ঢাকা, এপ্রিল ২৫, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১৯:৫৩:০৯

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

একীভূত হতে চাওয়া ব্যাংকের সম্পদের দাম যেভাবে নির্ধারণ করা হবে টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপির মাথাব্যথার কারণ নেই : ওবায়দুল কাদের বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবারের ঈদ যাত্রাও স্বস্তিদায়ক হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

‘যৌথ প্রযোজনার নামে যা হয়েছে তা প্রতারণা’

| ২১ শ্রাবণ ১৪২৪ | Saturday, August 5, 2017

 

অনুষ্ঠানে বিতার্কিকদের সঙ্গে অতিথিরা। ছবি : বিজ্ঞপ্তি

চলচ্চিত্র নির্মাতা মো. আমজাদ হোসেন বলেছেন, ‘সাম্প্রতিককালে যৌথ প্রযোজনার নামে যা হয়েছে তা অসম ও প্রতারণা।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের চলচ্চিত্রে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতিফলন থাকতে হবে। শুধু বাণিজ্য নির্ভরতা যৌথ প্রযোজনার ভিত্তি হতে পারে না।’

আজ শনিবার এক বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে আমজাদ হোসেন এ কথা বলেন। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (এফডিসি) একটি ফ্লোরে ওই ‘ছায়া সংসদ’-এর আয়োজন করে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি।

প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেজ অ্যান্ড টেকনোলজি এবং মানারত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিতার্কিকরা অংশগ্রহণ করে। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের পুরস্কার দেওয়া হয়। ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে আমজাদ হোসেন বলেন, ‘সরকার একটি নতুন কমিটিকে দায়িত্ব দিয়েছে যৌথ প্রযোজনা সংক্রান্ত যুগোপযোগী নীতিমালা করতে। আমরা আশা করি এ নীতিমালা সকলের মতামতের ভিত্তিতে করা হলে যৌথ প্রযোজনা সংক্রান্ত জটিলতা দূর হবে।’ তবে তিনি সমভিত্তিতে যৌথ প্রযোজনার বিরোধিতা না করে বলেন, নতুন নীতিমালার ভিত্তিতে এর সমাধান হবে।

চিত্রনায়ক ফারুক বলেন, ‘চলচ্চিত্র বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণমাধ্যম। আমাদের চলচিত্রকে অবশ্যই এ দেশের মানুষের জীবনাচার, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সাথে সংগতিপূণ হতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘জীবন থেকে নেয়া’ ছবিটি মানুষকে মুক্তিযুদ্ধের জন্য অনুপ্রাণিত করেছিল।’ তিনি আরো বলেন, ‘চলচ্চিত্র মানুষকে অনেক কিছু শেখায়, তাই যাঁরা চলচিত্র নির্মাণ করেন, তাদেরকে লক্ষ রাখতে হবে কীভাবে চলচিত্র সমাজে ইতিবাচক প্রভাব রাখবে, সে বিষয়টি অনুধাবন করা।’

চিত্রনায়ক ফারুক ‘নবাব’ ও ‘বস ২’ কে যৌথ প্রযোজনা বলতে আপত্তি করেন। তিনি তথ্য মন্ত্রণালয়কে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আমরা চিৎকার করে বলব যৌথ প্রযোজনা বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অবিলম্বে বাস্তবায়ন করা হোক।’

সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, ‘যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র তৈরিতে দুই দেশের শিল্পী ও কলাকুশলীর সংখ্যা সমান থাকার অঙ্গীকার থাকলেও মূল চরিত্রসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে এই নীতিমালা মানা হচ্ছে না। চলচ্চিত্রের উন্নয়নের দোহাই দিয়ে বাংলাদেশের বাজার টার্গেট করে এসব যৌথ প্রযোজনায় ছবি বানানো হলে তা মোটেই আমাদের চলচ্চিত্রশিল্পের জন্য ভালো নয়।’ তিনি আরো বলেন, ‘কাহিনী, ভাষা, চিত্রনাট্য অভিনেতা ও অভিনেত্রী অধিকাংশই কলকাতার এই অভিযোগ সত্যি হলে আমাদের শিল্পীদের মর্যাদা নিয়ে টিকে থাকতে কষ্ট হবে। তবে এ কথাও সত্য যে, বাংলাদেশ আর ভারতের মধ্যে ভারসাম্য রেখে সত্যিকার যৌথ প্রযোজনায় ছবি নির্মিত হলে দুই দেশই লাভবান হবে।’

অনুষ্ঠানে অভিনেতা মিশা সওদাগর বলেন, ‘যৌথ প্রযোজনা নিয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তবে আমরা চাই, যৌথ প্রযোজনা হতে হবে সুস্পষ্ট নিয়ম নীতির ভিত্তিতে।’ তিনি বলেন, ‘বিশ্বায়নের যুগে আমরা যৌথ প্রযোজনাকে বাধা দিতে পারি না, তবে সেটি দুই দেশের নিয়মনীতি অনুযায়ী হলে তা উভয়ের স্বার্থ সংরক্ষণ করবে। সম্প্রতি যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ছবিতে বাংলাদেশি নায়িকাকে যে পোশাকে দেখা যায়, তা আমাদের সমাজ-সংস্কৃতির সঙ্গে মিলে না।’