ঢাকা, এপ্রিল ১৮, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০৭:৩০:৫৯

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় আসার নিশ্চয়তা না পেয়ে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে : প্রধানমন্ত্রী মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মানুষের সাংস্কৃতিক সম্পৃক্ততার আহ্বান তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর সংসদে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে স্বতন্ত্র সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী প্রকল্প বাস্তবায়নে অসাধারণ সাফল্য দেখিয়েছে পিপিপি বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আগমন স্বচ্ছ নির্বাচনে সহায়ক : তথ্যমন্ত্রী

‘ঢাকা চিড়িয়াখানা’র নতুন নাম ‘বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা’

| ১৭ ভাদ্র ১৪২১ | Monday, September 1, 2014

004_82844_0.jpg

ঢাকা চিড়িয়াখানার নাম বদলে যাচ্ছে। ‘ঢাকা চিড়িয়াখানা’র (Dhaka Zoo) বদলে নতুন নাম হচ্ছে ‘বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা’ (Bangladesh National Zoo)। চিড়িয়াখানার উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে নেয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ পরিবর্তন করা হচ্ছে। আগামী ২০ শে ফেব্রুয়ারি সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে অনুষ্ঠেয় প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির বৈঠকে নাম বদলের প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য উঠবে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে রাজধানী ঢাকার প্রাণকেন্দ্র থেকে প্রায় ১৬ কিলোমিটার দূরে ১৮০ একর জায়গায় মিরপুরে ঢাকা চিড়িয়াখানা অবস্থিত। যেখানে ১৫০ প্রজাতির ২০০০ প্রাণী ও পাখি সংরক্ষণ করা হচ্ছে।

পঞ্চাশের দশকে ঢাকা হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে সীমিতভাবে চিত্রা হরিণ, বানর ও হাতিসহ কয়েকটি প্রজাতির বন্যপ্রাণী নিয়ে চিড়িয়াখানার যাত্রা শুরু হয়। এরপর ১৯৬১ সালে চিড়িয়াখানা প্রতিষ্ঠা এবং সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য একটি উপদেষ্টা বোর্ড গঠন করা হয়। প্রাণীদের বাসস্থান ও প্রয়োজনীয় অবকাঠামো তৈরি, হাইকোর্ট সংলগ্ন চিড়িয়াখানা থেকে বন্যপ্রাণী স্থানান্তর এবং দেশ-বিদেশের প্রাণী সংগ্রহের পর ১৯৭৪ সালের ২৩শে জুন জনসাধারণের জন্য বর্তমান চিড়িয়াখানা উন্মুক্ত করা হয়। ইতিমধ্যে চিড়িয়াখানাটির বয়স ৪০ বছর পার হয়েছে।

নাম পরিবর্তনের কারণ হিসেবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় যুক্তি তুলে ধরে বলেছে, ঢাকা চিড়িয়াখানাকে বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানায় নামকরণের মাধ্যমে বহির্বিশ্বে অন্যান্য জাতীয় চিড়িয়াখানার সঙ্গে তালিকাভুক্ত করতে পারলে আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশ চিড়িয়াখানার মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে। একই সঙ্গে আন্তঃদেশীয় জাতীয় চিড়িয়াখানাগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক সৃষ্টির মাধ্যমে দ্রুত উন্নয়ন, প্রাণী ও পাখি বিনিময়সহ অন্যান্য কারিগরি সহায়তা বাড়ানো সহজ হবে।

এতে বলা হয়েছে, পৃথিবীর অনেক দেশেই জাতীয় চিড়িয়াখানা হিসেবে সরকারিভাবে একটি করে চিড়িয়াখানা থাকে। চিড়িয়াখানা শুধুমাত্র বন্যপ্রাণী ও পাখি সংরক্ষণ বা বিনোদনমূলক কেন্দ্র নয়। জাতীয় চিড়িয়াখানা দেশের একটি জ্যু বিষয়ক প্রতিষ্ঠান। জ্যু বিষয়ক বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে সদস্য পাওয়ার ক্ষেত্রে জাতীয় চিড়িয়াখানা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশেষত ওয়ার্ল্ড এসোসিয়েশন অফ জ্যু অ্যান্ড একুরিয়ামের সদস্য প্রাপ্তির বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।