উলফা নেতা অনুপ চেটিয়ার বিনিময়ে নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের আসামি নুর হোসেনকে দেশে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে দুই দেশের স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের সাম্প্রতিক বৈঠকে।
0
0
401
গত ৪ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ওই বৈঠকে দুই দেশের প্রতিনিধিরা এ বিষয়ে মতৈক্যে পৌঁছান বলে ভারতের একাধিক কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে নিশ্চিত করেছেন।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোতেও এ বিষয়ে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জে কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ও আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারসহ সাত হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা নূর হোসেন গত ১৪ জুন কলকাতায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর তিন মাস ধরে পশ্চিমবঙ্গের কারগারে রয়েছেন।
নূর হোসেন ও তার দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং অবৈধ অস্ত্র রাখার মামলাও করেছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ।
আর ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসামের (উলফা) প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক অনুপ চেটিয়াকে ১৯৯৭ সালের ২১ ডিসেম্বর ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ, বিদেশি মুদ্রা রাখা এবং স্যাটেলাইট ফোন রাখার অভিযোগে তিনটি মামলায় অনুপ চেটিয়াকে যথাক্রমে তিন, চার ও সাত বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত। সেই সাজার মেয়াদ ২০০৭ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি শেষ হলেও দুই দেশের মধ্যে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি না থাকায় ভারত তাকে ফিরিয়ে নিতে পারছিল না।
এরপর গত বছর জুনে দুই দেশের মধ্যে বন্দি বিনিময়ে ‘বহিঃসমর্পণ চুক্তি’ হওয়ার পর চেটিয়াকেও হস্তান্তরের আইনি পথ তৈরি হয়।
ভারতীয় কারা কর্মকর্তারা বলছেন, নূর হোসেনের বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ আদালতের সিদ্ধান্তের ওপর আসামি বিনিময়ের বিষয়টি নির্ভর করছে।
নূর হোসেন যেহেতু এরইমধ্যে ৮০ দিনের বেশি সময় কারাগারে কাটিয়েছেন, সেহেতু শিগগিরই তাকে হস্তান্তরের জন্য ছেড়ে দেয়া হতে পারে বলেও ইংগিত দিয়েছেন তারা।
ভারতীয় আইন অনুযায়ী অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে সাধারণত দুই মাসের সাজা হয়।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নূর হোসেনকে বিচারের মুখোমুখি করতে শিগগিরই দেশে ফেরানোর চেষ্টা চলছে বলে এর আগে সংসদীয় কমিটিকে জানিয়েছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সে সময় বলা হয়েছিল, ভারত এ বিষয়ে যেসব কাগজপত্র চেয়েছে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তা পাঠিয়ে দিয়েছে।