ঢাকা, এপ্রিল ২৫, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১৮:১০:৩৮

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

একীভূত হতে চাওয়া ব্যাংকের সম্পদের দাম যেভাবে নির্ধারণ করা হবে টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপির মাথাব্যথার কারণ নেই : ওবায়দুল কাদের বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবারের ঈদ যাত্রাও স্বস্তিদায়ক হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

‘বাংলাদেশের উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে’

| ১৫ কার্তিক ১৪২৫ | Tuesday, October 30, 2018

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া বার্নিকাট বিদায়ী সাক্ষাৎ করেন। ছবি : পিআইডি

বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া স্টিফেন্স ব্লুম বার্নিকাট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর বিদায়ী সাক্ষাতে জানিয়েছেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে তাঁর দেশ সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।

আজ মঙ্গলবার সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বার্নিকাটের সাক্ষাতের পরে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ কথা বলেন।

‘বাংলাদেশের উন্নয়নে আমাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে,’ বার্নিকাটের এই বক্তব্য উদ্ধৃত করে প্রেস সচিব বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিষয় প্রধানমন্ত্রী এবং যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত-উভয়েই সন্তোষ প্রকাশ করেন।’

প্রেস সচিব বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মকে চমকপ্রদ আখ্যায়িত করে এই প্রজন্মই দেশের উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি এ সময় বাংলাদেশের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর কঠোর পরিশ্রমেরও ভূয়সী প্রশংসা করেন।

শিক্ষাকে সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘যেকোনো দেশের উন্নয়নে এটি একটি বড় বিষয়।’

বার্নিকাট এ দেশে উৎপাদিত আম ও লিচুরও প্রশংসা করেন।

প্রধানমন্ত্রী দেশের বিভিন্ন খাতে তাঁর সরকারের সাফল্যের চিত্র তুলে ধরে জানান, তাঁর মূল লক্ষ্যই দেশের উন্নয়ন এবং জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করা।

৭৫ এর বিয়োগান্তক অধ্যায়ের পর বাধ্য হয়ে ছয় বছর প্রবাসজীবন কাটিয়ে ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর দেশে ফিরে আসার কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি দেশের প্রতিটি প্রান্ত ঘুরে বেরিয়ে মানুষের দুরবস্থা স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করেছি।’

সেই অভিজ্ঞতা থেকেই দেশকে কীভাবে উন্নত করা যায় তার পরিকল্পনা তিনি করেছেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সেই অবস্থা থেকে বাংলাদেশের আজকের পর্যায়ে উত্তরণ ঘটেছে।’

দেশের কৃষি খাতের উন্নয়নে তাঁর সরকারের পদক্ষেপসমূহ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আগে এক মৌসুমের তরিতরকারি অন্য মৌসুমে পাওয়া যেত না।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘কিন্তু, আমরা এখন সারা বছরই সবধরনের তরিতরকারি পাচ্ছি, এটা আমাদের গবেষণা এবং কৃষি গবেষকদের অবদান।’

প্রধানমন্ত্রী এ সময় বার্নিকাটের সর্বাঙ্গীণ সাফল্যও কামনা করেন।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।