ঢাকা, এপ্রিল ২৩, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১৯:২৫:০২

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

একীভূত হতে চাওয়া ব্যাংকের সম্পদের দাম যেভাবে নির্ধারণ করা হবে টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপির মাথাব্যথার কারণ নেই : ওবায়দুল কাদের বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবারের ঈদ যাত্রাও স্বস্তিদায়ক হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

২০৪১ সালে বাংলাদেশ সত্যিই সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে : অর্থমন্ত্রী

| ১৩ কার্তিক ১৪২৪ | Saturday, October 28, 2017

সিলেট: অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতা ও উৎসাহে দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, ২০৪১ সালে বাংলাদেশ সত্যিই সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে ।
শেখ হাসিনার সরকারের মতো জনসেবক সরকার আগে ছিল বলে তার জানা নেই উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন তিনি এখন বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নেতা। তাঁর কারণেই সবাই কাজে উৎসাহ পান।
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার এখন কিছু পাওয়ার দরকার নেই। তিনি এখন বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নেত্রী। তার আন্তরিকতা ও উৎসাহে দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, ২০৪১ সালে সত্যিই আমরা সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হতে পারবো।
মুহিত আজ শুক্রবার সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দরের উদ্বোধনি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন। প্রায় ২৩ দশমিক ৭২ একর ভূমির ওপর ৬৯ কোটি ২৬ লাখ টাকা ব্যয়ে গোয়াইনঘাট উপজেলার সীমান্ত তামাবিল জিরো পয়েন্টে (যেখানে আগে তামাবিল শুল্ক স্টেশন ছিল) এ স্থলবন্দর নির্মাণ করা হয়েছে। ২০১৫ সালের ৮ মে তামাবিল স্থলবন্দরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনিও বক্তব্য রাখেন।
স্থলবন্দর প্রতিষ্ঠা করলে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি পায় উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, তামাবিল স্থলবন্দর চালু হওয়ায় বাংলাদেশ-ভারত উভয় দেশ উপকৃত হবে। দু’দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও স্থল যোগাযোগ বাড়বে। তামাবিলে কর্মসংস্থান বাড়ার পাশাপাশি দারিদ্রতা কমবে।
মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার সময় এদেশের ৭০ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে ছিলো, তা এখন সাড়ে ২২ শতাংশে নেমেছে। আগে এক কোটি ১০ লাখ টন খাদ্য উৎপাদন হতো, এখন তিন কোটি ৮০ লাখ টন খাদ্য উৎপাদন হয়।
দেশ স্বাধীনের পরবর্তী সময়ে চট্টগ্রামবন্দরের অবস্থান ছিল ৯৮তম, এখন ৭১তম স্থানে এসেছে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকাকালে দেশে আর্থিক উন্নতি হয়। ইতোমধ্যে আমরা মধ্যম আয়ের দেশের দ্বার প্রান্তে পৌঁছে গেছি । গত নয় বছরে দেখেছি, আমাদের দেশের মানুষ বাধা না পেলে নিজের জোরেই এগিয়ে যায়। মানুষের প্রচেষ্টায় এখন আয় বেড়েছে।
শাজাহান খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৯ বছরে ১১টা স্থলবন্দর চালু করেছেন। আরো দু’টি চালু করা হবে। এছাড়া আরও ১০টি কন্টেইনার বন্দর স্থাপনের কাজ চলছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে আমাদের আয় হয়েছে ১৪৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। তামাবিল বন্দর হওয়াতে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে। আমরা কারো কাছে হাত পাততে চাই না।
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান তপন কুমার চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট-৪ আসনের সংসদ সদস্য ইমরান আহমদ, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান, নৌপরিবহণ সচিব আব্দুস সামাদ, সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. রাহাত আনোয়ার, সিলেট চেম্বারের সভাপতি খন্দকার সিপার আহমদ প্রমুখ।