বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরাম-২০১৮ এর আয়োজন নিয়ে আজ সোমবার রাজধানীর এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
ভবিষ্যতে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এসব আশঙ্কাকে তিনি আমলে নিচ্ছেন না বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী।
বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরাম-২০১৮ এর আয়োজন নিয়ে আজ সোমবার রাজধানীর এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের উদ্যোগে আগামী ১৭ ও ১৮ জানুয়ারি রাজধানীতে অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরাম-২০১৮। এই ফোরামে মূলত বাংলাদেশ সরকারের উন্নয়ন ভাবনা নিয়ে উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে আলোচনা হবে। সরকারের এই আয়োজন নিয়েই আজ এই সংবাদ সম্মেলন করেন অর্থমন্ত্রী।
মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-এসডিজি বাস্তবায়ন নিয়েই মূলত আলোচনা হবে এই ফোরামে। থাকবে কৃষি, শিক্ষা, তথ্যপ্রযুক্তি, নারীর ক্ষমতায়নসহ আরো অনেক বিষয়।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এফডিআই হ্যাজ বিন ভেরি স্লো অ্যান্ড লিমিটেড ইন বাংলাদেশ (এতদিন বাংলাদেশে এফডিআই খুব ধীর এবং নির্দিষ্ট মাত্রার ছিল)। কিন্তু প্রেজেন্স সাইন্স আর গুড (কিন্তু বর্তমান লক্ষণগুলো ভালো)। এবং এর গুড (ভালো) হওয়ার কারণ হলো ডোমেস্টিক কোম্পানিজগুলো (দেশি প্রতিষ্ঠান) একটা অবস্থানে এসেছে। সুতরাং তাঁরাই এফডিআইকে নিয়ে আসে মোটামুটিভাবে।’
‘উন্নয়নের জন্য সহযোগিতা’ স্লোগানকে সামনে রেখে রাজধানীর একটি হোটেলে শুরু হতে যাওয়া এই ফোরামের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের অর্থনীতি যেভাবে অগ্রসর হচ্ছে তাতে অদূর ভবিষ্যতে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই বলেও আশ্বস্ত করেন অর্থমন্ত্রী।
আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘দে লেবার ফোর্স অব দি কান্ট্রি (দেশের কর্মজীবী মানুষেরা) তাঁরা এখন কাজে ব্যস্ত থাকে। দে ডোন্ট ওয়ান্ট টু ওয়াস্ট এনি অব দেয়ার টাইম (তাঁরা তাদের কোনো সময়ই নষ্ট করতে চান না)। যে এসে গোলমাল করতে চেষ্টা করে তার বিরুদ্ধে ক্ষেপে যায়। সুতরাং আমার মনে হয় না, দেয়ার ইজ এনি পসিবিলিটি অব এনি ইনস্টেবিলিটি ইন নিয়ার ফিউচার (অদূর ভবিষ্যতে ভারসাম্য হারানোর কোনো সম্ভাবনা আছে)। ওয়েল ইট ইজ ফিউচার (তবে এটা ভবিষ্যতের ব্যাপার)। সো সে কী হবে বলা মুশকিল। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কোনো কারণ দেখা যাচ্ছে না। সুতরাং সেটা নিয়ে যে বিভিন্ন হতাশাজনক কথাবার্তা বলা হচ্ছে এগুলো আমার কাছে মোটেও আমলযোগ্য নয়।’
এর আগে সবশেষ ২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরাম অনুষ্ঠিত হয়েছিল।