ঢাকা চিড়িয়াখানার নাম বদলে যাচ্ছে। ‘ঢাকা চিড়িয়াখানা’র (Dhaka Zoo) বদলে নতুন নাম হচ্ছে ‘বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা’ (Bangladesh National Zoo)। চিড়িয়াখানার উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে নেয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ পরিবর্তন করা হচ্ছে। আগামী ২০ শে ফেব্রুয়ারি সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে অনুষ্ঠেয় প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির বৈঠকে নাম বদলের প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য উঠবে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে রাজধানী ঢাকার প্রাণকেন্দ্র থেকে প্রায় ১৬ কিলোমিটার দূরে ১৮০ একর জায়গায় মিরপুরে ঢাকা চিড়িয়াখানা অবস্থিত। যেখানে ১৫০ প্রজাতির ২০০০ প্রাণী ও পাখি সংরক্ষণ করা হচ্ছে।
পঞ্চাশের দশকে ঢাকা হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে সীমিতভাবে চিত্রা হরিণ, বানর ও হাতিসহ কয়েকটি প্রজাতির বন্যপ্রাণী নিয়ে চিড়িয়াখানার যাত্রা শুরু হয়। এরপর ১৯৬১ সালে চিড়িয়াখানা প্রতিষ্ঠা এবং সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য একটি উপদেষ্টা বোর্ড গঠন করা হয়। প্রাণীদের বাসস্থান ও প্রয়োজনীয় অবকাঠামো তৈরি, হাইকোর্ট সংলগ্ন চিড়িয়াখানা থেকে বন্যপ্রাণী স্থানান্তর এবং দেশ-বিদেশের প্রাণী সংগ্রহের পর ১৯৭৪ সালের ২৩শে জুন জনসাধারণের জন্য বর্তমান চিড়িয়াখানা উন্মুক্ত করা হয়। ইতিমধ্যে চিড়িয়াখানাটির বয়স ৪০ বছর পার হয়েছে।
নাম পরিবর্তনের কারণ হিসেবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় যুক্তি তুলে ধরে বলেছে, ঢাকা চিড়িয়াখানাকে বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানায় নামকরণের মাধ্যমে বহির্বিশ্বে অন্যান্য জাতীয় চিড়িয়াখানার সঙ্গে তালিকাভুক্ত করতে পারলে আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশ চিড়িয়াখানার মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে। একই সঙ্গে আন্তঃদেশীয় জাতীয় চিড়িয়াখানাগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক সৃষ্টির মাধ্যমে দ্রুত উন্নয়ন, প্রাণী ও পাখি বিনিময়সহ অন্যান্য কারিগরি সহায়তা বাড়ানো সহজ হবে।
এতে বলা হয়েছে, পৃথিবীর অনেক দেশেই জাতীয় চিড়িয়াখানা হিসেবে সরকারিভাবে একটি করে চিড়িয়াখানা থাকে। চিড়িয়াখানা শুধুমাত্র বন্যপ্রাণী ও পাখি সংরক্ষণ বা বিনোদনমূলক কেন্দ্র নয়। জাতীয় চিড়িয়াখানা দেশের একটি জ্যু বিষয়ক প্রতিষ্ঠান। জ্যু বিষয়ক বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে সদস্য পাওয়ার ক্ষেত্রে জাতীয় চিড়িয়াখানা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশেষত ওয়ার্ল্ড এসোসিয়েশন অফ জ্যু অ্যান্ড একুরিয়ামের সদস্য প্রাপ্তির বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।