টাঙ্গাইল: রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, নতুন প্রজন্মকে জ্ঞান-বিজ্ঞান ও দক্ষতায় বিশ্বমানের হতে হবে। আর এ উদ্যোগটি শুরু করতে হবে স্কুল পর্যায় থেকে।
মঙ্গলবার বিকালে টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী ধনবাড়ী নওয়াব ইনস্টিটিউশনের (মাধ্যমিক বিদ্যালয়) শতবর্ষপূর্তি ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, স্কুলগুলো জনগণের অর্থে পরিচালিত হয়। আমরা এখন একবিংশ শতাব্দীতে বাস করছি। বিশ্ব এখন আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি প্রতিযোগিতামূলক ও চ্যালেঞ্জিং। এই চ্যালেঞ্জকে মোকাবেলা করেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যুগের ধ্যান-ধারণা ও শিক্ষাদান পদ্ধতিতে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। তাই শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদেরও পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এগিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের সম্পদ সীমিত। সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিতের মাধ্যমেই উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করার প্রয়াস চালাতে হবে। শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে মানুষ গড়ার কারখানা। আর আপনারা তার মহান কারিগর। আমার বিশ্বাস ছাত্র-ছাত্রীদের সুশিক্ষিত ও দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তরিত করতে আপনারা জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার মাধ্যমে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবেন।
তিনি বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে দেশ ও জনগণের কাছে আমরা প্রত্যেকেই দায়বদ্ধ। এখানে পড়ালেখা করে আমাদের সন্তানরা। তাই বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ ও সুনাম বজায় রাখার দায়িত্ব আমাদের সবার।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তার স্ত্রী রাশিদা খানম ও মেয়ে স্বর্ণা হামিদসহ ২৯ জন সঙ্গীদের বহনকারী হেলিকপ্টার ধনবাড়ী কলেজ মাঠে অস্থায়ীভাবে নির্মিত হেলিপ্যাডে অবতরণ করে।
এরপর সেখান থেকে গাড়িতে করে তাদের নবাব প্যালেসে নিয়ে যাওয়া হয়। রাষ্ট্রপতি নবাব প্যালেসে দুপুরের খাবার শেষে বিশ্রাম নেন। পরে দুপুর আড়াইটার পর নওয়াব ইনস্টিটিউশনের শতবর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দেন।
নওয়াব ইনস্টিটিউশনের শতবর্ষ উৎসবে রাষ্ট্রপতির আগমনে তাকে স্বাগত জানাতে ধনবাড়ী পৌর শহরের রাস্তায় রাস্তায় তোরণ নির্মাণ করা হয়। এছাড়া নানা রকম পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন, অভিনন্দন গেট ও আলোকসজ্জায় সাজানো হয়।