ঢাকা, মার্চ ২৯, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, স্থানীয় সময়: ১৫:৩৬:৫২

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় আসার নিশ্চয়তা না পেয়ে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে : প্রধানমন্ত্রী মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মানুষের সাংস্কৃতিক সম্পৃক্ততার আহ্বান তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর সংসদে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে স্বতন্ত্র সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী প্রকল্প বাস্তবায়নে অসাধারণ সাফল্য দেখিয়েছে পিপিপি বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আগমন স্বচ্ছ নির্বাচনে সহায়ক : তথ্যমন্ত্রী ফোর্বসের শীর্ষ ক্ষমতাধর নারীদের তালিকায় শেখ হাসিনা ৪৬তম বিএনপি-জামায়াত সারাদেশে বিশৃঙ্খলার ষড়যন্ত্র করছে : ওবায়দুল কাদের

‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেশে শান্তি এনেছে’

| ৮ শ্রাবণ ১৪২২ | Thursday, July 23, 2015

‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেশে শান্তি এনেছে'

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করায় দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আওয়ামী লীগ যখনই সরকারে এসেছে তখনই সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ যাতে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সেই প্রচেষ্টা চালিয়েছে।’

 

বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) ২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ বাহিনীর সদস্যদের এক দরবারে ভাষণ দানকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৯ সালে আমরা সরকারে আসার পর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা থেকে শুরু করে গোয়েন্দা সংস্থা আন্তরিকতার সাথে কাজ করে সময়মতো তথ্য সংগ্রহ করছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে যার যেখানে যে দায়িত্ব রয়েছে, সে দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছে বলেই আজ বাংলাদেশকে আমরা জঙ্গি ও সন্ত্রাসমুক্ত করতে সক্ষম হয়েছি।’

 

শেখ হাসিনা বলেন, ‘গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সরকারের প্রতিটি কার্যক্রম জনকল্যাণে প্রণীত ও বাস্তবায়িত হয়। এ জন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জনসম্পৃক্ততা বজায় রেখে দায়িত্ব ও জনপ্রত্যাশার মাঝে সমন্বয়ের মাধ্যমে দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সার্থকতার স্বাক্ষর রাখতে হবে।’

 

হাসিনা বলেন, ‘আমার সঙ্গে দায়িত্ব পালনকারী প্রত্যেকের বাড়তি চাপ ও পরিশ্রম তখনই সার্থক হবে, যখন আমাদের প্রয়াসের ফলশ্রুতিতে একটি সমৃদ্ধ দেশ গড়ে উঠবে। দেশ অর্থনৈতিকভাবে উন্নত হওয়ার সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীও এর সুফল পাবে।’

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি এটুকু বিশ্বাস করি যে, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মানুষকে কিছু দায়িত্ব দিয়ে পাঠান। আর এই দায়িত্বটুকু যতক্ষণ পর্যন্ত সম্পন্ন না হবে ততক্ষণ আল্লাহ রক্ষা করবেন। তা যদি না হত তাহলে এখনো আমার বেঁচে থাকার কথা নয়।’

 

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন দৃঢ় অর্থনৈতিক ভিত ও মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন খাতে বর্তমান সরকারের বাস্তবমুখী পরিকল্পনার কারণে এটা সম্ভব হয়েছে।’

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী সাড়ে ৩ বছরে দারিদ্র্যের হার আরো কমিয়ে ১৪-১৫ ভাগে নামিয়ে দেশকে দারিদ্র্যমুক্ত ঘোষণা করা হবে এবং বাংলাদেশ আর নিম্ন-আয়ের অন্তর্ভুক্ত থাকবে না। আগামী ৩ বছরের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’

 

অনুষ্ঠান শেষে প্রধানমন্ত্রী এসএসএফ কার্যালয়ে গিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটেন। পরে তিনি এসএসএফ সদস্যদের সঙ্গে এসএসএফ অফিসার্স মেসে এক মধ্যাহ্ন ভোজে যোগ দেন।

 

এর আগে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এসএসএফ মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শেখ মোহাম্মাদ আমান হাসান।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন—প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও), আইজিপি,  প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও এসএসএফের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা।