ঢাকা, এপ্রিল ২৫, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০৮:২৮:২৮

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

একীভূত হতে চাওয়া ব্যাংকের সম্পদের দাম যেভাবে নির্ধারণ করা হবে টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপির মাথাব্যথার কারণ নেই : ওবায়দুল কাদের বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবারের ঈদ যাত্রাও স্বস্তিদায়ক হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

‘আমার স্বাভাবিক জীবন-যাপন ব্যাহত হচ্ছে’

| ৪ কার্তিক ১৪২৪ | Thursday, October 19, 2017

জামিন পাওয়ার পর খালেদা জিয়া

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, দেশে ন্যায়বিচার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। মানুষ ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ‘ক্ষমতাসীনরা কিসে তুষ্ট এবং কিসে রুষ্ট হবেন, সে কথা মাথায় রেখে বিচারকদের চলতে হচ্ছে।’

আজ বৃহস্পতিবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে দুর্নীতির অভিযোগ এনে দায়ের করা মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থন করতে গিয়ে খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন। মামলায় হয়রানির শিকার হচ্ছেন জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমার স্বাভাবিক জীবন-যাপন ব্যাহত হচ্ছে।’

বেলা সোয়া ১১টার দিকে খালেদা জিয়া বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামানের আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করেন এবং পরে জামিন আবেদন করেন। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ২৬ অক্টোবর পুনরায় শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করে দিয়েছেন।

মামলার ব্যাপারে খালেদা জিয়া বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনগত কর্তৃত্ব ও এখতিয়ারের বাইরে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে।

খালেদা জিয়া বলেন, ‘আর এমন একটি ভিত্তিহীন অভিযোগে দায়ের করা এ মামলায় বিচারের নামে দীর্ঘদিন ধরে আমি হয়রানি, পেরেশানি ও হেনস্তার শিকার হচ্ছি। আমার স্বাভাবিক জীবন-যাপন ব্যাহত হচ্ছে। বিঘ্নিত হচ্ছে আমার রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কার্যক্রম।’

মামলা উদ্বেগের কথা জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, ‘এমন সব হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলার কারণে আমার দলের নেতাকর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ী ও জনগণের এক বিরাট অংশকে থাকতে হচ্ছে গভীর উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠার মধ্যে।’

বিচার বিভাগ নিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এমন ধারণা প্রবল যে, দেশে ন্যায়বিচারের উপযোগী সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক পরিবেশ-পরিস্থিতি এখন নেই। বিচার বিভাগ স্বাধীন ও স্বাভাবিকভাবে বিচার কাজ পরিচালনা করতে পারছেন না। শাসক মহলের নানামুখী তৎপরতা, হস্তক্ষেপ ও প্রভাব বিস্তারের কারণে বিচারকরা আইন অনুযায়ী ও বিবেকশাসিত হয়ে বিচার করতে পারছেন না। রায়, সিদ্ধান্ত ও নির্দেশ দেওয়ার ক্ষেত্রে বিচারকদের তোয়াক্কা করতে হচ্ছে সরকারের ইচ্ছা-অনিচ্ছার ওপর।

খালেদা জিয়া আরো বলেন, বিচারকদের পদোন্নতি ও নিয়োগ এবং হয়রানি ও বদলির ক্ষমতা বিপুলভাবে রয়ে গেছে ক্ষমতাসীনদের হাতে। এই ক্ষমতা অপপ্রয়োগের ভয় তাই বিচারকদের মনে থাকাটাই স্বাভাবিক।

খালেদা জিয়া বলেন, নিম্ন আদালতে এই পরিস্থিতি ও পরিবেশের নেতিবাচক প্রভাব আরো বেশি প্রকট।

বিএনপির নেতা তারেক রহমানের প্রসঙ্গ টেনে খালেদা জিয়া বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান এবং আমার ও শহীদ জিয়াউর রহমানের ছেলে তারেক রহমানকে অর্থপাচারের একটি বানোয়াট অভিযোগ থেকে তার অনুপস্থিতিতেই একজন বিচারক বেকসুর খালাস দিয়েছিলেন। এই অপরাধে শাসক মহল উক্ত বিচারককে হেনস্তা ও হয়রানির উদ্দেশ্যে এমন সব তৎপরতা শুরু করে যে, তাতে তাকে আত্মরক্ষার জন্য সপরিবারে দেশত্যাগ করতে হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘এই একটি মাত্র উদাহরণই ন্যায়বিচার ব্যাহত করতে এবং ব্যক্তি বিচারকদের নিজস্ব নিরাপত্তা বোধের ব্যাপারে শঙ্কিত করার জন্য যথেষ্ট। এমন সব ঘটনা সরবে ও নীরবে অহরহ ঘটছে।’

খালেদা জিয়া বলেন, ‘এসব কারণেই দেশের সর্বোচ্চ আদালতের সঙ্গে শাসক মহলের বিরোধ সম্প্রতি প্রায় প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে।’

প্রধান বিচারপতির প্রসঙ্গ এনে খালেদা জিয়া বলেন, ‘এসব কারণেই বাংলাদেশের মাননীয় প্রধান বিচারপতি সম্প্রতি প্রকাশ্যেই বলেছেন যে, বিচার বিভাগের হাত-পা বাঁধা। তিনি (প্রধান বিচারপতি) আরো বলেছেন, বিচারকগণ স্বাধীন নন।’

খালেদা জিয়া বলেন, ‘এসব কারণেই আমাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে কি না তা নিয়ে জনমনে ব্যাপক সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। বাসা বেঁধেছে চরম উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা।’