবা অন্য মতামত, প্রতিবন্ধিতা বা উপার্জন অথবা অন্য যেকোনো অবস্থান নির্বিশেষে প্রযোজ্য।” কিন্তু সে অধিকার থেকে বিভিন্ন ভাবে বঞ্চিত হয় মানুষ। আমাদের দেশে সম্প্রতি পূজামন্ডপে হামলা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে একের পর এক সংখ্যালঘু নির্যাতন ঘটে গেছে তা বন্ধে সরকারকে আরো সচেষ্ট হতে হবে। যে কোনো মূল্যে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধ করতে হবে এবং তাদের অধিকার নিশ্চিত করতে সরকারের যা যা করার দরকার তা তা করতে হবে। সমমর্যাদা নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। তাই সরকার তার পবিত্র দায়িত্ব পালন করবে এটাই চায় বাংলাদেশের সকল সম্প্রদায়ের সচেতন নাগরিকরা।
অনুষ্ঠানে নাবালিকা সোনালীর দাসের পিতা সুনীল দাস উপস্থিত হয়ে কান্না বিজড়িত কন্ঠে বলেন আমার নাবালিকা মেয়ে সোনালী দাস ১৪কে গত ২মার্চ আমার এলাকার বকাটে রাজিব হোসেন বাবু ও তার দলবল অপহরণ করে নিয়ে যায় তার পরিবারের প্রত্যক্ষ মদদে। পরে অপহরণের ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা মডেল থানায় আমি মামলা দায়ের করলেও এখনো পুলিশ আমার মেয়েকে উদ্ধার করতে পারেনি আমি সংখ্যালঘু হওয়ায় আমার মেয়েকে জোরপূর্বক তারা অপহরণ করে নিয়ে যায়।আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর আকুল আবেদন জানাই তারা যেন আমার মেয়েকে প্রশাসনের মাধ্যমে উদ্ধার করে আমার কাছে ফিরিয়ে দেয় এবং দোষীদের গ্রেফতার পূর্বক আইনামলে এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে।