ঢাকা, এপ্রিল ২০, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১৩:২০:১৬

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় আসার নিশ্চয়তা না পেয়ে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে : প্রধানমন্ত্রী মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মানুষের সাংস্কৃতিক সম্পৃক্ততার আহ্বান তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর সংসদে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে স্বতন্ত্র সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী প্রকল্প বাস্তবায়নে অসাধারণ সাফল্য দেখিয়েছে পিপিপি বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আগমন স্বচ্ছ নির্বাচনে সহায়ক : তথ্যমন্ত্রী

হাওয়া দিয়ে শিশু হত্যা

| ২১ শ্রাবণ ১৪২২ | Wednesday, August 5, 2015

অভাবের কারণে পড়ালেখা হয়নি রাকিব হাওলাদারের। বাবা খোঁজখবর নিতেন না। তাই ১০ বছর বয়সেই মা আর ছোট বোনের দায়িত্ব নিতে হয় তাকে। শরীফ মোটর্স নামের স্থানীয় একটি গ্যারেজে কাজ নেয় সে। মোটরসাইকেল সারাইয়ের কাজ শেখা শুরু করে। দিনে মজুরি ৫০-৬০ টাকা, তাও ঠিকমতো দিত না গ্যারেজ মালিক। সব সময় গালাগাল করত, দুর্ব্যবহার করত। তাই মাস দেড়েক আগে রাকিব ওই গ্যারেজে কাজ করা ছেড়ে দিয়ে পাশের আরেক গ্যারেজে কাজ নেয়। এতে তার ওপর খেপে যায় শরীফ মোটর্সের মালিক ওমর শরীফ। গত সোমবার সন্ধ্যায় ওই গ্যারেজের পাশে একটি দোকানে গেলে রাকিবকে ডেকে গ্যারেজের ভেতরে নিয়ে যায় সে। তারপর দোকানের যন্ত্রাংশ চুরির অপবাদ দিয়ে নির্যাতন শুরু করে। একপর্যায়ে মোটরসাইকেলের চাকায় হাওয়া দেওয়ার মেশিন রাকিবের মলদ্বারে ঢুকিয়ে দেয়। তারপর রাকিবের পেটের ভেতর হাওয়া দেওয়া শুরু করে। তীব্র হাওয়ার চোটে রাকিবের শরীর ফুলে যায়। রাকিব (১২) বলতে থাকে, ‘মামা, আর দিয়েন না। আমি মরে যাব।’ কিন্তু শরীফ ও তার গ্যারেজের কর্মচারীরা রাকিবের কোনো আর্তনাদ শোনেনি। উল্টো হাসতে হাসতে হাওয়ার গতি বাড়াতে থাকে। একপর্যায়ে রাকিব বমি করে এবং জ্ঞান হারায়। তখনো তারা রাকিবের ভেতরে বাতাস ভরতেই থাকে। জ্ঞান হারানোর আগে তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। তারাই তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দ্রুত তাকে ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেয়। অ্যাম্বুল্যান্সে তুলে ঢাকায় রওনা দিলে পথেই রাকিব মারা যায়। চিকিৎসকরা বলছেন, বাতাসে রাকিবের খাদ্যনালি ফেটে যায়। বাতাস হার্টে প্রচণ্ড আঘাত হেনেছে, এতে হৃদযন্ত্র কার্যকারিতা হারিয়েছে। কমপ্রেশারের বাতাস শরীরে ঢুকে বিষাক্ত গ্যাসে পরিণত হওয়ায় শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। সোমবার রাতে রাকিবের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে ক্ষুব্ধ জনতা ওমর শরীফ ও তার সহযোগী মিন্টু মিয়াকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। রাকিবের হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে গতকাল মঙ্গলবারও স্থানীয়রা সড়ক অবরোধসহ নানা কর্মসূচি পালন করে। সিলেটের কুমারগাঁওয়ে ১৩ বছরের শিশু সামিউল আলম রাজনকে পিটিয়ে হত্যার এক মাস পার না হতেই রাকিব হত্যার ঘটনায় সারা দেশে নতুন করে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।   রাকিব মা আর বোনের সঙ্গে খুলনা সদরের টুটপাড়া সেন্ট্রাল রোডের বস্তিতে থাকত। তাদের আসল বাড়ি সাতক্ষীরায়। রাকিবের বাবা নুরুল আলম হাওলাদার পেশায় ট্রাকচালক। তবে তিনি পরিবারের খোঁজ রাখতেন না। সাতক্ষীরাতেই থাকতেন। ছেলের হত্যার খবর শুনে তিনি খুলনায় আসেন। রাকিব হত্যার ঘটনায় বাদী হয়ে গতকাল মঙ্গলবার খুলনা সদর থানায় মামলা করেছেন তিনি। মামলায় ওমর শরীফ (৩৫), তার মা বিউটি বেগম (৫৫) ও মিন্টু মিয়াকে (৪০) আসামি করা হয়েছে। মামলায় তিনজনকেই গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। শরীফ ও মিন্টু পুলিশ প্রহরায় খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বিউটি বেগমকে জেলহাজতে নেওয়া হয়েছে। খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল বিকেল সোয়া ৩টার দিকে রাকিবের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পৌনে ৪টার দিকে তাকে নিয়ে টুটপাড়া সেন্ট্রাল রোডে আসে স্বজনরা। বাদ আসর টুটপাড়া বড় মসজিদে জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।  রাকিব হত্যার ঘটনা তদন্তে পুলিশের তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে খুলনা মহানগর পুলিশ (কেএমপি)। অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মাহবুব হাকিমকে কমিটির প্রধান করা হয়েছে। খুলনা মহানগর পুলিশের কমিশনার নিবাস চন্দ্র মাঝি গতকাল রাকিবের বাসায় গিয়ে স্বজনদের সমবেদনা জানান। খুলনার জেলা প্রশাসক মো. মোস্তফা কামাল রাকিবের পরিবারকে সহায়তা হিসেবে ১০ হাজার টাকা দিয়েছেন।      প্রতিবেশী ও স্বজনরা জানায়, কয়েক বছর আগে টুটপাড়া সেন্ট্রাল রোডের বস্তিতে ছেলে রাকিব ও মেয়ে রিমি খাতুনকে নিয়ে থাকতে শুরু করেন লাকী বেগম। স্বামী খুব একটা খোঁজখবর নিতেন না। অভাবের মধ্যেই রাকিব ও রিমিকে স্কুলে ভর্তি করেন লাকী বেগম। অভাবের কারণে চতুর্থ শ্রেণির পর আর পড়তে পারেনি রাকিব। বছর দুয়েক আগে তাকে টুটপাড়া কবরস্থানের পাশে শরীফ মোটর্স গ্যারেজে কাজে নিয়ে দেন লাকী বেগম। সেখানে কাজ শিখলেও রাকিবকে বিভিন্ন সময়ে গ্যারেজ মালিক ও তার লোকজন গালমন্দ করত। ঠিকমতো বেতনও দিত না। মালিকের এমন আচরণের কারণে ওই গ্যারেজ ছেড়ে মাস দেড়েক আগে নগরীর পিটিআই মোড়ে নাসিরের গ্যারেজে কাজ নেয় রাকিব। এতে তার ওপর চরম ক্ষুব্ধ হয় আগের গ্যারেজের মালিক ওমর শরীফ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সোমবার বিকেল ৪টার দিকে শরীফের গ্যারেজের পাশের দোকানে মোটরসাইকেলের জন্য তেল কিনতে যায় রাকিব। সেখান থেকে তাকে ডেকে নেয় ওমর শরীফ। এরপর সহযোগী মিন্টু মিয়াসহ তিন-চারজনের সহযোগিতায় তাকে টেনেহিঁচড়ে গ্যারেজের ভেতরে নিয়ে যায় সে। এরপর ‘তুই পার্টস চুরি করেছিস’ বলে তারা রাকিবকে নির্যাতন করতে থাকে। একপর্যায়ে রাকিবের মলদ্বারে কমপ্রেশার মেশিন বসিয়ে পেটে বাতাস ঢোকানো শুরু করে। রাকিব যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকলে তারা উল্লসিত হয়ে ওঠে, হাসতে থাকে। যন্ত্রণায় চিৎকার করতে করতে রাকিব বলে, ‘মামা আর দিয়েন না, আমি মরে যাব’। এতেও ক্ষান্ত হয়নি শরীফরা, হাওয়া দিয়েই যেতে থাকে। একপর্যায়ে রাকিবের শরীর ফুলে ওঠে, সে বমি করে জ্ঞান হারায়। এ সময় ঘাবড়ে গিয়ে ওমর শরীফ ও মিন্টু মিয়া তাকে সেন্ট মার্টিন নামের স্থানীয় একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে যায়। সেখান থেকে চিকিৎসকরা রাকিবকে পাঠান খুলনা জেনারেল হাসপাতালে। সেখান থেকে পাঠানো হয় খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাকিবকে দ্রুত ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। অ্যাম্বুল্যান্সে করে ঢাকায় নেওয়ার পথে রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাকিব মারা যায়।  ঘটনার অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী রাকিবের বন্ধু নাবিল (১০)। রাকিব ও তার বাড়ি পাশাপাশি। তাদের বাড়ি থেকে একটুখানি দূরেই শরীফের গ্যারেজ। নাবিলের ভাষ্যমতে, ‘সন্ধ্যার আগে আগে আমি ওই গ্যারেজের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় রাকিবের চিৎকার শুনি। এগিয়ে গিয়ে দেখি রাকিব প্রচণ্ড যন্ত্রণায় চিৎকার করছে, আর শরীফ ও মিন্টুরা কমপ্রেশার মেশিন চালু করে তার পেটের ভেতর বাতাস ঢোকাচ্ছে। একসময় রাকিব বমি শুরু করে। এরপর কিছু সময় মেশিন দিয়ে বাতাস দেওয়া বন্ধ করে তারা। কিন্তু এরপর আবার তারা রাকিবকে চেপে ধরে বাতাস ঢোকাতে থাকে। আমি এ দৃশ্য দেখে দ্রুত ওর বাড়িতে এসে খবর দিই। এর মধ্যেই স্থানীয় লোকজন রাকিবকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে রাতে শুনি রাকিব মারা গেছে।’ খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. মাহবুব আলম ফারাজী বলেন, বাতাসে রাকিবের খাদ্যনালি ফেটে যায়। বাতাস হার্টে প্রচণ্ড আঘাত হেনেছে, এতে হৃদযন্ত্র কার্যকারিতা হারিয়েছে। কমপ্রেশারের বাতাস শরীরে ঢুকে বিষাক্ত গ্যাসে পরিণত হওয়ায় শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। খুলনা সদর থানার ওসি সুকুমার বিশ্বাস কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ময়নাতদন্তের পর রাকিবের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দুই-এক দিনের মধ্যে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে নির্যাতনের ভয়াবহতা ও মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। মূলত শিশুটির শরীরের বাইরের চেয়ে ভেতরে বেশি ক্ষতি হয়েছে। তাই সুরতহালে মৃত্যুর কারণ বোঝা যাবে না। বাহ্যিকভাবে পায়ুপথে ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। ডাক্তাররা জানিয়েছেন, শরীরের মধ্যে অস্বাভাবিক পরিমাণ হাওয়া পুশ করায় রাকিবের নাড়িভুঁড়ি ছিঁড়ে যায়। এতে ফুসফুস ফেটে যাওয়াসহ শরীরের বিভিন্ন অর্গান অকেজো হওয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে। মা লাকী বেগম গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, “অভাবের জন্য ছেলেডারে টুটপাড়া মোড়ের শরীফের গ্যারেজে দিছিলাম। শরীফসহ গ্যারেজের লোকজন একটু কিছু হলেই ওরে মারধর ও গালাগালি করত। কয় মাস আগে ও (রাকিব) পিটিআই মোড়ের নাসিরের গ্যারেজে কাজ নেয়। ওই থেকে আমার ছেলের ওপর শরীফের রাগ। ওরে দেখলেই ওরা (শরীফরা) আজেবাজে কথা বলত, মারার হুমকি দিত। কিন্তু এইভাবে আমার রাকিবরে মারবে আমি বুজি নাই। সোমবার খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে দেখি ওর কিছু জ্ঞান আছে। আমাকে বলল ‘মারে, আমারে বাঁচাও। মামা (শরীফ) আমারে অনেক নির্যাতন করছে। পেটের ভেতরে বাতাস ঢুকাইছে। আমি বাঁচব না মা।’ ও তো সত্যিই আর ফিরল না। আমি এখন কী নিয়ে বাঁচব? ওরা আমার বাবারে যেভাবে মারছে, ওগোও আল্লাহ সেইভাবে মারুক।” প্রতিবেশী নূরজাহান বেগম ও শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে রাকিবকে খুঁজতে গ্যারেজে যাই। সেখানে গিয়ে শুনি ওরে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। সেখানে গেলে ডাক্তাররা জানান, রাকিবের শরীরে অস্বাভাবিক পরিমাণ বাতাস ঢোকানোর কারণে তার পেটের নাড়িভুঁড়ি ছিঁড়ে গেছে, ফুসফুসও ফেটে গেছে। পরে রাতে ছেলেটার মৃত্যুর খবর পাই। খুব ভালো ছেলে ছিল সে।’ রাকিবকে নৃশংসভাবে হত্যার খবর ছড়িয়ে পড়ায় উত্তাল হয়ে উঠেছে সদরের টুটপাড়া সেন্ট্রাল রোডের বাসিন্দারা। সোমবার রাতেই তারা খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে ওমর শরীফ ও মিন্টুকে ধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। এ দুজন বর্তমানে ওই হাসপাতালে পুলিশ পাহারায় চিকিৎসাধীন। সোমবার গভীর রাতে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী শরীফের গ্যারেজে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। গতকাল এলাকাবাসী দিনভর টুটপাড়া সেন্ট্রাল রোড বন্ধ করে বিক্ষোভ করেছে। এ সময় স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা ও রাকিবের প্রতিবেশী নাজমুল আহমেদ স্বপন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘যেভাবে ঘাতকতরা রাকিবকে হত্যা করেছে, তা অকল্পনীয়। আমরা দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। যাতে আর কেউ এভাবে শিশুদের ওপর নির্যাতন করা সাহস না দেখায়।’ রাকিব হত্যার নিন্দা জানিয়েছেন খুলনা জেলা ও মহানগর বিএনপিসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের নেতারা। পৃথক পৃথক বিবৃতিতে তাঁরা অবিলম্বে রাকিব হত্যায় দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম নুরুল ইসলাম, মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনি এবং বাংলাদেশ হিউম্যান ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা ও জন-উদ্যোগের নেতারা। রাকিবের পরিবারকে আইনগত সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের খুলনা জেলা শাখা। গতকাল সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রসু আক্তারসহ নেতারা এ আশ্বাস দেন।