ঢাকা, এপ্রিল ২৪, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০৬:২৭:০৭

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র পুনর্বাসন না করে বস্তিবাসীদের উচ্ছেদ করা হবে না: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি হিসেবে ফের নিয়োগ পেলেন বিপ্লব বড়ুয়া সংসদ অধিবেশন উপলক্ষে সংসদ ভবন ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ আপিলে দ্বিতীয় দিনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৫১ জন নির্বাচনে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি সেনাবাহিনী চায় ইসি : পিএসও আদালত আবমাননায় বিচারক সোহেল রানার সাজার বিরুদ্ধে আপিলের রায় ২৩ জানুয়ারি রাজধানীর ২১টি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৪ জন গ্রেফতার : ডিএমপি নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হবে কিনা, জানালেন ইসি

‘লিভ ইন’ ধর্ষণের আওতাভুক্ত

| ২৫ ফাল্গুন ১৪২১ | Monday, March 9, 2015

‘লিভ ইন' ধর্ষণের আওতাভুক্ত‘লিভ ইন’ ধর্ষণের বাইরে নয়,ধর্ষণের আওতাভুক্ত। ‘লিভ ইন’ সম্পর্ককে ধর্ষণের আওতার বাইরে রাখা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। একটি জনস্বার্থ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে দিল্লি হাইকোর্ট এ কথা জানিয়েছে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

অনিল দত্ত শর্মা নামে এক ব্যক্তি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে ‘লিভ ইন’ সম্পর্ককে ধর্ষণের আওতার বাইরে রাখার আর্জি জানিয়েছিলেন। এই কাজের জন্য একটি নির্দেশিকা তৈরি করে দিতে কেন্দ্রীয় সরকারের জন্য নির্দেশও চেয়েছিলেন। কিন্তু ‘লিভ ইন’ সম্পর্ককে কোনরকম অনুকম্পাতেই রাখেননি প্রধান বিচারপতি জি রোহিণী এবং বিচারপতি রাজীব সহায় এন্দলোর ডিভিশন বেঞ্চ।

বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছেন, “লিভ ইন সম্পর্ককে ভারতীয় দন্ডবিধির ৩৭৬ ধারার (ধর্ষণ) বাইরে রাখা হলে এই সম্পর্ককে বিবাহের মর্যাদা দেওয়া হয়ে যাবে। যা সম্ভব নয়। কারণ বিবাহ আর লিভ ইন সম্পর্ক এক নয়।”

জনস্বার্থ মামলাটিতে আরও আর্জি জানানো হয়েছিল, ‘লিভ ইন’ সম্পর্কে কোনও পার্টনার যদি অন্য কোনও পার্টনারের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ আনেন, তবে তা ধর্ষণ নয়, প্রতারণার মামলা হিসেবে নথিভূক্ত করা হোক। এই আবেদনও খারিজ করে দিয়েছেন বেঞ্চ।

অনিল দত্ত শর্মার মতে, ৭০ শতাংশেরও বেশি ক্ষেত্রে দেখা যায়, ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তি নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন, কিন্তু তার পরিবারের সদস্যদের সামাজিক নিগ্রহের শিকার হতে হচ্ছে। তাই তার আর্জি, ধর্ষণে অভিযুক্তরা বেকসুর খালাস পাওয়ার পরে আইনের অপব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে যেন মামলা করতে পারেন। এবং তার জন্য কেন্দ্র এবং দিল্লি সরকারকে একটি নির্দেশিকা চালুর নির্দেশ দেওয়া হোক।

আরও দাবি করা হয়েছে, শুধু মাত্র কোনও নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে যেন কোনও পুরুষকে গ্রেফতার না করা হয়। প্রাথমিক তদন্ত এবং মেডিক্যাল রিপোর্ট পাওয়ার পরেই যেন এই ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হয়। তবে তাও আমলে নেননি আদালত। বেঞ্চের মতে, আবেদনকারীর বর্তমান আইন সম্পর্কে ধারণা খুবই কম।