নারায়ণঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুরে সংখ্যালঘুর বাড়ীতে হামলা ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। কাঁচপুর ইউনিয়নের পশ্চিম বেহাকৈর গ্রামের কালাচাঁন দাশের সাথে একই এলাকার সিরাজুল ইসলামের জমি বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে ১৯ অক্টোবর দুপুরে সিরাজুল ইসলাম, রোকনুজ্জামান, সবুজ মিয়া সহ ১০/১২ জনের একটি বাহিনী দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে কালাচাঁন দাশের বাড়িঘর,ভেঙ্গে মাটির সাথে ঘুড়িয়ে দেয়।
এ সময় কালাচাঁন দাশ তার স্ত্রী অনজু রানী দাশ ছেলে লিটন চন্দ্র দাশ ও মা চারুবালা রানী দাশ আহত হয়। আহত কালাচান দাশ জানায়, জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে সন্ত্রাসী সিরাজুল ইসলাম আমার বাড়িঘর মাটির সাথে ঘুরিয়ে দিয়ে আমাদের পিটিয়ে আহত করেছে। থানায় মামলা না করার জন্য ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।
তবে সিরাজুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেন ।এই খবর পেয়ে ৩১ অক্টোবর শুক্রবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচ ও জাতীয় হিন্দু মহাজোটের নেতৃবৃন্দ পরিদর্শন কালে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের খোজ খবর নেন এবং তাদেরকে আইনী সহায়তা দিতে সোনারগাঁও থানায় নিয়ে এসে সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিজাউল হকের সংগে দেখা করে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে কেন আইনী সহায়তা দেওয়া হয়নি সে বিষয়ে জানতে চান প্রতিনিধি দলের প্রধান মাইনরিটি ওয়াচের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান এডভোকেট রবীন্দ্র ঘোষ |
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিজাউল হক, সংখ্যালঘুদের উপর হামলা ও বাড়িঘরে ভাংচুরের ঘটনায় তাৎক্ষনিক দুটি মামলা গ্রহন করে বাদীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন বলে প্রতিনিধি দলকে আশস্থ করেন|এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাইনরিটি ওয়াচের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান এডভোকেট রবীন্দ্র ঘোষ,বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম মহা সচিব মানিক চন্দ্র সরকার, জেলা হিন্দু মহাজোটের যুগ্ম সম্পাদক শন্ভুনাথ সাহা,সোনার গাঁ উপজেলার হিন্দু ছাএ মহাজোটের সভাপতি কৃষ্ণ চন্দ্র শীল সাধারন সম্পাদক নিমল দাস , সাংগঠিনক সম্পাদক পলাশ চন্দ্র দাস সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ|