মহান স্বাধীনতার স্থপতি, শতাব্দীর মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে হিন্দু হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে প্রার্থনা ও অালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ১০ আগস্ট শুক্রবার সকাল ১২টায় নারায়নগঞ্জস্থ ফলপট্টি শ্রীশ্রী শিব শিতলা মন্দিরে হিন্দু হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে প্রার্থনা ও অালোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন হিন্দু হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের সেক্রটারী জেনারেল মানিক চন্দ্রসরকার,বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ট্র্রেজারার গোপাল চন্দ্র মন্ডল।
উক্ত অনুষ্ঠানে সেচ্ছাসেবক হিসেবে সেববাদান করেন হিন্দু হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের যুব ও ছাত্র ফোরামের নেতৃবৃন্দ। সে সময় আরও উপস্থিত ছিলেন হিন্দু হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের যুব ও ছাত্র ফোরামের রতন দাস, বিনয় মন্ডল,আকাশ ঘোষ,পার্থ সারথি রায়,বিজয় বর্মন,সন্জয় রায়,সন্জিত সাহা,বাপ্পী মন্ডল,আবির দাস,মধুসূধন দাস,সন্জিত দাস,হৃদয় সূত্রধর, পিয়াস মন্ডলসহ যুব ও ছাত্র ফোরামের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। আলোচনা সভার শুরুতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরাবতা পালন করেন নেতৃবৃন্দ।
পরে নেতৃবৃন্দ প্রার্থনা করেন প্রার্থনায় পুরুহিত্য করেন কৃষ্ণ অচার্য্য। আলোচনা সভায় হিন্দু হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের সেক্রটারী জেনারেল মানিক চন্দ্র সরকার বলেন, ‘১৯২০ সালের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম গ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপথগামী দুস্কৃতিকারী সদস্যরা ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে বাঙালির ইতিহাসে এক কালিমালিপ্ত অধ্যায় সংযোজিত হয়েছিল।
সেদিন ঘাতকেরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধুর ভাই শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, আরিফ, বেবি ও সুকান্ত, আবদুল নাঈম খান রিন্টু, বঙ্গবন্ধুর ভাগনে যুবনেতা শেখ ফজলুল হক মণি, তাঁর অন্ত:সত্ত্বা স্ত্রী আরজু মণিকেও হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর জীবন বাঁচাতে ছুটে আসা কর্নেল জামিলকেও সেদিন ঘাতকদের হাতে প্রাণ হারাতে হয়েছিল।
১৫-ই আগস্টে এ জাতি যা হারিয়েছে সে ক্ষতি কখনও পুরণ হবার নয়। তবে সেই সময় বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। সমগ্র জাতি আজ শোকাহত ও মর্মাহত। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শাহাদাৎ বরণকারী বঙ্গবন্ধু পরিবারের সকল শহীদ সদস্যদের গভীর শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ ও তাদের বিদেহী আত্মার সদ্গতি কামনা করছি।