ঢাকা, এপ্রিল ২৫, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ২১:১৪:৩৯

‘চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক নয়’

| ১ আশ্বিন ১৪২৪ | Saturday, September 16, 2017

 

যেকোনো রোগ বা জ্বরের ক্ষেত্রে অনেকেই না বুঝে অ্যান্টিবায়োটিক খেয়ে ফেলেন। এটি মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

টাইফয়েড জ্বর আমাদের দেশের বেশ প্রচলিত জ্বর। এই জ্বরের ক্ষেত্রেও অনেকে না বুঝে অ্যান্টিবায়োটিক খান। এতে পরে রোগ জটিল হয়ে ওঠে। এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৮৪৩তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. কে এফ এম আয়াজ। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজে মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।

প্রশ্ন : টাইফয়েডের ক্ষেত্রে যদি কেউ নিজে নিজে অ্যান্টিবায়োটিক খান এবং খাওয়ার পরও যদি জ্বর না কমে, সিএস রিপোর্ট ঠিকমতো না আসে, রোগ জটিল হয়ে যায়, তাহলে তাঁদের বেলায় করণীয় কী?

উত্তর : এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন। এ ক্ষেত্রে আমরা সাধারণত দুটো জিনিস করতে পারি। একটি হলো আগে রোগীর ইতিহাসটা নিই। এটি খুব জরুরি। দিনে জ্বর কীভাবে শুরু হলো, বোঝা জরুরি। ক্লিনিক্যাল এক্সামিনেশন করে রোগীকে দেখতে হবে।

টাইফয়েড জ্বরে সাধারণত দ্বিতীয় সপ্তাহের পরে দেখা যায়, স্পিন ও লিভার বড় হয়ে যাচ্ছে। এটা আমরা, ক্লিনিশিয়ানরা দেখতে পারে। কারণ, এটি তো আন্ত্রিক জ্বর। আমরা এটি দেখতে পাই। তিন নম্বর হলো ট্রিপল অ্যান্টিজেন বা এগলুটেশন টেস্টগুলো করে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পাওয়া যেতে পারে। আপনি টাইটার দেখতে পারেন। এ ছাড়া তিন সপ্তাহের পরে গিয়ে প্রস্রাবে টাইফয়েড ধরা পড়ে। তো, সেই সময় কালচার করা যেতে পারে। তবে জ্বর হয়ে গিয়ে চিকিৎসকের জন্য সবচেয়ে কঠিন, রোগীর জন্য সবচেয়ে সহজ।

প্রশ্ন : এ ক্ষেত্রে অগ্রবর্তী কোনো পদ্ধতি নেই যে অ্যান্টিবায়োটিক চলা অবস্থাতেই ব্লাড কালচার করা যায়?

উত্তর : হ্যাঁ, করা যায়। আমরা ফ্যান পদ্ধতিতে ব্লাড কালচার করে থাকি। তবে এর ক্ষেত্রেই একই কথা, যদি সাত বা আট সপ্তাহ পার হয়ে যায়, এতেও অনেক সময় আসতে চান না। এটি অবশ্যই একটি জটিল প্রক্রিয়া। তখন চিকিৎসকদের এটিও চিন্তা করতে হয়। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া যেন অ্যান্টিবায়োটিক শুরু না করে। একজন লোকও যদি এটি শুনে কথাটি মেনে চলেন, সেটি হবে আজকের অনুষ্ঠানের সফলতা।