ঢাকা, এপ্রিল ১৯, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ২২:৫৪:২৬

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র পুনর্বাসন না করে বস্তিবাসীদের উচ্ছেদ করা হবে না: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি হিসেবে ফের নিয়োগ পেলেন বিপ্লব বড়ুয়া সংসদ অধিবেশন উপলক্ষে সংসদ ভবন ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ আপিলে দ্বিতীয় দিনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৫১ জন নির্বাচনে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি সেনাবাহিনী চায় ইসি : পিএসও আদালত আবমাননায় বিচারক সোহেল রানার সাজার বিরুদ্ধে আপিলের রায় ২৩ জানুয়ারি রাজধানীর ২১টি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৪ জন গ্রেফতার : ডিএমপি নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হবে কিনা, জানালেন ইসি

“রানা দাশগুপ্তকে নোটিশ মোটেও হয়রানিমূলক নয়”

| ৮ ভাদ্র ১৪২২ | Sunday, August 23, 2015

তথ্যসূত্র-ঢাকাটাইমস

কেউ কোনো অভিযোগ করলে সেই অভিযোগ প্রমাণ করার দায়িত্ব অভিযোগকারী ব্যক্তির। তার কাছে অভিযোগের বিষয়ে তথ্য প্রমাণ চাওয়াই হচ্ছে আইনি ভাষা- এমন মন্তব্য করেছেন প্রবীণ আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক উল হক।

তিনি বলেন, ‘এলজিআরডি মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পর্কে জেলা প্রশাসন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কাছে তথ্য প্রমাণ চাইতেই পারে। এতে দোষের কী আছে? কিন্তু অভিযোগকারীকে তো অভিযোগ প্রমাণ করতে হবে।’রফিক উল হক ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, অপ্রয়োজনীয় অভিযোগ উত্থাপন করা ঠিক নয়। যদি কেউ অভিযোগ উত্থাপন করেন তাহলে সে বিষয়ে তথ্য-প্রমাণাধি চাওয়া তো কোনো দোষের কিছু নয়।এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এখন কেউ যদি আননেসেসারি কোনো অভিযোগ করে তার কাছে এটা হয়রানি মনে হতে পারে।’সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, একজন সম্মানিত মন্ত্রীর বিরুদ্ধে যদি কোনো ব্যক্তি অভিযোগ তোলে। সেটাকে প্রশাসন গুরুত্বের সঙ্গে নেবে এটাই স্বাভাবিক। এ অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে অভিযোগকারী ব্যক্তির কাছে তথ্য প্রমাণ চাওয়া তো দোষের কিছু নয়। বরং এটাই হওয়া উচিত। প্রশাসনের কাছে পাবলিকলি অভিযোগ উত্থাপনকারী ব্যক্তিকে অবশ্যই জবাব দিতে হবে। তার কাছে যদি তথ্য-প্রমাণাধি থাকে তাহলে সেটা উপত্থাপন করবে। আর না থাকলে সেটাও প্রশাসনকে তিনি জানাবেন।এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ঢালাওভাবে একজন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করা দুঃখজনক। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। কারো সম্মানহানি করাও মোটেই সমীচীন নয়।’জানতে চাইলে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. আনিসুজ্জামান ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘অভিযোগ দিলে সে বিষয়ে জানতে চাইলে হয়রানি হবে কেন। এটা তো আরও নিয়মমাফিক হয় বলে আমি মনে করি।’এ বিষয়ে জানতে চাইলে রানাদাশগুপ্ত কোনো কথা বলতে রাজি হয়নি। তিনি একটি বিক্ষোভ সমাবেশে আছেন বলে সংযোগ কেটে দেন।গত ৬ আগস্ট রাজধানীতে অনুষ্ঠিত হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে তার নির্বাচনী এলাকা ফরিদপুরে হিন্দু সম্পত্তি দখলের অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে জেলা প্রশাসন থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কামরুজ্জামান সেলিমকে আহ্বায়ক করে গঠিত তিন সদস্যের এই কমিটির অন্য দুই সদস্য হচ্ছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান ও সদর উপজেলার ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার খলিলুর রহমান। এ তদন্ত কমিটি স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযাগের সত্যতা বিষয়ে বক্তব্য জানাতে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্তকে আগামীকাল রবিবার সকাল ১০টায় ফরিদপুরের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে তদন্ত কমিটির সামনে উপস্থিত হওয়ার জন্য নোটিশ পাঠিয়েছে। এর প্রতিবাদে সংগঠনের পক্ষে আজকের বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। তারা এটাকে হয়রানিমূলক বলে প্রচারণা চালায়।